বাংলা স্নাতক लेबलों वाले संदेश दिखाए जा रहे हैं. सभी संदेश दिखाएं
বাংলা স্নাতক लेबलों वाले संदेश दिखाए जा रहे हैं. सभी संदेश दिखाएं

मंगलवार, 16 मई 2023

বৈষ্ণব পদাবলী অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর বাংলা অনার্সবৈষ্ণব পদাবলী অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর বাংলা অনার্স Bengali honours boishinob podaboli oti songkhipto questions answer

 

বৈষ্ণব পদাবলী অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

বৈষ্ণব পদাবলী অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর বাংলা অনার্স 

                   প্রশ্নের মান - ১/২

১। " গীত চন্দ্রদয় " পদ সংকলন টি কে প্রকাশ করে ?

উত্তর:- বিশিষ্ট পদকর্তা ও গ্রন্থ কার নরহরি চক্রবর্তী ।

২। " পদকল্পতরু " বৈষ্ণব পদ সংকলন গ্রন্থ টির প্রকৃত নাম কি ? গ্রন্থ টির সংকলক কে ?

উত্তর:- " গীতকল্পতরু " গ্রন্থটির সংকলক হলেন গোকুলানন্দ সেন ।

৩। " পদকল্পতরু " গ্রন্থে কতজন পদ কর্তার কত গুলি পদ স্থান পেয়েছে ?

উত্তর:- ১৩০ জন পদকর্তার চার হাজারেরও বেশী পদ স্থান পেয়েছে ।

৪। " রসকলিকা " গ্রন্থের সংকলক কে ?

উত্তর:- নটবর দাস ।

৫। " পদরত্নাকর " গ্রন্থের সংকলক কে ?

উত্তর:- কমলাকান্ত দাস ।

৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদিত বৈষ্ণব পদ সংকলন গ্রন্থ টির নাম কি ? কবির সহযোগী সম্পাদক কে ছিলেন ?

উত্তর:- " পদরত্নাবলী " ১২৯২ বঙ্গাব্দে । কবির সহযোগী সম্পাদক ছিলেন শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ।

৭। আদি বৈষ্ণব কবি কাকে বলা হয় ?

উত্তর:- " গীতগোবিন্দম " এর কবি জয়দেব কে ।

৮। " মৈথলীর কোকিল " কাকে বলা হয় ?

উত্তর:- মিথিলার বিশিষ্ট কবি বিদ্যাপতি কে ।

৯। বৈষ্ণব পদাবলী ছাড়া বিদ্যাপতি কি কি গ্রন্থ লিখেছিলেন ?

উত্তর:- কীর্তিলতা , কীর্তিপতাকা , ভু - পরিক্রমা , দুর্গাভক্তিতরঙ্গীনি , হরগৌরী বিষয়ক পদাবলী ।

১০। বিদ্যাপতির আদি নিবাস কোথায় ?

উত্তর:- বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার মধুবনী পরগনার বিসফিগ্রামে ।

১১। বিদ্যাপতি কোন রানীর গুনমুগ্ধ ছিলেন ?

উত্তর:- রানী লোছমী দেবীর ।

১২। " দ্বিতীয় বিদ্যাপতি " কাকে বলা হয় ?

উত্তর:- গোবিন্দ দাস কে 

১৩। ছোট বিদ্যাপতি কে ?

উত্তর:- বৈষ্ণব পদকর্তা কবিরঞ্জন ।

১৪। বড়ু চণ্ডীদাসের নিবাস কোথায় ? ইনি কোন দেবীর উপাসক ছিলেন ?

উত্তর:- বাঁকুড়া জেলার ছাতনা গ্রামে । বাশুলী দেবীর উপাসক ছিলেন ।

১৫। পদাবলীর চণ্ডীদাসের নিবাস কোথায় ? এর সাধন সঙ্গিনীর নাম কি ?

উত্তর:- বীরভূম জেলার নান্নুর গ্রামে । রামি ।

১৬। কোন কোন পর্যায়ের পদ রচনায় চন্ডীদাস শ্রেষ্ট ?

উত্তর:- পূর্বরাগ ও নিবেদন পর্যায়ের ।

১৭। চৈতন্যে পূর্ব যুগের দুজন বিশিষ্ট বৈষ্ণব পদ কর্তার নাম লেখো ?

উত্তর:- বিদ্যাপতি ও চন্ডীদাস 

১৮। চৈতন্য পরবর্তী যুগের তিনজন বিশিষ্ঠ পদ কর্তার নাম লেখো ?

উত্তর:- গোবিন্দ দাস , জ্ঞান দাস , বলরাম দাস ।

১৯। চৈতন্যে সমসাময়িক কালের কয়েকজন পদকর্তার নাম লেখো ?

উত্তর:- বাসুদেব ঘোষ , মাধব ঘোষ , গোবিন্দ ঘোষ , নরহরি সরকার , মুরারী গুপ্ত , রায় রামানন্দ , যদু নন্দন , প্রমুখ ।

২০। কয়েক জন মুসলিম বৈষ্ণব পদ কর্তার নাম লেখো ?

উত্তর:- সৈয়দ মুর্তজা , নাসীর মামুদ প্রমুখ ।

২১।" অভিনব জয়দেব " কাকে বলা হয় ?

উত্তর:- কবি বিদ্যাপতি কে ।

২২। " রসমঞ্জরী " গ্রন্থের সংকলক কে ?

উত্তর:- পীতাম্বর দাস ।

২৩। প্রথম চৈতন্যে বিষয়ক বাংলা পদ কে লেখেন 

উত্তর:- মুরারী গুপ্ত ।

২৪। সনাতন গোস্বামীর কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো ?

উত্তর:- হরিভক্তিবিলাস , বৈষ্ণব তোষণী , প্রভৃতি ।

২৫। " হরিভক্তিবিলাস " কার লেখা ?

উত্তর:- গোপাল ভট্টের 

২৬। বিষ্ণু উপাসনা বিষয়ক প্রাচীণ গ্রন্থ টির নাম কি ?

উত্তর:- ঋকবেদ সংহিতা ।

২৭। " রাধা " নামের প্রথম উল্লেখ কোথায় আছে ?

উত্তর:- হাল - এর " গাথাসপ্তশতি " গ্রন্থে ।

২৮। গৌরাঙ্গ কে নিয়ে প্রথম বাৎসল্য রসের পদ কে লেখেন ?

উত্তর:- বাসুদেব ঘোষ ।

২৯। বিদ্যাপতি কে " কবি সার্বভৌম " উপাধি কে দেন ?

উত্তর:- রাজা শিব সিংহ ।

৩০। গৌরচন্দ্রিকা প্রথম কোথায় গাওয়া হয়েছিল ?

উত্তর:- খেতুরির মহোৎসব ।

৩১। শ্রী গৌরাঙ্গ কার কাছে কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষা নেন ?

উত্তর:- ইশ্বরপুরীর কাছে ।

৩২। চৈতন্যদেবের প্রথম শিষ্য কে ?

উত্তর:- তপন মিশ্র ( রঘুনাথ ভট্টের পিতা 

৩৩। বিদ্যাপতি কার সভাকবি ছিলেন ?

উত্তর:- রাজা শিব সিংহের ।

৩৪। " গৌরাঙ্গ বিজয় " কার লেখা ?

