सोमवार, 31 जनवरी 2022

শেক্সপিয়ারের পাঁচটি ট্রাজেডি নাটকের বই





উইলিয়াম্‌ শেইক্‌স্পিয়ার্‌

উইলিয়াম্‌ শেইক্‌স্পিয়ার্‌ ব্যাপ্টিজম ২৬ এপ্রিল, ১৫৬৪; মৃত্যু ২৩ এপ্রিল, ১৬১৬ ছিলেন একজন ইংরেজ কবি ও নাট্যকার। তাঁকে ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং বিশ্বের একজন অগ্রণী নাট্যকার মনে করা হয়। তাঁকে ইংল্যান্ডের "জাতীয় কবি" এবং "বার্ড অফ অ্যাভন" অ্যাভনের চারণকবি নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। তাঁর যে রচনাগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দুটি দীর্ঘ আখ্যানকবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। কয়েকটি লেখা শেকসপিয়র অন্যান্য লেখকদের সঙ্গে যৌথভাবেও লিখেছিলেন। তাঁর নাটক প্রতিটি প্রধান জীবিত ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অপর যে কোনো নাট্যকারের রচনার তুলনায় অধিকবার মঞ্চস্থ হয়েছে।

শেকসপিয়রীয় বিয়োগান্তক নাটক বা ট্রাজেডি

১ )রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট

২) কোরিওলেনাস

৩) টাইটাস অ্যান্ড্রোনিকাস†

৪) টাইমন অথ অ্যাথেন্স†

৫) জুলিয়াস সিজার

৬) ম্যাকবেথ†

৭) হ্যামলেট

৮) ট্রইলাস অ্যান্ড ক্রেসিডা‡

৯) কিং লিয়ার

১০) ওথেলো

১১) অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা


হ্যামলেট

নাট্য ঘটনা শুরুর পূর্বে হ্যামলেট তার পিতার রহস্যময় মৃত্যুতে  শোক বিহুল। রাত প্রহরী দের কাছে থেকে জানতে পারেন পাশের একটি দুর্গে তার পিতার আত্মা দেখা গেছে । হ্যামলেট সেখানে গিয়ে পিতার আত্মার সাথে কথা বলে জানতে পারে তাকে হত্যা করেছে হ্যামলেটের কাকা এবং হ্যামলেট যেন পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেই। হ্যামলেটের পিতাকে হত্যা করার পর তার মাকেও বিয়ে করে নিয়েছে।পিতার আত্মার কাছে থেকে এগুলো শুনার পর হ্যামলেটের জীবন প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলতে লাগলো। কিন্তু সে একটি দ্বিধার মধ্যে আটকে পরে to be or not to be। পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে সে একবার এগোয়, একবার পিছয়। এদিকে তার প্রিয়তমা ওফেলিয়ার অকালে মারা যান। হ্যামলেট আরো ভেঙে পড়লো । কিন্তু একদিন সে একটা সুযোগ পেয়ে বসলো। সেই দিন রাজাকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করলো । আর এইভাবেই নায়ক - নায়িকা উভয়ের মৃত্যুতে হ্যামলেট নাটকের ট্র্যাজিক পরিনতি নেমে আসে।  কেউ মনে করেন, দার্শনিকতা হ্যামলেটের ট্র্যাজেডির কারণ, আবার কেউ বলেন, কর্তব্য পালন করতে না পারার কারণই তার ট্র্যাজেডির কারণ । যাইহোক, হ্যামলেট শেক্সপিয়ারের সর্বাধিক জনপ্রিয় নাটক গুলির অন্যতম । হ্যামলেটের দ্বিধা দ্বন্দ্ব আজকের জীবনে নতুন তাৎপর্য বহন করে । সম যুগের প্রেক্ষিতে তিনি অতিপ্রাকৃত ঘটনাকে আশ্রয় দিলেও মানব সত্তার যে সংকট সমস্যা ও ট্র্যাজেডির ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তা নাট্যকারকে শাশ্বত দান করেছে, বাহ্য আয়োজন ও ঘটনা সংযোজন হ্যামলেটের নাট্য রূপকে দিয়েছে অপরিসীম মর্যাদা।


রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট

রোমিও ও জুলিয়েট একে অপরকে খুব ভালো বাসে। কিন্তু তাদের দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক খুব খারাপ। তাছাড়া কোনো কারণে রোমিও টাইবালট কে হত্যা করে, যে জুলিয়েট এর পরিবার থেকে ছিল । এই বৈরিতার কারণে তারা দুই এক সন্ন্যাসীর সাহায্যে পোগণে বিয়ে করে । কিন্তু জুলিয়েটের বাবা অন্য কোথায় বিয়ে দিতে চাইলে, জুলিয়েট সেই সন্ন্যাসীর কাছে থেকে এক এমন দ্রব্য পান করে যাতে সে অজ্ঞান হয়ে থাকবে কিন্তু মরবে না, চল্লিশ ঘণ্টা পর  আবার জ্ঞান ফিরে পাবে।। আর এই খবর সন্ন্যাসীর সাহায্যে পাঠানো হয়, রোমিও কে, কিন্তু তা সঠিক সময়ে তার কাছে পৌঁছায় না।  এদিকে রোমিওর কাছে জুলিয়েটের মৃত্যুর খবর চলে যায়। তাই শুনে  দুঃখে দিশেহারা হয়ে রোমিও বিষ নিয়ে জুলিয়েটের কাছে আসে । রাস্তায় কাউন্ট প্যারিসের সঙ্গে তার যুদ্ধ হয় এবং সে প্যারিসকে হত্যা করে। তারপর জুলিয়েটের সমাধির পাশে এসে নিজেও বিষ পান করে আত্মা হত্যা করে। আর চল্লিশ ঘণ্টা পর জুলিয়েট জ্ঞান ফিরে পেয়ে দেখে রোমিও মরে পড়ে আছে। তাই সেও ছুরি আঘাতে নিজে শেষ করে দেয়। এই ভাবে দুজন তরুণের প্রেম কাহিনীর অবসান ঘটে তাদের পরিবারের বৈরিতার জন্য। আর এখানেই নাটকের ট্র্যাজিক ফুটে উঠেছে।


ম্যাকবেথ

ম্যাকবেথ স্কট ল্যান্ডের রাজা ডানকানের সেনাপতি ছিলেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে তিন ডাইনি সঙ্গে দেখা হয় এবং তারা ম্যাকবেথ এর জন্য তিনটি ভবিষ্যত বাণী করে এবং দুটি সত্যি হয়ে যায়। আর শেষের ভবিষ্যত বাণী ছিল সে স্কট ল্যান্ডের রাজা হবে। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব। যেহেতু রাজা এখনো জীবিত। ঘটনা চক্রে রাজা একবার তাদের বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন আর ম্যাকবেথ তার স্ত্রীর প্ররোচনায় রাজাকে হত্যা করেন। আর এই ভাবে তিন ভবিষ্যত বাণী সত্যি হয়। কিন্তু তার জীবনে শান্তি আসে না। কারণ রাজা ছেলেরা জীবিত । তার বন্ধু ব্যাঙ্ক সেই সব ভবিষ্যত বানীর কথা জানত বলে ম্যাকবেথ তাকেও হত্যা করে এবং তার ছেলেরা পালিয়ে যায় । ম্যকডাফ নামে এক সাহসী বীর ছিল ম্যাকবেথ তার স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করে। তারপর তারা সবাই এক সঙ্গে হয়ে বিশাল একটা সৌনবাহিনী গঠন করে ম্যাকবেথ হত্যা করার জন্য । ম্যাকবেথ এর স্ত্রী মারা যায় আর তখন থেকে তার খারাপ সময় শুরু হয়।  তিনি ডাইনিদের সাথে দেখা করলে তারা বলে, ব্রিনহামের জঙ্গল ডান সিনের পাহাড়ের দিকে না আসা পর্যন্ত তাকে কেউ মারতে পারবে না। ম্যাকবেথ আশ্বস্থ হলো। কিন্তু একদিন ব্রিন হামের জঙ্গল হাঁটছে। আসলে ডনালবেনের সেনারা গাছের ডাল নিয়ে দিনের বেলায় বসে থাকে আর রাত্রে ছুটে আসত ম্যাকবেথ কে আক্রমণ করতে। একদিন তারা ম্যাকবেথ কে আক্রমণ করলো এবং যুদ্ধে সে মারা গেলো। আর ডাইনিদের ভবিষ্যত বাণী মিথ্যা হলো। এই ভাবে ম্যাকবেথ এর ট্র্যাজেডির পরিনতি ঘটলো।


