शुक्रवार, 28 जनवरी 2022

জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে প্রাথমিক ভাবে কী করণীয়

 

হঠাৎ ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজ্বর হওয়া যে কারো জন্য খুবই সাধারণ একটি বিষয়। ঠান্ডা বা সর্দিজ্বর মানুষকে খুবই সামান্য কারণে যেমন ভোগাতে পারে, তেমনি সহজেই সেরেও যেতে পারে। সর্দিজ্বর পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হওয়া রোগগুলোর একটি।একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির বছরে ৪ থেকে ৬ বার এবং একটি শিশুর বছরে ১০ থেকে ১২ বার সর্দিজ্বর হওয়া স্বাভাবিক বিষয়।অর্থাৎ, আপনার জীবদ্দশায় ২০০ বারের বেশি সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপনার।


সর্দিজ্বর ও ফ্যারিঞ্জাইটিস রোগ কি
নানা ধরনের জীবাণুর আক্রমণ থেকে সর্দি প্রভৃতি রোগ হয় এবং টা থেকে গলকক্ষ আক্রান্ত হয়। একে বলে ফ্যারিঞ্জাইটিস রোগ।


 সর্দিজ্বর বা ফ্যারিঞ্জাইটিস রোগ কিভাবে হয়
 শ্বাস নালি, গলকক্ষ ও মাথার বিভিন্ন sinus এ রোগ জীবাণুর আক্রমণ থেকে সর্দি রোগ হয়। তার সঙ্গে থাকে ঠান্ডা, অনিয়ম, জলে ভেজা, পেট গরম হওয়া প্রভৃতি গৌণ কারণ । সাধারণত কয়েক ধরনের virus আক্রমণ করে রোগ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া কয়েক জাতের জীবাণু যেমন streptococcus প্রভৃতি আক্রমণ করতে পারে সাসজন্ত্র যন্ত্রকে।


১) এই সর্দিজ্বর বা ঠান্ডা লাগার কারণ ভাইরাস সংক্রমণ।একসময় ধারণা করা হতো একটি বিশেষ গোত্রের ভাইরাসের মাধ্যমেই শুধু সর্দি হয়। তবে ৮০'র দশকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয় যে মোট সাতটি গোত্রের ভাইরাসের কারণে সর্দিজ্বর হয়ে থাকে।

২) ঠান্ডার মৌসুমে বা শীতের সময় এই ভাইরাসগুলো দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার মত পরিবেশ পায় বলে শীতের সময় সর্দি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায় এবং শীতের সময় মানুষের বেশি সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) সর্দিজ্বর সংক্রমিত থাকা অবস্থায় নাসারন্ধ্রের ভেতরে মিউকাস লাইনিং অতিক্রম করে প্রবেশ করে সংক্রমণকারী জীবাণু। এর ফলে নাাসরন্ধ্রের ভেতর অতিরিক্ত সর্দি জমা হয়, ডাক্তারি শাস্ত্র যেটিকে 'রাইনোরেয়াা' বলা হয়।

 কিভাবে চিনবেন
১) গা,হাত, পা ব্যাথা, শরীরে ক্লান্তি, মাথা ধরা, মাথা ব্যথা গলা সুরসুর করা, বার বার হাচি, নাকদিয়ে জল পড়া ।
২) অল্প অল্প শিতবোধ, নাড়ি দ্রুত ও চঞ্চল হয় ।
৩) শুকনো কাশি বা কাশির সঙ্গে সামান্য কফ বের হতে পারে 


৪) নাক দিয়ে জল পড়া বা মাঝে মাঝে চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে ।
৫) মাথার sinus, বুক, বায়ুনালী প্রভৃতিতে সর্দি জমতে পারে।
৬) এর প্রথম দিকে বা মাঝের দিকে জ্বর হতে পারে। জ্বর খুব বেশি হয় না , ৯০-১০১  ডিগ্রী হয়।

সর্দি যেন ছড়িয়ে না পড়ে
ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই সর্দিজ্বর আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি অন্যের মধ্যে রোগ ছড়াতে পারেন। ঠান্ডা যেন ছড়িয়ে না পরে সেজন্য কয়েকটি পদক্ষেপ মেনে চলা যায়।গরম পানি ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ঠান্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তোয়ালে বা গৃহস্থালির দ্রব্যাদি (যেমন কাপ, প্লেট) শেয়ার না করা। ঠান্ডা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর নিজের চোখ বা নাক স্পর্শ না করা।

জটিল অবস্থা
১) এটি পরে ক্রনিক ফ্যারিঞ্জাইটিস এ পরিনত হতে পারে।


২)  এ থেকে ল্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে পরবর্তীকালে।
৩) এমনকি এটা থেকে ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া প্রভৃতি হবার আশঙ্কা থাকতে পারে ।


আমাদের করণীয়
১) রাত্রিতে শোবার আগে গরম জলে পা দুটি ধুয়ে ফেলা ও চেটর গরম সরষের তেল মালিশ করা বেশ উপকার ।
২) মিছরির সরবতে, আদা ও গোলমরিচ, পিপুল দিয়ে একসঙ্গে ফুটিয়ে খেলে ভালো ফল দেয় ।
৩) তুলসী পাতার রস মধু মিশিয়ে রোজ ২-৩ বার খেলে ভালো ফল দেয়।

                                       
৪) তাছাড়া, vicks inhaler বা vicks vaporub নাকে টেনেও ভাল ফল পেতে থাকেন ।


প্রাথমিক চিকিৎসা
১) প্রথমেই paracetamol জাতীয় কোনো ঔষধ দিনে দুইবার নিয়ে হবে এবং এর সাথে alkali জাতীয় কোন ঔষধ নিলে ভালো। 
                                           
২) এতে জ্বর বা ঠান্ডা না কমলে যে কোন একটি antibiotic নিতে হবে- mox-500, ampelox, wymox-250, amotid-500 ইত্যাদি।
৩) কাশির জন্য যে কোনো একটি cough syrup নিতে হবে--- corex syrup, coscopin syrup, eledex syrup ইত্যাদি।
৪) গলা সুরসুর করলে strepsils লজেন্স ভালো আরাম দেই।




কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
১) সর্দিজ্বর সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যে সেরে গেলেও বেশিদিন সর্দিজ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

২) "টানা সাতদিনের বেশি সর্দিজ্বর থাকলে বা টানা তিনদিনের বেশি সর্দির সাথে উচ্চমাত্রায় জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।"

৩) শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ক্ষেত্রে সাতদিন অপেক্ষা না করার পরামর্শ দেন মিজ আখতার। শিশুদের তিনদিনের বেশি সর্দি থাকলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

৪) সর্দির সময় শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হলে বা বুকে ব্যাথা হলেও অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মিজ. আখতার।

৫) এছাড়া হঠাৎ সর্দি পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, কিডনি বা ফুসফুসের রোগ থাকলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

 আমাদের লেখা আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিবেন এবং আমাদের পেজ শেয়ার করবেন। আমাদের চ্যানেল subscribe করুন।


www. everything0365.blogspot.com

Facebook

Youtube


                                       































कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें

If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...