शुक्रवार, 28 जनवरी 2022

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখুন সুস্থ থাকুন



ডায়াবেটিস রোগটি আজ প্রায় সকলের জানা। সকলেই জানে এই রোগ হলে তার চিকিৎসা কি কিংবা কিভাবে একে দমন করা যায়। কিন্তু এর উৎপত্তির ইতিহাস করো হয়তো ঠিক ঠাক জানা নেই।

ডায়াবেটিসের ইতিহাস

ডায়াবেটিস বা মধুমেহ বা বহুমুত্র রোগ যে খুব প্রাচীন তার প্রমাণ আছে প্রাচীন আয়ুর্বেদে।  প্রাচীন আয়ুর্বেদ পণ্ডিত সুশ্রুত প্রভৃতির গ্রন্থে অবিকল এই রোগের লক্ষণযুক্ত রোগীর কথা বলা হয়েছে। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন বহুমুত্র রোগ। এমনকি চরক তার গ্রন্থে মধুমেহ রোগ বলে বর্ণনা করেছেন ।


প্রাচীন ইউনানি ও হেকিমি গ্রন্থে এই রোগের কথ্য বর্ণনা ক রা হয়েছে । তারা বলেছেন," এটি বিলাসী লোকদের কর্মবিমুখতার ফল"। তারা বাদশা বেগম সকলকেই হালকা ব্যায়াম করতে পরামর্শ দিয়েছেন এই রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য।

ভারতে ডায়াবেটিসের প্রভাব

বিগত সুদীর্ঘ কাল ধরে ভারতে এটি হলেও ব্রিটিশ আমলে এর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ব্রিটিশ শাসনের ছায়াতলে থাকা এক শ্রেণীর জমিদার, বিলাসী বাবু, জোতদার নানান আয়েসি লোকের পরিমাণ প্রচুর বৃদ্ধি পায়। তারা বেশি শ্রম করতো না, খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে আরাম করে তাদের দিন কাটতো। খাওয়া, ঘুম, একটু আধটু কাজ দেখাশুনা করা, পায়রার লড়াই দেখা, কারণে অকারণে ভোজ দেওয়া খাওয়াই ছিল তাদের কাজ।

বর্তমানেও বংশ গত ভাবে বসে বসে ব্যাবসা করা যাদের পেশা ও নেশা তাদের মধ্যেই এই রোগের পরিমাণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে ।

আগেকার দিনে ধারণা ছিল, ডায়াবেটিস প্রধানত শহর অঞ্চলের রোগ এবং টা ক্রমে ক্রমে গ্রাম অঞ্চলেও এই রোগ প্রচুর দেখা যাচ্ছে। তবে গ্রামে যে ডায়াবেটিস হয় টা মূলত অপুষ্টি বা শর্করা খাবার বেশি খাওয়া কিংবা প্রোটিন একেবারেই না খাওয়া ।

একটা কথা বলে রাখি, "যে সব রোগী জানে, তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি লোকই তা জানে না ওদের ডায়াবেটিস হয়েছে ।  অর্থাৎ, প্রতি চারজনে একজন জানে তার রোগের কথা কিন্তু বাকি তিন জন জানেই না । তবে ভারতের পূর্বাঞ্চলে মোট লোকসংখ্যার শতকরা প্রায় দুই - তিন ভাগে জানতে বা অজান্তে এই রোগে ভুগছে ।"

ডায়াবেটিস কোনো সাধারণ রোগ নয়

 বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে ইনসুলিন আবিষ্কার হলো। তারা ভাবলেন এবার হয়তো ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, এই রোগ সহজেই সরানো যাবে এবং এটি মারাত্মক নয়। কিন্তু সেগুরে বলি। ধীরে ধীরে দেখাগেলো  কেবলমাত্র রক্তের চিনি কমিয়ে দেওয়াটাই যথেষ্ট না, চিনি কমিয়ে রাখলে রোগীর দেহের ধমনী জলিকাগুলি ক্রমে সংকোচনের দিকে যেতে থাকবে এবং বিভিন্ন রোগের সৃষ্টির মাধ্যমে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । তাই বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিস কে আজ একটি বিশেষ জটিল রোগ বলে থাকেন,  কারণ এই রোগকে সম্পূর্ণ সরানো যায় না। 

ডায়াবেটিস কি বংশগত রোগ

ডায়াবেটিস কে কেউ কেউ বংশ গত রোগও বলে থাকেন। তবে বংশের একজনের এটি থাকলে তার সন্তানদেরও হবে , সে বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই । তা সত্বেও এটি ভয়াবহ রোগ।  কারণ একজনের সন্তান হলে যদি এই রোগ হয় এবং তার পরের কোনো সন্তানের হয়, টা হলে এটি খুব  গভীর উৎবেগের কথা, এটি বংশ গত হতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই ভাবেই এই রোগ বাড়তে বাড়তে আজ এত বেশি । 