উত্তর:- চূড়ামনি দাসের ।

৩৫। গোবিন্দ দাস কে " কবিরাজ " উপাধি কে দিয়েছিলেন ?

উত্তর:- শ্রীজীব গোস্বামী ।

৩৬। বিদ্যাপতি কোন গ্রন্থে রাজা কীর্তি সিংহের প্রশস্তি রচনা করেছেন ?

উত্তর:- " কীর্তিলতা " গ্রন্থে 

৩৭। বিদ্যাপতি কোন রাজ বংশের পৃষ্টপোষক ছিলেন 

উত্তর:- মিথিলার কামেশ্বের বংশের ।

৩৮। গোবিন্দ দাস কার কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন ?

উত্তর:- শ্রীনিবাস আর্চার্যের কাছ ।

৩৯। কোন কোন পর্যায়ের পদ রচনায় গোবিন্দ দাস শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেছেন ?

উত্তর:- গৌরচন্দ্রিকা , অভিসার , মান ইত্যাদি ।

৪০। জ্ঞান দাসের জন্ম স্থান কোথায় ?

উত্তর:- বর্ধমান জেলার কাদঁড়া গ্রামে 

৪১। জ্ঞান দাস কার কাছে মন্ত্রশিষ্য ছিলেন ?

উত্তর:- জাহ্নবী দেবীর।

৪২। বলরাম দাস কত খ্রি: জন্ম গ্রহণ করেন ?

উত্তর:- ষোড়শ শতকের প্রথার্ধে। 

৪৩। বলরাম দাস কার শিষ্য ছিলেন ?

উত্তর:- নিত্যনন্দের ।

৪৪। কোন পর্যায়ের পদ রচনায় বলরাম দাস অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন ?

উত্তর:- বাৎসল্য রসের পদ রচনায় ।

৪৫। Cosmic Imagination এর কবি কাকে বলা হয় ?

উত্তর:- বিদ্যাপতি কে ।

৪৬। কে প্রথম বিদ্যাপতির পদ সংকলন করেন ?

উত্তর:- জগবন্ধু ভদ্র ।

৪৭। বিদ্যাপতি কোন কোন পর্যায়ের পদ রচনায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন ?

উত্তর:- মিলন , মাথুর , ভাবসম্মিলন , প্রাথনা ইত্যাদি পর্যায়ের পদ রচনায় ।

৪৮। " বুলবুলি " শব্দ টি কে প্রথম ব্যাবহার করেন 

উত্তর:- ঈশ্বর গুপ্ত ।

৪৯। কোন ধরনের পদে বিদ্যাপতি আত্মবিশ্লেষণ করেছেন ?

উত্তর:- প্রাথনা বিষয় পদে ।

৫০। বৈষ্ণব মতে রস কয় প্রকার ও কী কী ?

উত্তর:- পাঁচ প্রকার - শান্ত , দাস্য , সখ্য , বাৎসল্য , মধুর 

৫১। শৃঙ্গার রস কয় প্রকার ও কী কী ?

উত্তর:- দুই প্রকার - ১) বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গার ২) সম্ভোগ শৃঙ্গার ।

৫২। পূর্বরাগ কীভাবে উত্তপন্ন হয় ?

উত্তর:- দর্শন ও শ্রবণের মাধ্যমে ।

৫৩। পূর্বরাগ কয় প্রকার ও কী কী ?

উত্তর:- তিন প্রকার - সাধারনী , সমজ্জসা ও সমর্থ ।

৫৪। বৈষ্ণব পদাবলীর নান্দী পাঠ কোন পর্যায় কে বলা হয় ?

উত্তর:- পূর্বরাগ পর্যায় কে 

৫৫। কোন বৈষ্ণব কবি কে " পঞ্চোপাশক " বলা হয় ?

উত্তর:- কবি সার্বভৌম বিদ্যাপতি কে 

৫৬। জ্ঞান দাস কোন বংশের সন্তান ?

উত্তর:- ব্রামণ বংশের সন্তান ।

৫৭। বৈষ্ণব দের প্রধান দুটি ধর্ম গ্রন্থের নাম লেখো ?

উত্তর:- বিষ্ণুপুরান ও ভাগবত পুরান ।

৫৮। বজ্রবুলী ভাষায় কে প্রথম পদ রচনা করেন ?

উত্তর:- যশরাজ খান ।

৫৯। বৈষ্ণব পদাবলী তে শ্রেষ্ঠা রস কোনটি ?

উত্তর:- মধুর রস ।

৬০। " গৌরচন্দ্রিকা " শব্দের আভিধানিক অর্থ কি ?

উত্তর:- ভূমিকা 

৬১। " বৈষ্ণব " পদাবলীর " পদ " শব্দ টির অর্থ কি ?

উত্তর:- " বৈষ্ণব " পদাবলীর " পদ " শব্দ টির অর্থ হল কবিতা বা সঙ্গীত ।

৬২। " বৈষ্ণব পদাবলীর " প্রথম পদ কর্তা কে ?

উত্তর:- বৈষ্ণব পদাবলীর প্রথম পদ কর্তা হলেন জয়দেব । রাধা ই প্রেম লীলা অবলম্বনে রচিত তার " গীতগোবিন্দম " কাব্য টি আদি বৈষ্ণব পদাবলীর নিদর্শন ।

৬৩। " বৈষ্ণব পদাবলী "র প্রধানত কয়টি ভাষায় লেখা ?

উত্তর:- বাংলা ও বজ্রবুলি ।

৬৪। দুজন মুসলমান বৈষ্ণব কবির নাম লেখো ?

উত্তর:- নাসির মামুদ ও আকবর শাহ্ ।

৬৫। বৈষ্ণব পদাবলী কোন শ্রেণীর কাব্য 

উত্তর:- গীতিকাব্য ।

বৈষ্ণব পদাবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্নোত্তর:

১. বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে ‘মরমিয়া কবি’ হিসেবে কে বিখ্যাত ছিলেন? তিনি কোন যুগের কবি?

বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের ‘মরমিয়া কবি’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন কবি চন্ডীদাস।

তিনি আদি মধ্যযুগের তথা প্রাক - চৈতন্য যুগের কবি ছিলেন।

২. কবি চন্ডীদাস কোথায় কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

কবি চন্ডীদাস বীরভূম জেলার অন্তর্গত নান্নুর গ্রামে (মতান্তরে বাঁকুড়া ছাতনা গ্রামে) জন্মগ্রহণ করেন।

কবি চন্ডীদাস এর জন্ম আনুমানিক ১৪১৭ খ্রিস্টাব্দে।

৩. কবি চন্ডীদাসের পদ কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চণ্ডীদাস কে "দুঃখের কবি" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তাঁর প্রেম ভাবনায় লক্ষ করেছেন রসের প্রগাঢ়তা। মিলনেও তাঁর রাধার মধ্যে সুখের অভাব।

৪. চন্ডীদাসের প্রেম ভাবনার অভিনবত্ব কী?

