शनिवार, 29 जनवरी 2022

রক্তচাপ কি, এর লক্ষন কি, এর থেকে প্রতিকারের উপায় কি




রক্তচাপ কি                                                                             www.everything0365.blogspot.com

রক্তচাপ বা blood pressure এখন একটু সাধারণ অসুখে পরিনতি হয়েছে । তবে এটা কোনো জটিল রোগ না। সাধারণত রক্তের চাপ একটি নির্দিষ্ট বয়সে স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেড়ে যায় বা কমে যায়। বেড়ে গেলে High pressure বা Hypotension বলে। কমে গেলে Low Pressure বা Hypertension বলে।

রক্তচাপ কিভাবে বুঝবো
নির্দিষ্ট বয়সে স্বাভাবিক প্রেসার থাকা উচিত, যদি তার চেয়ে কম বা বেশি দেখা যায়, তবে তা রোগের নির্দেশ করে । সেটি দুই ভাবে বোঝা যেতে পারে - (১) Systolic pressure, (২) Diastolic pressure.
(১) Systolic pressure - যখন হৃৎপিণ্ডের পাম্পের ফলে রক্ত সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে তখন তার চাপ বেশি হয়, তাকে Systolic pressure বলে।
(২) যখন রক্ত হৃৎপিন্ডে ফিরে আসে এবং হৃৎপিণ্ড প্রসারিত হয়, তখন চাপ কম থাকে তাকে  Diastolic pressure বলে।
                                         
www.everything0365.blogspot.com
একজন পূর্ণ স্বাভাবিক লোকের রক্তচাপ হলো -
Systolic pressure -১২০
Diastolic pressure -৮০
সাধারণ জ্ঞান :- Systolic pressure থেকে diastolic pressure প্রায় ৪০ মতো কম হয়। তবে বয়স অনুযায়ী প্রেসার কমে বাড়ে।

প্রথম সূত্রের সাহায্যে বিষয়টি বোঝা যাক -
কোনো ব্যক্তির বয়সের সঙ্গে ৯০ যোগ করলে তা হবে তার স্বাভাবিক Systolic pressure এবং Diastolic pressure ৮০-৯৫ এর মধ্যে হবে। যেমন একজন ৪৫ বছরের লোকের স্বাভাবিক প্রেসার হবে -
৪৫+৯০=১৩৫  mh Systolic ( ১৩৫-১৪০ mh Systolic)
৯০ mh Diastolic।

 মনে রাখবেন, যদি প্রেসার এর থেকে কম বা বেশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে লোকটি রক্তচাপ রোগে আক্রান্ত।

দ্বিতীয় সূত্রের সাহায্যে বিষয়টি বোঝা যাক -
কোনো ব্যক্তির বয়স ৫৫ হলে তার Systolic pressure হবে (৫৫+৯০)= ১৪৫ কিন্তু Diastolic pressure ৮০ na হয়ে ১০০ হয়, তবে বুঝতে হবে diastolic pressure বেশি হচ্ছে এবং লোকটি নিশ্চয় রোগগ্রস্ত।

বয়স অনুযায়ী সুস্থ লোকের রক্তের চাপের তালিকা -

www.everything0365.blogspot.com
উপরের সংখ্যা থেকে প্রেসার ৬ বা ১০ কম বেশি হলে কোনো ক্ষতি নেই, তার থেকে বেশি হলে চিকিৎসার প্রয়োজন। 


এই রক্তচাপ দুই প্রকার হয়ে থাকে। ১) উচ্চরক্তচাপ ও ২) নিন্মরক্তচপ।


আমরা দেখে নেবো উচ্চতক্তচাপ সম্পর্কে

ছোটো ছোটো ধমনিগুলির মৌলিক পরিবর্তন সাধন ও তাকে চলাচলের নালিগুলির সঙ্কোচন হয়। ফলে রক্ত প্রবাহে ক্ষমতা থাকা সত্বেও চাপ বেশি । এবার কিছু উপসর্গ আমরা দেখে নেবো ---
১) কখনো কখনো বংশ গত ভাবেও এর প্রভাব দেখা যায়।
২) ওজন খুব বেশি, দেহে মেদ বেশির ফলে এই রোগ দেখা যায় ।
www.everything0365.blogspot.com
৩) বেঁটে, মোটা মেদ যুক্ত লোকদের ক্ষেতে এটি দেখা যায়। মাঝে মধ্যে ফ্যাকাশে বা রক্ত শূন্য লোকদেরও হঠাৎ এই রোগ দেখা যায় ।
৪) চিন্তাশীল ও মানসিক উদ্বেগ গ্রস্থ লোকদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি হয় ।
৫) পরিশ্রমের থেকে শ্রম বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়।

