गुरुवार, 27 जनवरी 2022

জন্ডিস রোগ কি? তার লক্ষণ কি? কীভাবে প্রতিকার পাওয়া যাবে?




জণ্ডিস কি

 রক্তে বিলিরুবিন নামক এক ধরনের পিগমেন্টের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। এ রোগে চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। জন্ডিস আসলে কোনো রোগ নয়, এটি রোগের লক্ষণমাত্র। জন্ডিসের মাত্রা বেশি হলে হাত-পা, এমনকি শরীরেও হলদেটে ভাব চলে আসতে পারে। এর পাশাপাশি প্রস্রাবের রং হালকা থেকে গাঢ় হলদেটে হয়ে যায়। জন্ডিসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লিভারের মতো গুরুত্বপুর্ণ অঙ্গটি আক্রান্ত হয়। আর ক্ষেত্রবিশেষে এটি জীবন নাশকারী অবস্থায় চলে যেতে পারে। তাই এ রোগটি হেলাফেলা করা উচিত নয় মোটেই।

সংক্ষেপে বলা যায়, চোখ, মুখ, মুত্র প্রভৃতি হলুদ হওয়া এবং রক্তের bile pigment বেরিয়ে যাওয়া কে ন্যাবা বা পান্ডুরোগ বা জন্ডিস বলে ।


জন্ডিস কেন হয়

১) রক্তের লোহিতরক্তকণিকার ধ্বংস হলো জন্ডিস রোগের প্রধান কারণ ।

২) হেপাটাইটিস বা viral hepatitis হলো hepato cellular জন্ডিস রোগের কারণ ।

৩) যকৃতের উপর থেকে অন্ত্রের মধ্যে প্রবাহিত হওয়ার যে পিত্ত পথ আছে সেই অংশের কোনো স্থানে অবরোধ হলে তার ফলে জন্ডিস রোগ হয় ।

৪) ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, সর্পদর্শন নানানকারণে haemolytic জন্ডিস রোগ হয় ।

৫) gall stones বা পিত্ত কোষে পাথর জমার ফলে পিত্ত নিঃসরণ বাধা পায় ও জন্ডিস রোগ হয়। 

জন্ডিস রোগের লক্ষণ

১) রোগীর গায়ের চামড়া, চক্ষুর সাদা অংশ, নাকের মূল ভাগ হলুদাভ হয়ে যায় ।

২) মূত্রের বর্ণ হলুদাভ হয় ।

৩) শয্যাতে ঘাম লাগলে তা হলুদ হয়ে যায় ।

৪) চোখ হলুদাভ হওয়ার ফলে সবকিছুই হলুদাভ দেখতে পাই।

৫) অনেক সময় লিভারে কিংবা পেটের বামদিকে ব্যাথা হয়।

৬) ক্ষুধা কমে যায়।

৭) মুখে সবর্দা তেতো স্বাদ অনুভূত হয়।

৮) নাড়ি দ্রুত বা ধীর ও দুর্বল হয়ে যায়।

৯) বমি বা পিত্ত বমি মাঝে মাঝে হতে পারে।

১০) দেহ দুর্বল ও অবসন্ন হতে পারে।

জটিল উপসর্গ

১) এ থেকে পরে যকৃতে ফোঁড়া বা liver abscess হয়ে থাকে।

২) কখনো কখনো এর থেকে লিভারে ক্যান্সারও হতে পারে।

LIVER ABSCESS

রোগ নির্ণয় কিভাবে করবো

১) মুখের তেতো অনুভূতি রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে ।

২) পেটের ডান দিকে ব্যাথা রোগ নিশ্চিত করে ।

৩) চোখের সাদা অংশ হলুদাভ হওয়া আরো একটা লক্ষ্মণ।

৪) গায়ের রং হলুদ হলে বুঝতে হবে রোগ বাড়াবাড়ি হয়েছে।

৫) ক্ষুধা, অরুচি এগুলোও রোগের লক্ষ্মণ ।


চিকিৎসা কীভাবে করা করবো

১) পেটে ব্যাথা থাকলে গরম সেক খুব কাজে লাগে।

২) পেঁপের কষ, কলমেঘের পাতার রস প্রভৃতি খুব উপকারী।

৩) কমলা লেবু ও বাতাবী লেবুর রস বিশেষ উপযোগী।

৪) পাকা কুমড়ো, কাচকলা, জয়ন্তী শাক, হরীতকী, সিঙ্গী মাছ, ঘল, মাখন প্রভৃতি মোটেও খাওয়া যাবে না 