চন্ডীদাসের পদে প্রেমের সার্থকতা ভোগে নয়, ত্যাগে। দেহকে অবলম্বন করে তা দেহাতিক্রমী। তাই চন্ডীদাসের রাধা আত্মবিসর্জনে তাঁর প্রেম সাধনার পূর্ণতা খুঁজে পায় 

"পিরিতি লাগিয়া পরাণ ছাড়িলে

পিরিতি মিলায়ে তথা"।

৫. চণ্ডীদাসের পদ রচনার বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লিখুন।

চন্ডীদাস আটপৌরে সহজ বাংলা ভাষায় তাঁর পদ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত পদে প্রবাদ - প্রবচন, উপমা - রূপকের ব্যবহারে লোকায়ত ভাবনার প্রকাশ। অলংকারের জাঁকজমক সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।

৬. বাংলা সাহিত্যে চন্ডীদাস সমস্যা কী?

বাংলা সাহিত্যে ‘চন্ডীদাস’ ভণিতায় একাধিক কবির পদ পাওয়া যায়। যেমন - বড়ু চন্ডীদাস, চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস, দীন চণ্ডীদাস প্রমূখ। এর ফলে চন্ডীদাস আসলে ক - জন তা নিয়ে যে সমস্যার সূত্রপাত তা-ই চন্ডীদাস সমস্যা নামে পরিইচত।

৭. "সায়াহ্ন সমীরণের দীর্ঘশ্বাস" - কার পদ সম্পর্কে কে এই মন্তব্য করেছেন?

সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চন্ডীদাসের পদ সম্পর্কে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।

৮. ব্রজবুলি ভাষা কি?

ব্রজবুলি ব্রজধামের ভাষা নয়। এ হল বাংলা, অসমীয়া, মৈথিলী ও অবহট্ঠ ভাষার সমন্বয়ে তৈরি হওয়া একটি কৃত্রিম ভাষা।

৯. কে, কোথায় নিজেকে ‘খেলন কবি’ হিসেবে বিশেষিত করেছেন?

কবি বিদ্যাপতি "কীর্তিলতা" কাব্যে নিজেকে 'খেলন কবি' হিসেবে বিশেষিত করেছেন।

১০. ভাবসম্মিলন এর পদে বিদ্যাপতির দক্ষতা আলোচনা করুন।

মাথুরের পদে বিদ্যাপতির রাধা যে ভাব গভীরতা তা আরও সংহত হয়েছে ভাব সম্মিলনের পদে। রাধা নিজেকে সাজিয়ে তুলতে চেয়েছেন কৃষ্ণের আগমনের অপেক্ষায়। এবং কল্পনার জগতে কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর নিত্য মিলন। রাধার দেহ পার্থিব প্রেমভাবনা ভাবসম্মিলনের পদের অন্তরময়তায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

১১. প্রার্থনা পর্যায় বিদ্যাপতির অভিনবত্ব কী?

প্রার্থনা পর্যায় রাধা - কৃষ্ণের প্রেম সম্পর্কের বাইরে গিয়ে কবি ব্যক্তিগত ভক্তি ভাবনাকে আশ্রয় করেছেন। প্রাক - চৈতন্য যুগের কবি বিদ্যাপতি এখানে কৃষ্ণের ঐশ্বর্য ভাবের কল্পনা করেছেন এবং কৃষ্ণের চরণতরী কে আশ্রয় করে এই জগৎ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করেছেন -

"তুয়া পদপল্লব করি অবলম্বন

তিল এক দেহ দীনবন্ধু"।

১২. কবি বিদ্যাপতি তাঁর সাহিত্য রচনায় কোন কোন রাজার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন?

কবি বিদ্যাপতি তাঁর সাহিত্য রচনায় মিথিলার একাধিক রাজার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন। বিভিন্ন রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত বিদ্যাপতির গ্রন্থ গুলির একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হল ।

১৩. কে, কত সালে "বিদ্যাপতির পদাবলী" প্রকাশ করেন?

সারদাচরণ মিত্র ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে "বিদ্যাপতির পদাবলী" প্রকাশ করেন।

১৪. "মহাজন পদাবলী" কী? কে কবে এটি প্রকাশ করেন?

"মহাজন পদাবলী" বিদ্যাপতি রচিত পদ - সংকলন।

১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে জগবন্ধু ভদ্র "মহাজন পদাবলী"র প্রথম খন্ড প্রকাশ করেন।

১৫. কবি বিদ্যাপতি কে 'অভিনব জয়দেব' বলার কারণ কী?

বিদ্যাপতির পদ সাহিত্যে জয়দেবের পদের ধ্বনি ঝংকার স্পষ্ট শোনা যায়। ভাবের দিক থেকে এই সাদৃশ্য বর্তমান। সেই কারণেই কবি বিদ্যাপতি কে 'অভিনব জয়দেব' বলা হয়।

১৬. কে, কোথায় কবি বিদ্যাপতির প্রতিভাকে 'Cosmic Imagination' বলেছেন?

শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রচিত "বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা" গ্রন্থে বিদ্যাপতির কবি প্রতিভা কে 'Cosmic Imagination' বলে মন্তব্য করেছেন।

১৭. কবি বিদ্যাপতি কে 'কবিসার্বভৌম' বলা হয় কেন?

ভূগোল, ইতিহাস, ন্যায় ও স্মৃতিশাস্ত্র, প্রকৃতি ইত্যাদি নানা বিষয়ে রচনা এবং বৈষ্ণব সাহিত্য রচনায় দক্ষতার জন্য এককথায় নানা শাখায় অদ্বিতীয় প্রতিভার জন্য বিদ্যাপতি কে 'কবি সার্বভৌম' বলা হয।

১৮. বিদ্যাপতি মিথিলার কোন রাজবংশের সভাকবি ছিলেন? তার কোন গ্রন্থে সমকালীন ইতিহাস এর পরিচয় পাওয়া যায়?

কবি বিদ্যাপতি মিথিলার ঔইনীবার বা কামেশ্বর রাজ বংশের সভাকবি ছিলেন।

বিদ্যাপতির "কীর্তিলতা" গ্রন্থে যুদ্ধের ফলে সমাজের তৎকালীন বিপর্যয়ের কথা বর্ণিত হয়েছে।

১৯. বিদ্যাপতির কবিতা কে “দূরগামিনী বেগবতী তরঙ্গসঙ্কুলা নদী” হিসেবে বর্ণনা করেছেন?

সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবি বিদ্যাপতির পদ সম্পর্কে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।

২০. বিদ্যাপতি পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাপতির প্রভাব আলোচনা করুন।

চৈতন্য পরবর্তী যুগের কবি গোবিন্দ দাসের রচনায় বিদ্যাপতির ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তাই তাঁকে 'দ্বিতীয় বিদ্যাপতি' বলা হয়। সপ্তদশ শতকে 'ছোট বিদ্যাপতি' নামে এক কবির বৈষ্ণব পদ পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী" তেও বিদ্যাপতির প্রভাব স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়।

২১. বিদ্যাপতির রচনাশৈলীর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।

বিদ্যাপতির পদাবলী তে ছিল শব্দ সৃষ্টির নিপুণতা, অলংকারের ঐশ্বর্য এবং ছন্দ ব্যবহারের কুশলতা। উৎপ্রেক্ষা ব্যতিরেক, অতিশয়োক্তি ইত্যাদি অলংকারের অসাধারণ প্রয়োগ রয়েছে বিদ্যাপতির পদে। শব্দ প্রয়োগে ধ্বনিময়তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবি। আবার শব্দ দিয়ে তৈরি করেছেন চিত্রকল্পও। মণ্ডনকলার অসামান্য নিদর্শন বিদ্যাপতির পদ।

২২. নৈমিষা অরণ্যে থাকাকালীন বিদ্যাপতি কোন গ্রন্থ রচনা করেন?