একটি নারীর মধ্যে ডায়াবেটিস রোগের মূল লুকিয়ে আছে কিনা জানা যায়, তার প্রথম সন্তান হলে।  যদি একটি সন্তান ভূমিষ্ট হবার সময় খুব বড় হয় এবং সাড়ে ৪- ৫। কিলো গ্রাম ওজন হয়, টা হলে তার জন্যে আনন্দিত হবার দরকার নেই । এর থেকে প্রমাণিত হয় যে নারীর দেহে ডায়াবেটিজনিত মূল সুপ্ত অবস্থায় আছে।  কারণ দেহে অতিরিক্ত চিনি জমে না এদের এবং তা সন্তানকে বেশি পরিবর্ধিত করে তোলে ।

কোন বয়সের রোগীর কাছে এটি জটিল রোগ

দেখা গেছে, ২৫ বছর বয়সের আগে হলে ইনসুলিন ব্যাবহারে ডায়াবেটিস সারে। কিন্তু ৪০ বছরের কাছাকাছি হলে তাও খুব কঠিন না। তারা চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ থাকে । কিন্তু ২৫-৪০ বছরের মধেকার বয়সের ক্ষেত্রে রোগীদের চিকিৎসা করা খুব কঠিন। কারণ এদের কখনো মুখে ঔষধ সেবন কাজ হয় না আবার ইনসুলিন দিলেও তার সাময়িক ভালো থাকে, কিন্তু তার পরে তাদের রোগ লক্ষণ 
                                      
ক্রমে চলতেই থাকে। তাই এর মুক্তি পেতে চিকিৎসক রা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও মাঝে মাঝে ইনসুলিন করার কথা বলেন ।  আজ পর্যন্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও মাঝে মাঝে ইনসুলিন দেওয়া হয়। এটা করা উচিত মনে না হলেও এর থেকে অবস্থা আরো বিপজ্জনক হতে পারে।   এই রোগ থেকে গ্যাংগ্রিন, নেফ্রাইটিস , প্রেসার বৃদ্ধি প্রভৃতি রোগও হতে পারে। 

সাধারণ লক্ষণ
১) ঘনঘন প্রস্রাব হয়, বারবার পিপাসা পাই। প্রস্রাবে হলুদ হয়, এতে গ্লুকোজ থাকে।
২) প্রচন্ড ক্ষুধা পাই। শরীর দূর্বল ও শীর্ণ হয়ে যায়। বার বার খেলেও যেন পেট ভরে না অনুভব হয়।
৩) দেহের চামড়া খসখসে হয়ে যায়, চুল শুকনো ও পাতলা হয়ে যায় ।
৪) কোষ্টকাঠিন্য হয়, দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়। রোগী বিমর্ষ ভাবে বসে থাকে ।
৫) অনেক সময় চুলকানি, ফোঁড়া, ব্রণ হয়। 
৬) মাথা ধরা, মাথাব্যাথা ঘনঘন দেখা যায়, কখনো গা ভীষণ জ্বালা করে।
৭) অনেক সময় ব্লাড প্রেসার বেড়ে গিয়ে স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৮)  দেহে কোনো কাটা বা ঘা হলে তা সহজে শুকোতে চায় না।

খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত
১)ডায়াবেটিস রোগ হলে শর্করা খাবার অর্থাৎ চিনি, আলু, মুড়ি, মিষ্টি প্রভৃতি বর্জন করতে হবে।

২) এর শ্রেষ্ট খাদ্য তালিকা হলো প্রোটিন জাতীয় খাদ্য, সামান্য ফল ও খুব কম শর্করা।
৩) সাধারণ খাদ্য হবে - প্রোটিন -১৫০-২০০ গ্রাম।
                                       ফ্যাট - ৫০ গ্রাম।
                                       শর্করা- ১০০-১৫০ গ্রাম।
                                                                                                 
৪) ভাত অতি অল্প।তবে রুটি খেলে বেশি ভালো হয় । ছানা, মাছ, মাংস, ডিমের ঝোল, দুধ, দই প্রচুর খেতে হবে। শাক, শসা, পটল, উচ্ছে, ফুলকপি, পালং শাক, টমেটো খেতে হবে। নারকেল, তরমুজ, আপেল খাওয়া উপকারী।

                                            

**
তবে যদি কোন বাক্তিকে ডায়াবেটিস রোগ হয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে সেই হিসাবে খাদ্য তালিকা করতে  হবে। মনে ভয় নিবেন না, যতটা বলা হয় ততটা হয় না, তবে সাবধান থাকা চাই। নিজে সাবধান থাকব এবং সবাইকে সাবধান থাকতে বলবো।


আমাদের লেখা আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিবেন এবং আমাদের পেজ শেয়ার করবেন। আমাদের চ্যানেল subscribe করুন।

www. everything0365.blogspot.com

Facebook

Youtube


                                       























कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें

If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...