৫) তবে পুরাতন যব, গম, চাল, মসুর ডালের ঝোল প্রভৃতি খাওয়া ভালো ।

৬) গ্লুকোজ জল খাওয়া খুব উপকারী।

৭) ৩-৪ সপ্তাহ একটানা বিশ্রাম নিতে হবে।

জন্ডিস হলে কী খাওয়া উচিৎ

১) আমাদের প্রথাগত বিশ্বাস হচ্ছে জন্ডিস হলেই বেশি বেশি পানি খেতে হবে। খেতে হবে বেশি করে আখের রস, ডাবের পানি, গ্লুকোজের সরবত ইত্যাদিও। আসলে ব্যাপারটি কিন্তু এরকম নয়। জন্ডিস রোগীকে সাধারণ মানুষের মতোই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। সমস্যা হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে কম পানি খেলে।

২) বিশ্রামই যেখানে জন্ডিস রোগীর প্রধান সমাধান বা চিকিৎসা, সেখানে প্রস্রাব (urine) করার জন্য বারবার টয়লেটে যেতে হলে রোগীর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে, যা রোগীর জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। তেমনিভাবে বেশি বেশি ফলের রস খাওয়াও বুদ্ধিমানোচিত হবে না। কারণ এতেও একই কারণে রোগীর বিশ্রামের ব্যাঘাত ঘটে। পাশাপাশি বেশি বেশি ফলের রস খেলে পেটের মধ্যে ফার্মেন্টেশনের কারণে রোগীর পেট ফাপা, খাওয়ায় অরুচি ইত্যাদি বেড়ে যায়।

৩) আখের রস আমাদের দেশে জন্ডিসের একটি বহুল প্রচলিত ওষুধ। অথচ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে রাস্তার পাশের যে দুষিত পানিতে আখ ভিজিয়ে রাখা হয় সেই পানি থেকেই অনেক সময় আখের রসে এবং তারপর ঐ রস থেকে হোটাইটিস এ বা ই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে।

৪) আখের রসে থাকে গ্লূকোজ, এই গ্লূকোজ বিপাক হয় যকৃতে, তাই বেশি গ্লূকোজ খেলে উলটা অসুস্থ যকৃতে চাপ পরে।

৫) আমাদের আরেকটি প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে জন্ডিসের রোগীকে হলুদ দিয়ে রান্না করা তরকারি খেতে দেয়া যাবে না কারণ একে রোগীর জন্ডিস বাড়তে পারে। আসল কথা হলো রক্তে বিলিরুবিন নামক একটি হলুদ পিগমেন্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণেই জন্ডিস দেখা দেয়, কিন্তু এর সাথে খাবারের হলুদের কোন ধরনের যোগাযোগই নেই।

৬) একইভাবে জন্ডিসের রোগীকে তেল-মসলা না দিয়ে শুধুমাত্র সিদ্ধ-সিদ্ধ খাবার খেতে দেয়ারও কোন যুক্তি থাকতে পারে না। এ সমস্ত রোগীদের এমনিতেই খাবারে অরুচি দেখা দেয়। তার উপর এ ধরনের খাবার-দাবার রোগীদের উপকারের চেয়ে অপকারই করে বেশি। তাই জন্ডিসের রোগীকে (Jaundice patient) সবসময় এমন খাবার দেয়া উচিত যা তার জন্য রুচিকর, যা তিনি খেতে পারছেন

                         


কী কী ঔষুধ খেতে হবে

১) liv-52

২) becosule

৩) wymox-250 (পিত্তনালিতে inflammation থাকলে)

৪) lurgactil-( বমি বেশি হলে)

৫) প্রতিদিন বেশি পরিমাণে glucose drink খেতে হবে।


 তবে এবিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মতো কাজ করাটাই উচিত হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।


আমাদের লেখা ভালো লাগলে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন। আমাদের সাথে যুক্ত হতে আমাদের পেজ লাইক করুন ও   SUBSCRIBE   করুন।

WWW.EVERYTHING0365.BLOGSPOT.COM

Facebook






कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें

If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...