নৈমিষা অরণ্যে থাকার সময়ে মিথিলা থেকে নৈমিষা অরণ্য পর্যন্ত ভূভাগের বিবরণ দিয়ে বিদ্যাপতি "ভূপরিক্রমা" নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন।

২৩. 'বিদ্যাপতি বাঙালি কবি নন' - কে, কত সালে প্রথম তা প্রমাণ করেন?

রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রমাণ করেন যে, বিদ্যাপতি বাঙালি কবি নন।

২৪. "আমরা বাঙালির ধুতি চাদর পরাইয়া মিথিলার বড় পাগড়ী খুলিয়া ফেলিয়া তাঁহাকে আমাদের করিয়া লইয়াছি" - কে, কার সম্পর্কে কোথায় এই মন্তব্য করেছেন?

দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর "বঙ্গভাষা ও সাহিত্য" গ্রন্থে বিদ্যাপতি সম্পর্কে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।

২৫. কোন কোন বৈষ্ণব পদ সংকলনে বিদ্যাপতির পদ স্থান পেয়েছে?

"ক্ষণদাগীতচিন্তামণি", "পদামৃতসমুদ্র", "পদকল্পতরু" ইত্যাদি বৈষ্ণবীয় পদসংকলনে বিদ্যাপতির অজস্র পদ স্থান পেয়েছে।

২৬. চৈতন্যদেব যে বিদ্যাপতির পদের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন তা কীভাবে জানা যায়?

কৃষ্ণদাস কবিরাজ তাঁর "চৈতন্যচরিতামৃত" গ্রন্থে লিখেছেন -

“চন্ডীদাস বিদ্যাপতি        রায়ের নাটকগীতি

           কর্ণামৃত শ্রীগীতগোবিন্দ।

স্বরূপ রামানন্দ সনে      মহাপ্রভু রাত্রিদিনে

         গান শুনে পরমানন্দ”।।

এ থেকেই বোঝা যায় শ্রীচৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন।

২৭. চন্ডীদাসের সঙ্গে বিদ্যাপতির পার্থক্য নিরূপণ করুন।

চন্ডীদাস পাণ্ডিত্য বর্জিত, সহজ-সরল গ্রাম্য ভাষায় রাধা - কৃষ্ণ বিষয়ক পদ লিখেছেন। অন্যদিকে বিদ্যাপতি রাজসভার কবি হওয়ায় তাঁর রচনায় বাকবৈচিত্র ও মন্ডলকলার বৈচিত্র বর্তমান। রবীন্দ্রনাথের মতে - "বিদ্যাপতি সুখের কবি, চন্ডীদাস দুঃখের কবি"। চন্ডীদাস গভীর এবং ব্যাকুল বিদ্যাপতি নবীন এবং মধুর।

रविवार, 26 मार्च 2023

বাগযন্ত্র কি? বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশের পরিচয় দাও।



 বাগযন্ত্র কি? বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশের পরিচয় দাও।

বাগ যন্ত্র:-
ধ্বনি উচ্চারণ করতে যেসব প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলােকে একত্রে বাগযন্ত্র বলে। মানবদেহের উপরিভাগে অবস্থিত ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোট পর্যন্ত ধ্বনি উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতিটি প্রত্যঙ্গই বাগযন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত। বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ নিচের ছবিতে দেখানাে হলাে এবং এগুলাের সংক্ষিপ্ত পরিচয় পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলাে।

বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ:-

১)ফুসফুস
ধ্বনি সৃষ্টিকারী বায়ুপ্রবাহের উস ফুসফুস। ফুসফুস শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করে। মূলত শ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে ধ্বনি উৎপন্ন হয়।

২)শ্বাসনালি
ফুসফুস থেকে বাতাস শ্বাসনালি হয়ে মুখবিবর ও নাসারন্ধ্র দিয়ে বের হয়ে আসে।


৩)স্বরযন্ত্র
শ্বাসনালির উপরের অংশে স্বরযন্ত্রের অবস্থান। মেরুদণ্ডের ৪, ৫ ও ৬ নং অস্থির পাশে থাকা এই অংশটি নলের মতাে। বাতাস স্বরযন্ত্রের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে বলে ধ্বনির সৃষ্টি হয়। অধিজিহ্বা, স্বররন্ধ্র, ধ্বনিদ্বার ইত্যাদি স্বরযন্ত্রের অংশ।

৪)জিভ
মুখগহ্বরের নিচের অংশে জিভের অবস্থান। বাগযন্ত্রের মধ্যে জিভ সবচেয়ে সচল ও সক্রিয় প্রত্যঙ্গ। জিভের উচ্চতা অনুযায়ী, সম্মুখ-পশ্চাৎ অবস্থান অনুযায়ী এবং মুখগহ্বরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে জিভের স্পর্শের প্রকৃতি অনুযায়ী ধ্বনির বৈচিত্র্য তৈরি হয়।

৫)আলজিভ
মুখগহ্বরের কোমল তালুর পিছনে ঝুলন্ত মাংসপিণ্ডের নাম আলজিভ। ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে কোমল তালুর সঙ্গে আলজিভ নিচে নেমে এলে বাতাস মুখ দিয়ে পুরােপুরি বের না হয়ে খানিকটা নাক দিয়ে বের হয়। এর ফলে নাসিক্য ধ্বনি তৈরি হয়।

৬)তালু
মুখবিবরের ছাদকে বলা হয় তালু। তালুর দুটি অংশ – কোমল তালু ও শক্ত তালু। অনুনাসিক স্বরধ্বনি উচ্চারণে কোমল তালু নিচে নামে। কোমল তালু ও জিভমূলের স্পর্শে কণ্ঠধ্বনি উচ্চারিত হয়। দন্তমূলের শুরু থেকে কোমল তালু পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে বলা হয় শক্ততালু।


৭)মূর্ধা
শক্ত তালু ও উপরের পাটির দাঁতের মধ্যবর্তী উত্তল অংশকে মূর্ধা বলে। কোনাে কোনাে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভ মূর্ধাকে স্পর্শ করে।


৮)দন্তমূল ও দন্ত
দাঁতের গােড়ার নাম দন্তমূল। উপরের পাটির দন্তমূল ও দাঁতের সঙ্গে জিভের স্পর্শে বেশ কিছু ধ্বনি উৎপন্ন হয়।


৯)ওষ্ঠ
বাকপ্রত্যঙ্গের সবচেয়ে বাইরের অংশের নাম ওষ্ঠ বা ঠোট। ওষ্ঠের মধ্যকার ফাকের কম-বেশির ভিত্তিতে স্বরধ্বনিকে সংবৃত ও বিবৃত এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণ করতে ওষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১০)নাসিকা
মুখগহ্বরের পাশাপাশি নাসিকা বা নাকের ছিদ্র দিয়ে বাতাস বের হয়েও ধ্বনি উৎপন্ন হয়।

অনুশীলনী
১. কোনটি বাগযন্ত্র?
ক. পাকস্থলী
খ. ফুসফুস
গ. পিত্তকোষ
ঘ. যকৃৎ

২. ফুসফুস থেকে তৈরি বাতাস কিসের মাধ্যমে বের হয়?
ক, নাসারন্ধ্র।
খ, মুখবিবর
গ. তালু
ঘ. ক ও খ উভয়ই