লক্ষণ                                                                                       www.everything0365.blogspot.com

১) মাঝে মাঝে মাথা ঘোরা বা ব্যাথা এর প্রাথমিক লক্ষণ।
২) হজম শক্তির গোলমাল, বুক ধড়ফড় করা, শ্বাস কষ্ট,কানে শব্দ, দৃষ্টি শক্তি হ্রাস প্রভৃতি ।
৩) পরিশ্রমে অনাসক্তি, হঠাৎ উত্তেজনা, নাক থেকে রক্তপাত।
৪) অপরিণত বয়সে উচ্চ্চাপ হলে সেটা মুত্রযন্ত্রের কারণে বা নারীদের গর্ভ ধারণের কারণে হতে পারে। 

জটিল উপসর্গ
১) অনেক সময় এ থেকে কার্ডিয়াক রোগ হতে পারে। ফলে রোগী মারাও যেতে পারে। 
২) এর ফলে ব্রেনের মধ্যে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।  ফলে শেষ পর্যন্ত Cerebral Thrombosis পর্যন্ত হতে পারে এবং মৃত্যু ও হতে পারে ।

আমাদের করণীয়
১) মানসিক চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে ও মানসিক শান্তি বজায় রাখতে হবে। 
২) খাবার কম খেতে হবে। বিশেষ করে চর্বি জাতীয় খাবার বা উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। তবে দুধ, ছানা, দই খাওয়া যাবে ।
৩) মাদক দ্রব্য হোক কিংবা কড়া কফি সবই বর্জন করতে হবে ।
৪) হালকা ব্যায়াম করতে হবে, হাটাহাটি করতে হবে।
৫) ভালো ঘুম অবশ্যই চাই। কমপক্ষে রাত্রে ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকতে হবে।

তবে লাখ টাকার কথা হলো, নিজেকে সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং খাদ্য তালিকা মেনে চলতে হবে।

চিকিৎসা
উচ্চপ্রেসারের জন্য  আবিষ্কার করা সর্পগন্ধা বা Rouwolfia Serpentine নামক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা যুগান্তর এনেছে।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ঔষুধ খেয়ে যেতে হবে। কারণ এই রোগ কখনো সম্পূর্ণ সারে না।

এবার আমরা জানবো নিম্ন রক্তচাপ সম্পর্কে

একজন ৪৫ বছরের লোকের স্বাভাবিক Systolic pressure হলো ১৩৫  এবং Diastolic pressure হলো ৯৫ ।
কিন্তু সেই লোকের  Systolic pressure যদি ৭০ এবং Diastolic pressure ৫০ , তবে তা নিম্নচাপ। ফলে রক্ত ঠিকমতো মাথায় পৌঁছাতে পারে না এবং কুফল দেখা যায় ।

লক্ষণ                                                                                      www.everything0365.blogspot.com

১) চেহারা খুব ফ্যাকাশে দেখায়, মাংস পেশী ঢিলা হয়।
২) মনমরা ভাব, স্মরণ শক্তি কমে যায়, ঘুম হয় না, মাথাধরা, বুক ধড়পড় করে।
৩) হজম শক্তি কমে যায়, পুষ্টিকর খাবার শোষণ কম হয়।
৪) এর ফলে অনেক সময় Cerebral Anaemia রোগ হয়। 

আমাদের করণীয়
১) হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে । দুধ, ছানা, ডিম, মাছ, মাংসের হালকা ঝোল খেতে হবে।
২) খাবার দাবার মোটেই বন্ধ করা যাবে না ।
৩) পেট গোলমাল হলে চিকিৎসা করতে হবে। সাধারণ স্বাস্থ্য বিধি নিয়মিত ভাবে পালন করতে হবে ।


চিকিৎসা
 অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ এর কাছে যেতে হবে এবং পরামর্শ মত খাবার খেতে যত্ন নিতে হবে ।




আমাদের লেখা আপনাদের ভালো লাগলে আমরা বেশি খুশি হই। আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন এবং সবাইকে যুক্ত থাকতে বলুন।








कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें

If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...