ওথেলো

ওথেলো নাটকের নায়ক । সে ছিল নিচু বংশের একজন বীর । তার বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে দেসদিমনা সবার আপত্তি থাক সত্বেও ওথেলো কে বিবাহ করে। এই নাটকের খলনায়ক হলো ইয়াগো। সে ওথেলোর বন্ধু সেজে তার জীবন সর্বনাশ করে দেয়। ইয়াগো তাকে বুঝিয়েছে যে দেসদিমনা বিশ্বাস ঘাতিনি, অন্য যুবকের প্রতি আসক্ত এবং ওথেলো র দেওয়া রুমাল সেই যুবক কে উপহার দিয়েছে। ওথেলো তার উপর বিশ্বাস করে নিয়ে দেসদিমনা র কাছে যায়।  সে রুমাল টি দেখতে চাইলে দেসদিমনা দেখাতে পারে নি। তার সন্দেহ সত্য হয় এবং সে দেসদিমনাকে গলা টিপে হত্যা করে সেখান থেকে চলে যায়। পরেই দেসদিমনার পরিচারিকা এফিলিয়া উপস্থিত হয়ে জানতে চাই, তার এই অবস্থা কে করলো, কিন্তু দেসদিমনা কিছু না বলে নিজের উপর দায় চাপিয়ে নেই।এবং ওথেলো র জন্য শেষ প্রণয় সম্ভাষণ জানিয়ে মারা যায়। তারপর ওথেলো এফিলীয়া র কাছে থেকে সেই রুমালের সরযন্ত্রের কথা জানতে পারে । এফিলিযা ইয়োগোর স্ত্রী, এবং সে তাকে দিয়ে রুমালটি চুরি করিয়েছিল।  এই সত্য জানার পর ওথেলো আক্ষেপ ও অনুসূচনায় হাহাকার করতে করতে আত্মহত্যা করে। তবে এটুকু বুঝতে পারা যায় যে, ওথেলো যত বড় বীর ঠিক তত বিচক্ষণ না। কারণ অন্যের কথা শুনে স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে তাকে হত্যা করতো না । সত্য জানার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছে। আর এখানেই  নাটকের ট্রাজেডি লুকিয়ে আছে ।


কিং লিয়ার

রাজা লিয়ার বৃদ্ধ হয়েছেন। তাই তিনি তার রাজ্যকে তিন কন্যার (গণেরিল, রেগান ও কর্ডেলিয়া) নামে ভাগ করে দিবেন। তাই রাজা বুদ্ধি করে জানতে চাইলেন কোন মেয়ে তাকে কতটা ভালোবাসে। বড় দুই মেয়ে খুব চালাক ছিল, একজন বললো তরকারিতে নুনের মতো তার জীবনে বাবার ভূমিকা। অন্যজন জানালো বাবাকে সে নয়ন মনির মত ভালবাসে। কিন্তু ছোটো মেয়ে সত্য কথা বললো, মেয়ে হয়ে বাবাকে যতটা ভালোবাসা উচিত, ঠিক ততটাই ভালোবাসি। রাজা এই সত্যের মধ্যে ভালবাসা র অভাব বুঝতে পেরে তাকে রাজ্যপাট থেকে বঞ্চিত করলেন। অল্প দিনের মধ্যেই সত্যের প্রকাশ হলো। রাজা দেখলেন তার দুই মেয়ে মোটেও ভালোবাসে না। তাই ঝড় বৃষ্টির রাতে তিনি ঘোরা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন এবং ঝড় মিলে মিশে একাকার হলেন। পিতার এই রকম অপমান দেখে কর্দেলীয়া তার সেনা নিয়ে তার দুই বোনকে আক্রমণ করলো কিন্তু পরাজিত হয়ে বন্দী হয়ে গেলো সঙ্গে পিতাও ছিলেন । কর্দেলিয়ার ফাঁসি হলো। এই খবর শুনে রাজাও আত্মহত্যা করলো। অন্য দুই বোন এডমন্ড কে ভালো বাসার দ্বন্দ্ব নিয়ে রেগণ কে বিষ খাইয়ে নিজে আত্মহত্যা করে। এই ভাবে একে একে সব চরিত্রের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে ট্র্যাজিক  নাটকের সমাপ্তি ঘটে।



WWW.EVERYTHING.BLOGSPOT.COM

FACEBOOK

YOUTUBE




कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें

If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...