৩. স্বরযন্ত্রের কোন অংশ ধ্বনি তৈরিতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে –
ক. বলয় উপাস্থি
খ. মুখবিবর
গ. নাসারন্ধ্র
ঘ. নাসিকা

৪. বাগযন্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে সচল অঙ্গ কোনটি?
ক. দাঁত
খ. মূর্ধা
গ. দন্তমূল
ঘ. জিভ

৫. মুখ-গহ্বরের কোন অংশে তালুর অবস্থান?
ক. সামনে
খ. পিছনে
গ. উপরে
ঘ. নিচে

৬. কোমল তালুর সঙ্গে আলজিভ নিচে নেমে এলে বাতাস বের হয় –
ক. নাক দিয়ে
খ. কান দিয়ে
গ. মুখ দিয়ে
ঘ. স্বরযন্ত্র দিয়ে

MORE RELATED POSTS

বাংলা লিপির উদ্ভবের ইতিহাস ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা

উপভাষা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?? তাদের সীমানা নির্ধারণ কর।

ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 1st semester 1 ও 2 paper suggetion 

পারিভাষিক শব্দ কি বা কাকে বলে | পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা ও পরিভাষা তালিকা

বাগযন্ত্র কি? বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশের পরিচয় দাও।

 NCF-2005 FOR PRIMARY TET

ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি | dhoni poribortoner riti mcq|primary TET

ভারতীয় ভাষা পরিষদ l Bhartiya -arya Bhasha

জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । rabindra nath tagor jibon sriti 

বরেন্দ্রী উপভাষার অঞ্চল বা এলাকা উল্লেখ করে এই উপভাষার রূপতাত্ত্বিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

বেকারত্ব কি? এর কারণ , দারিদ্র্যের সংজ্ঞা দাও,  কারণ , ব্যক্তিগত ও গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব , সংস্কৃতি কি

সামাজিক গোষ্ঠীর সংজ্ঞা , বৈশিষ্ট ও গুরুত্ব

প্রাথমিক গোষ্ঠী ও গৌণ গোষ্ঠীর পার্থক্য গুলো আলোচনা কর।

সামাজিকীকরণ কি l samajikikoron ki সামাজিকীকরণ কি l samajikikoron ki l সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকা 

prathomik ghostir songa o boisisto in bengali l প্রাথমিক গোষ্ঠীর ধারণা , বৈশিষ্ট ও গুরুত্ব।

সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলেসামাজিক পরিবর্তনের উপাদানসমূহ আলোচনা করো।

সামাজিক স্তরবিন্যাস কী? সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধরন কী কী?

সামাজিক পরিবর্তনের কারণসমূহ আলােচনা কর।

বর্ণপ্রথার বৈশিষ্ট্য কী? 'বর্ণ' ও ‘জাতি'-র ধারণার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর।

বি এ দর্শন সাধারণ/প্রোগ্রাম সিলেবাস PDF ডাউনলোড I B.A PHILOSOPHY GENERAL/PROGRAMME SYLLABUS PDF DOWNLOAD

B.A. (Hons.) Bengali, Bachelor of Arts Honours in Bengali, Syllabu…

WB TET Preparation Tips 2023, Study Material

Philosophy Short Essay Questions | My Best Writer


Videos: -

Videosহাট্টিমাটিম টিম - Hattimatim Tim and more | Bengali Rhymes Collection -1

badam badam kacha badam

করোনা l coronavirus l সময়ে বিদ্যালয়ের অবস্থা । পার্ট-1

করোনা l coronavirus l সময়ে বিদ্যালয়ের অবস্থা । পার্ট -2

আমাদের পেজে আসার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, এই ভাবে আমাদের পেজে আসুন আর সাহিত্য ও ভাষা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও তত্ব পেয়ে যান ।আমাদের সাথে যুক্ত হতে আমাদের ওয়েব সাইট ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিসিট করুন। 

আপনার মতামত দিতে চাইলে ইমেল করুন:-
kajemshaikh0365@gmail.com
অথবা , ভিজিট করুন  আমাদের পেজ:-

Classes
Mock Tests
Crack Exams

Website Links click here
Terms & Conditions Privacy Policy
STUDY CARE 
Whatsapp Ask a Doubt

Studycare0365.blogspot.com

Jangipur,Murshidabad

West Bengal, 742213

Call +91 7908497874

Kajemshaikh0365@gmail.com

Site Links

 About Us

• Contact Us

• Disclaimer

• Privacy Policy

• Terms and Conditions

Top Exams

• SSC Exams

• UPSC Exams

• Teaching Jobs

• Railway Exams

• Banking Exams

• Defence Exams

Follow Us



मंगलवार, 28 फ़रवरी 2023

বাংলা লিপির উদ্ভবের ইতিহাস ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা

) বাংলা লিপির উদ্ভবের ইতিহাস  বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো  সংক্ষেপে বর্ণনা করো

বাংলা লিপির উদ্ভব  বিকাশ: ভারতে প্রাপ্ত প্রাচীনতম লিপির সন্ধান পাওয়া যায়  অশোকের বিভিন্ন অনুশাসনে অশোকের অনুশাসনে দু-প্রকার লিপি পাওয়া যায়একটি ব্রাহ্মী, অপরটি খরোষ্ঠী আরামীয় লিপি থেকে ভারতের আদিলিপি ব্ৰাহ্মী, খরোষ্ঠীর জন্ম বলে লিপি  বিশেষজ্ঞরা মনে করেন খরোষ্ঠী লেখা হত ডান থেকে বাম দিকে এবং সেমেটিক ভাষা লেখার জন্যে এই লিপি ব্যবহৃত হত ব্রাহ্মী লেখা হত বাম থেকে ডান দিকে, তবে ডান থেকে বাম দিকে লেখার নিদর্শনও রয়েছে  ব্রাহ্মী ব্যবহৃত হত অসেমেটিক ভাষা লেখার জন্যে  থেকে আধুনিক নাগরী, বাংলা প্রভৃতি ভারতীয় লিপির জন্ম হয়

                 ব্রাহ্মী লিপির প্রসারের ফলে এর নানা আঞ্চলিক রূপ গড়ে উঠেছিল খ্রিস্টীয় প্রথম-দ্বিতীয় শতাব্দীতে ব্রাহ্মীলিপির তিনটি আঞ্চলিক রূপ হল : () উত্তর ভারতীয়,

 () দক্ষিণ ভারতীয়  

() বহির্ভারতীয়


                ব্রাহ্মী লিপির উত্তর ভারতীয় রূপটি পরিপূর্ণতা লাভ করে খ্রিস্টীয় চতুর্থ-পঞ্চম শতাব্দীতে অর্থাৎ গুপ্ত যুগে সেইসময় উত্তর ভারতীয় লিপিকে গুপ্তলিপিও বলা হয় গুপ্তলিপির দুটি ধারাপূর্বী  পশ্চিমা  এই পূর্বী ধারার আবার দুটি উপধারাপূর্বী  পশ্চিমা  গুপ্তলিপির পূর্বী ধারার পশ্চিমা উপধারা থেকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে সিদ্ধমাতৃকা লিপির জন্ম হয় খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে সিদ্ধমাতৃকা লিপির যে-জটিল রূপ গড়ে ওঠে, তাকে বলা হয় কুটিল লিপি . সুকুমার সেন মনে করেন, এই কুটিল লিপিথেকেই বাংলা লিপির উদ্ভব বাংলা লিপির উৎস সম্বন্ধে দুটি মত প্রচলিত  সেইসময় নাগরী লিপির দুটি প্রকারভেদ ছিলপূর্বভারতীয়  পশ্চিম ভারতীয় ব্যুলারের মতে, খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দীতে এই পূর্বভারতীয় রূপটি থেকেই প্রত্নবাংলা লিপি গড়ে ওঠে অন্যদিকে এস এন চক্রবর্তীর মতে, উত্তর ভারতীয় লিপির পূর্বী শাখাটি থেকে স্বতন্ত্র ধারায় খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীতেই প্রত্নবাংলা লিপির উদ্ভব হয় যাইহোক, বাংলা লিপির উৎস সম্বন্ধে  কথা মনে করা যেতে পারে যে, সিদ্ধমাতৃকা লিপির জটিল রূপ কুটিল লিপি থেকেই দুটি পৃথক ধারায় নাগরী  বাংলা লিপির বিকাশ হয়েছিল


) ব্রাহ্মী লিপি থেকে বাংলা  লিপি বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায় গুলি আলোচনা করো 

ব্রাহ্মী লিপি থেকে বাংলা লিপি বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়  সিন্ধুলিপি  কীলক লিপি সম্বন্ধে আলােচনা  ব্রাহ্মী লিপির উৎস সম্বন্ধে বিভিন্ন মত l

ব্রাহ্মী লিপি থেকে বাংলা লিপি বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়

২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্রাক্ষ্মীর দুটি আঞ্চলিক রূপ গড়ে ওঠে-উত্তর  ভারতীয় রূপ এবং দক্ষিণ  বহির্ভারতীয় রূপ দ্বিতীয় রূপটি থেকেই পল্লব লিপি উদ্ভূত হয়, যা গ্রন্থি, মালয়াল, তামিল, তেলুগু কন্নড়  সিংহলি লিপি এবং ব্রহ্লাদেশ কম্বােজ শ্যামদেশীয় লিপির জন্ম দিয়েছে অন্যদিকে, ব্রাত্মী লিপির উত্তর ভারতীয় রূপই হল কুষাণ লিপি (২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) চতুর্থ শতাব্দীতে অর্থাৎ গুপ্তযুগে কুষাণ লিপি বিবর্তিত হয়ে গুপ্ত লিপি নাম নেয় এই গুপ্ত লিপি থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীতে 'সিদ্ধমাতৃকা' লিপির জন্ম হয় এই সিদ্ধমাতৃকা লিপি থেকেই সপ্তম শতাব্দীতে কুটিল লিপি উদ্ভূত হয়

 

অষ্টম শতাব্দীতে এই কুটিল লিপি ভারতীয় উপমহাদেশে পাঁচটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়  কুটিল লিপির 'উত্তর-পশ্চিম ভারত' শাখা অর্থাৎ শারদা লিপি থেকে তিব্বতি, কাশ্মীরি  গুরুমুখি লিপি, 'উত্তর  মধ্যভারতশাখা থেকে দেবনাগরী, কায়থী  গুজরাটি লিপি, 'মধ্য এশিয়া' শাখা থেকে খােটানি লিপি এবং 'যবদ্বীপ-বালিদ্বীপশাখা থেকে যবদ্বীপীয় কুটিল লিপি উদ্ভূত হয়েছে

কুটিল লিপির পঞ্চম শাখা অর্থাৎ 'পূর্ব-ভারত' শাখার লিপি হল প্রত্ন বাংলা লিপি বা গৌড়ী লিপি নবম শতাব্দীতে  নারায়ণ পালের তাম্রশাসনে লিপির প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায় এই প্রত্ন বাংলা লিপি থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে নিম্নলিখিত চার প্রকার লিপি উদ্ভূত হয়েছে-

 

1) নেপালি

 

2) ওড়িয়া

 

3) মৈথিলি

 

4) বঙ্গলিপি

এইভাবে ব্রাক্ষ্মী লিপি থেকে ক্রমে ক্রমে বঙ্গলিপি বা বাংলা লিপি উদ্ভূত হয়েছে

 

) সিন্ধুলিপি  কীলক লিপি সম্বন্ধে আলচনা করো

সিন্ধুলিপি

 ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু অববাহিকার হরপ্পা এবং মহেনজোদারােতে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার যে ভগ্নাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল, তার মধ্যে থাকা শিলমােহর  শিলালিপি থেকে সে যুগের লিপির সন্ধান পাওয়া যায় সেই সিধুলিপি ছিল মূলত চিত্রলিপি, যে লিপিতে প্রায় ৪০০  বিভিন্ন চিহ্নের খোঁজ পাওয়া যায়  লিপির সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি তবে, এই লিপির সঙ্গে সুমেরীয়, প্রােটো-এলমাইট, হিট্টাইট, মিশরীয়, ক্রিট-দেশীয়, চিনা এবং ব্রাক্ষ্মী লিপির কিছু কিছু সাদৃশ্য আছে

 

কীলক লিপি: 

পারস্যদেশীয় সুমেরীয়রা মেসােপটেমিয়ায় এসে তাদের লিপিপদ্ধতিকে জনপ্রিয় করে কীলক লিপি তৈরি করে কাঁচা মাটির পাটাতনে বা পাথরের ওপর কীলক বা বাটালি দিয়ে কীলক বা পেরেকের মতাে খোঁচা খোঁচা চেহারার রেখাচিত্র এঁকে এবং রােদে পুড়িয়ে কীলক লিপি তৈরি করা  হত লাতিন ভাষায় যেহেতু 'Cuneus' শব্দের অর্থ কীলক এবং 'Forma' শব্দের অর্থ 'আকৃতি', তাই বিখ্যাত লিপি বিশারদ টমাস হাইড এই লিপির নাম দেন 'কিউনিফর্ম' (Cuneiform) অর্থাৎ কীলক লিপি প্রথম যুগে এটি চিত্রলিপি থাকলেও পরে এটি ভাবলিপি  ধ্বনিলিপিতে পরিণত হয় আক্কাদীয় বা আসিরােব্যাবিলনীয় ভাষা এবং প্রাচীন পারসিক ভাষা লেখাতে এই লিপি ব্যবহৃত হত অধুনালুপ্ত এই লিপির কোনাে উত্তরাধিকারী নেই

 

 

) ব্রাহ্মী লিপির উৎস সম্বন্ধে  বিভিন্ন মত গুলি আলোচনা করো

ব্রাহ্মী লিপির উৎস সম্বন্ধে যে বিভিন্ন মত প্রচলিত, সেগুলি নিম্নরূপ-

 

i. Edward Thomas, সুধাংশু কুমার রায়-এর মতে ব্রাত্মী এসেছে প্রাচীন সিন্ধুলিপি থেকে

 

ii. Dowson এবং Cunningham মনে করেন ভারতীয় পুরােহিতরা চিত্রলিপি থেকে ক্রমে ক্রমে ব্রায়ী লিপি রচনা করেন

 

iii. William Jones, Kopler, Buhler, Waber প্রভৃতিরা বলেন যে, ব্রাহ্মী লিপি ফিনিশীয় লিপি থেকে জন্মলাভ করেছে

 

iv. আধুনিক লিপি বিশেষজ্ঞ David Diringer  James বলেন যে, ব্রাহ্মী লিপি আরামীয় লিপি থেকে জন্মলাভ করেছে

 

v. Princeep-Rochette বলেন যে, আলেকজান্ডারের আক্রমণ-সূত্রে যে উন্নততর গ্রিকলিপি ভারতে আসে, তা থেকেই ব্রাম্মী লিপি উদ্ভূত

 

vi. কেউ কেউ বলেন যে, আরবীয় লিপি থেকে ব্রাহ্মী উদ্ভূত

 

vii. Davids বলেন, কিউনিফর্ম অর্থাৎ কীলক লিপি থেকে ব্রাম্মী উদ্ভূত

 

viii. Cast বলেন যে, খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে পশ্চিম এশিয়াসহ বিভিন্ন বিদেশি লিপির দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে ভারতীয়রা ব্রাহ্মী লিপি তৈরি করেন

 

ওপরের মতামতগুলির মধ্যে ভাষাবিজ্ঞানীরা চতুর্থ মতটিকে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযােগ্য বলে মনে করেন তবে একথাও আমরা বিস্মৃত হতে পারি না যে, আরামীয় লিপি বর্ণলিপি, অথচ ব্রাহ্মী লিপি অংশত দললিপি বা অক্ষরলিপি

 

 

) কিউনিফর্ম লিপি

কিউনিফর্ম বা কীলক লিপি

কিউনিফর্ম লিপি - সৃষ্টি, অর্থ, জনপ্রিয়তা, লিপি তৈরি  লেখার পদ্ধতি, আবিষ্কর্তা, নামকরণ, বিবর্তন, ব্যবহৃত ভাষা, নমুনা, ব্যবহার, লিপির সংস্কার, প্রাপ্ত লিপির পরিনাম  লিপির পাঠোদ্ধার সম্পর্কে জানবো

 

কীলক লিপি বা কিউনিফর্ম লিপি

প্রচলন কাল আনুমানিক ৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ

প্রচলিত স্থান সুমেরীয় সভ্যতা

নামকরণ টমাস হাইড

কীলক লিপি

ভূমিকা :- কিউনিফর্ম লিপি বিশ্বের প্রাচীন লিপিগুলোর মধ্যে অন্যতম অনেক ভাষাবিদ মনে করেন, কিউনিফর্ম লিপি মিশরীয় সভ্যতার হায়ারোগ্লিফিক লিপির থেকেও পুরনো

 

শব্দলিপি

প্রকৃতপক্ষে ধ্বনিলিপি স্তরের প্রথম ধাপ হল শব্দলিপি শব্দলিপির ক্ষেত্রে লিপিতে ব্যবহৃত প্রতীকগুলি এক-একটি শব্দেরই প্রতীক ছিল

 

শীর্ষ নির্দেশ

পরবর্তীতে লিপির শব্দচিত্রের রেখাগুলি ক্রমশ সরল, সংক্ষিপ্ত  সাংকেতিক হয়ে এক-একটি শব্দকে না বুঝিয়ে শুধু তার আদ্য দল কে প্রকাশ করতে লাগল  এই সরলীকরণের প্রক্রিয়াকে বলে শীর্ষনির্দেশ এই প্রক্রিয়ায় শব্দলিপি পরিণত হল দললিপিতে

 

ধ্বনির প্রতীক

ধ্বনিলিপি বিকাশের শেষ ধাপে এসে লিপিতে ব্যবহৃত প্রতিটি রেখাচিহ্ন এক-একটি দল-এর প্রতীক না হয়ে সেই ভাষায় ব্যবহৃত এক-একটি একক ধ্বনির প্রতীক হয়ে উঠল

 

বর্ণলিপি

একক ধ্বনির লিপিই হল বর্ণ ধ্বনিলিপিকে তাই বর্ণলিপিও বলা যায় রােমীয় লিপি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বনিমূলক

 

আধুনিক লিপি

সবচেয়ে আধুনিক লিপি হল ধ্বনিলিপি ইতিপূর্বে যা ছিল বিশেষ কোনাে বস্তু বা বিষয় বা ভাবের প্রতীক, তা হয়ে উঠল কোনাে ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনির প্রতীক এটি তাই উচ্চারণ-ভিত্তিক লিপিপদ্ধতি

 

উদাহরণ

গােরুর মুখের ছবি থেকে ক্রমে ক্রমে ‘a’ ধ্বনিচিহ্নের বা বর্ণের সৃষ্টি হয়েছে  গ্রিক ধ্বনি/বর্ণ ‘a'(আলফা) থেকে এসেছে ইংরেজি বর্ণ ‘a’ এই ‘a’ বর্ণ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দের সঙ্গে তাই গােরু-সম্পর্কিত কোনাে কিছুর যােগ না থাকাটাই স্বাভাবিক

 

কীলক লিপির জনপ্রিয়তা

সুমেরীয় সভ্যতার মানুষেরা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার জন্মভূমি মেসােপটেমিয়ায় এসে তাদের লিপি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করে

 

কীলক লিপি ব্যবহারের সময়কাল

কিউনিফর্ম লিপি আনুমানিক ৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্যবহৃত হত

 

কীলক লিপি তৈরির পদ্ধতি

কাঁচা মাটির পাটাতনে কীলক বা বাটালি দিয়ে রেখাচিত্র এঁকে তারপর সেই মাটি রােদে পুড়িয়ে তারা কীলক লিপি তৈরি করত

 

কীলক লিপি লেখার পদ্ধতি

কিউনিফর্ম বিভিন্ন  সাংকেতিক চিহ্ন  চিত্রের সমন্বয়ে লেখার পদ্ধতি এটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে গঠিত কোনো বর্ণমালা নয় এবং এতে নির্দিষ্ট বা ধরাবাঁধা কোনো অক্ষরও নেই নির্দিষ্ট অক্ষরের পরিবর্তে ৬০০ থেকে ১০০০ -এর মতো কীলক আকৃতির শব্দ বা তাদের অংশের শেপ ব্যবহার করে লেখা হত

 

কীলক লিপি বা কিউনিফর্ম লিপির আবিষ্কর্তা

প্রাচীন মেসােপটেমিয়ার মানুষেরা মনে করতেন যে, নেবাে নামক দেবতাই এই লিপি পদ্ধতির আবিষ্কর্তা

 

কীলক লিপির নামকরণ

বিখ্যাত লিপি বিশারদ টমাস হাইড এই লিপির নামকরণ করেন কিউনিফর্ম লাতিন ভাষায় ‘Cuneus’ শব্দের অর্থ পেরেক বা কীলক বা বাটালি এবং ‘forma’ শব্দের অর্থ আকৃতি কীলকের মতাে খোঁচা খোঁচা চেহারার জন্যই এর নাম কীলক লিপি

 

কীলক লিপির বিবর্তন

প্রথম যুগে এটি চিত্রলিপি থাকলেও  পরবর্তীকালে এটি ক্রমে ক্রমে ভাবলিপি  ধ্বনিলিপিতে পরিবর্তিত হয়

 

কীলক লিপিতে ব্যবহৃত ভাষা

ব্যাবিলনীয় এবং আসিরীয় এই দুই প্রধান মেসােপটেমীয় ভাষা পাথরের ওপর বা কাদার টালির ওপর লেখা হত এই লিপিতেই পারস্যদেশে আর্যদের প্রাচীন পারসিক ভাষা লেখার জন্যও এই লিপি ব্যবহৃত হত

 

কীলক লিপির নমুনা

এই কীলক লিপির সবচেয়ে প্রাচীন নমুনাটি (প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরানাে) পাওয়া গেছে উরুক শহরে তাছাড়া প্রাচীন সুমেরের নিসপুরে একটি মন্দিরের নীচে একটি সিলমােহর পাওয়া গেছে যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার কিউনিফর্মে লেখা

 

কীলক লিপির উল্লেখযোগ্য কাজ

হামুরাবির আইনবিধি এই লিপির লিখন পদ্ধতিতেই লিপিবদ্ধ করা হয়

 

কীলক লিপির ব্যবহার

প্রাচীন যুগে কিউনিফর্ম খুবই জনপ্রিয় লিখন পদ্ধতি ছিল সুমেরীয়  আক্কাদিয়ান বাদে অ্যাসিরিয়ান, ব্যাবিলনিয়ান, এব্লেইট, আমোরাইট, অ্যালামাইট, হাত্তিক, হুররিয়ান, উরার্তিয়ান, হিট্টাইট, লুউইয়ান ভাষা এই লিখন পদ্ধতিতে লেখা হত

 

কীলক লিপির লিপির সংস্কার

কিউনিফর্ম লিপিকে প্রথম সংস্কার করেন পারস্য সম্রাট দরায়ুস

 

কীলক লিপিতে প্রাপ্ত নমুনার পরিমাণ

প্রাচীন সভ্যতার বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি খুঁড়ে  ১০ লাখ  কিউনিফর্ম ফলক বা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে

 

কীলক লিপির পাঠোদ্ধার

এই লিপির পাঠোদ্ধারের সূচনা করেন আইরিশ পাদ্রি এডওয়ার্ড হিংকস

 

কীলক লিপিতে বর্ণিত বিষয়

() এই লিপির বেশির ভাগ ফলক সাংসারিক সাধারণ হিসাব বা শস্য গণনার জন্য ব্যবহৃত হত

() কিছু শিলালিপিতে প্রাচীন মেসোপটেমীয় জীবনের সূক্ষ্ম  গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়

() কিছু কিউনিফর্ম লিপি জটিল জ্যোতির্বিদ্যার গণনায় ব্যবহৃত হত

() ব্যাবিলনীয়দের তিনটি কিউনিফর্ম থেকে সবচেয়ে প্রাচীন রন্ধন প্রণালীর সন্ধান পাওয়া যায় এই বিশেষ শিলালিপিতে স্টিউ  সুপের জন্য ২৫টি রেসিপির (মাংস  নিরামিষ উভয়) কিছু নির্দেশাবলি সহ বর্ণনা রয়েছে তবে কোনো পরিমাপ বা কত সময় রান্না করতে হবে  তা লেখা নেই

উপসংহার :- বর্তমানে এই লিপি বিলুপ্ত তবে ব্রিটিশ জাদুঘরসহ বার্লিন, ইরাক, তুরস্ক ইত্যাদি দেশের জাদুঘরেও কিউনিফর্ম ট্যাবলেট সংরক্ষিত আছে

 

(FAQ) কীলক লিপি বা কিউনিফর্ম লিপি সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য?

. সুমেরীয় লিপির নাম কি?

কিউনিফর্ম বা কীলক লিপি

 

. কিউনিফর্ম লিপির আবিষ্কর্তা কে?

মেসোপটেমিয়ার অধিবাসীদের মতে, নেবো নামক দেবতা

 

. কিউনিফর্ম লিপির অপর নাম কী?

কীলকাক্ষর বা বাণমুখ লিপি




MORE RELATED POSTS

উপভাষা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?? তাদের সীমানা নির্ধারণ কর।

ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 1st semester 1 ও 2 paper suggetion 

পারিভাষিক শব্দ কি বা কাকে বলে | পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা ও পরিভাষা তালিকা

 NCF-2005 FOR PRIMARY TET

ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি | dhoni poribortoner riti mcq|primary TET

ভারতীয় ভাষা পরিষদ l Bhartiya -arya Bhasha

জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । rabindra nath tagor jibon sriti 

বরেন্দ্রী উপভাষার অঞ্চল বা এলাকা উল্লেখ করে এই উপভাষার রূপতাত্ত্বিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

বেকারত্ব কি? এর কারণ , দারিদ্র্যের সংজ্ঞা দাও,  কারণ , ব্যক্তিগত ও গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব , সংস্কৃতি কি

সামাজিক গোষ্ঠীর সংজ্ঞা , বৈশিষ্ট ও গুরুত্ব

প্রাথমিক গোষ্ঠী ও গৌণ গোষ্ঠীর পার্থক্য গুলো আলোচনা কর।

সামাজিকীকরণ কি l samajikikoron ki সামাজিকীকরণ কি l samajikikoron ki l সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকা 

prathomik ghostir songa o boisisto in bengali l প্রাথমিক গোষ্ঠীর ধারণা , বৈশিষ্ট ও গুরুত্ব।

সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলেসামাজিক পরিবর্তনের উপাদানসমূহ আলোচনা করো।

সামাজিক স্তরবিন্যাস কী? সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধরন কী কী?

সামাজিক পরিবর্তনের কারণসমূহ আলােচনা কর।

বর্ণপ্রথার বৈশিষ্ট্য কী? 'বর্ণ' ও ‘জাতি'-র ধারণার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর।

B.A. (Hons.) Bengali, Bachelor of Arts Honours in Bengali, Syllabu…

WB TET Preparation Tips 2023, Study Material

Philosophy Short Essay Questions | My Best Writer


Videos: -

Videosহাট্টিমাটিম টিম - Hattimatim Tim and more | Bengali Rhymes Collection -1

badam badam kacha badam

করোনা l coronavirus l সময়ে বিদ্যালয়ের অবস্থা । পার্ট-1

করোনা l coronavirus l সময়ে বিদ্যালয়ের অবস্থা । পার্ট -2

আমাদের পেজে আসার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, এই ভাবে আমাদের পেজে আসুন আর সাহিত্য ও ভাষা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও তত্ব পেয়ে যান ।আমাদের সাথে যুক্ত হতে আমাদের ওয়েব সাইট ফলো করুন এবং নিয়মিত ভিসিট করুন। 

আপনার মতামত দিতে চাইলে ইমেল করুন:-
kajemshaikh0365@gmail.com
অথবা , ভিজিট করুন  আমাদের পেজ:-

Classes
Mock Tests
Crack Exams

Website Links click here
Terms & Conditions Privacy Policy
STUDY CARE 
Whatsapp Ask a Doubt

Studycare0365.blogspot.com

Jangipur,Murshidabad

West Bengal, 742213

Call +91 7908497874

Kajemshaikh0365@gmail.com

Site Links

 About Us

• Contact Us

• Disclaimer

• Privacy Policy

• Terms and Conditions

Top Exams

• SSC Exams

• UPSC Exams

• Teaching Jobs

• Railway Exams

• Banking Exams

• Defence Exams

Follow Us

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...