MTC -এর বিভিন্ন এক্টিভ গ্ৰুপ। নিজেকে প্রস্তুত করতে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন। অর্থাৎ এক জায়গায় সব পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সুন্দর সুযোগ । আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নিচের গ্রূপে জয়েন করুন :- ১) গ্ৰুপ সি ও ডি পরীক্ষার মক টেস্টের জন্য জয়েন করুন :- https://chat.whatsapp.com/GJahUMGongGHo1cRCn5UOZ?mode=ems_copy_t ২) টেট ( প্রাইমারী ও আপার প্রাইমারী) প্রস্তুতির মক টেস্টের জন্য জয়েন করুন:- https://chat.whatsapp.com/GQccKoBthHEAKR2Mi626dx?mode=ems_copy_t ৩) SLST / MSC / WBPSC পরীক্ষার মক টেস্টের জন্য জয়েন করুন :- https://chat.whatsapp.com/E6otGzp8Zsk9HpvirrNQk1?mode=ems_copy_t ৪) INTERVIEW প্রস্তুতির মক টেস্টের জন্য জয়েন করুন :- https://chat.whatsapp.com/DT1cOqbjQCO8fn7WJGSM3j?mode=ems_copy_t ৫) Primary Interview Mock -এর জন্য জয়েন করুন :- https://chat.whatsapp.com/GQccKoBthHEAKR2Mi626dx?mode=ems_copy_t FOR MORE RELATIVE ✅Ssc GD Constable Model Question Paper 2023 Pdf Download in Hindi Earn money online ✅ विलोम वर्तनी पर्यायवाची मुहावरा PRACTICE SET...
মানব দেহের পরিচয় দিতে গেলে বৈজ্ঞানিক মতে তাকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায় । এই চারটি ভাগকে আরো বিশ্লেষণ করলে একাধিক ভাগের হিসাব পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রকার কোষ, বিভিন্ন প্রকার কলা, অনেক রকম গ্রন্থি, একাধিক রকমের অস্থি বা হাড়, বিভিন্ন প্রকার পেশী, এবং সর্বোপরি রক্ত। এই ভাগে আমরা রক্ত নিয়ে আলোচনা করবো ও জানবো।
রক্ত কি
মানবদেহের বিভিন্ন উপাদান গুলির মধ্যে রক্তের ভূমিকা অপরিসীম। রক্ত একটি তরল জলীয় পদার্থ। এর রঙ লাল। এটি পরিবহন নালী, শিরা ও ধমনী দিয়ে বাহিত হয়ে জীবকোষের সঞ্জীবনী শক্তির প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ফুসফুস থেকে শ্বাস ও প্রশ্বাসের অক্সিজেন নিয়ে হৃৎপিন্ডে ফিরে আসে। দেহ থেকে নিঃসৃত বর্জনীয় পদার্থ ও কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে বিশুদ্ধ করার জন্য ফুসফুসে রক্ত প্রবাহিত হয়।
এই রক্ত দেহের জীবনী শক্তির অনেক কিছুই বহন করে। দেহকে একদিকে ফুসফুসের মাধ্যমে রক্ত বিশুদ্ধ করতে হয়, অন্যদিকে লিভারে এই রক্ত খাদ্য দ্রব্য জমা করে তা শরীরের কাজে লাগায়।
আবার রক্ত কিডনি তে গিয়ে ছাকনির কাজ করে এবং অশুদ্ধ পদার্থ সব বের করে দেয় । দেহের মধ্যে যে খাদ্য প্রবেশ করে, তার থেকে উদ্ভূত প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ রক্ত দ্বারা ব্যাহত হয়ে শরীরের সব টিসুকে সঞ্জীবিত, বর্ধিত ও নতুন পুষ্টির কাজে লাগায়। এমনকি শরীরে তাপ সৃষ্টি হলে তা রক্তের দ্বারা বাহিত হয়।
রক্তের উপাদান
রক্তের উপাদান হলো প্রধানত একটি তরল পদার্থ আর তাতে ভাসমান লোহিত রক্ত কণিকা ও শ্বেত রক্ত কণিকা। রক্তে অসংখ্য লোহিত রক্ত কণিকা থাকায় রক্তের রঙ লাল হয় । শ্বেত রক্ত কণিকা গুলি দেহকে বাইরের থেকে আগত সব জীবাণু থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন ধতবিক পদার্থ গুলি রক্তের বিভিন্ন অংশে প্রস্তুত হয়। তার মধ্যে প্রধান লোহ , ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, সামান্য তামা আর আয়োডিন প্রভৃতি ।
লোহ হিসাবে লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে থেকে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড জীব কোসে আদান প্রদান করে। হিমোগ্লোবিন কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করার জন্য বহন করে আনে। তাই রক্তে লোহার ভাগ বেশি থাকে । রক্ত গন্ধহীন বা স্বাদহীন নয় । রক্তের গন্ধ আঁশটে ধরনের ।
রক্ত ক্ষারকীয়, কিন্তু শরীরে অম্ল বেশি জমলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। রক্তের স্বাদ লবণাক্ত, রক্তের আপেক্ষিক গুরুত্ব ১০৮০-১০৯০ ( জলকে ১০০০ ধরলে তার তুলনায়) রক্তের উত্তাপ দেহে প্রবাহমান অবস্থায় থাকে, ৯৮.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট।
রক্তের কণিকার প্রকার ভেদ একটি ছকের সাহায্যে দেখানো হল
রক্তের গ্রুপ ছবির সাহায্যে দেখানো হলো
রক্তের পরিমাণ
সাধারণত একটি মানুষের যা ওজন তার ১২ ভাগের ১ ভাগ হলো রক্তের ওজন। তবে বিদেশিদের দেহে এটি ১৩ ভাগের ১ ভাগ হয়।
রক্তের পরিবহন
মানব দেহের হৃৎপিণ্ডের রক্তিবহ নালীদের কি সম্পর্ক ও কিভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়ে থাকে, এটি সম্পূর্ণ ভাবে জানা যায় রক্তের পরিবহন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে। বাম নিলয় থেকে শুদ্ধ রক্ত প্রধান ধমনী দিয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে প্রধান দুটি শিরা যথাক্রমে সুপিরিয়র ও ইনফিরিয়োর ভেনা কাভার মাধ্যমে অশুদ্ধ রক্ত শেষ পর্যন্ত ফিরে আসে দক্ষিণ অলিন্দে।
দক্ষিণ অলিন্দ থেকে দক্ষিণ নিলয়ে নেমে আসে। সেখান থেকে তা পাম্প হয়ে পরিষ্কার হবার জন্যে চলে যায় পালমোনারি আটারির মাধ্যমে ফুসফুসে। সেখান থেকে তা পরিষ্কার হয়ে পালমোনারি ভেন দিয়ে নেমে আসে বাম অলিন্দে। তা থেকে ভালবের মাধ্যমে বাম নিলয় দিয়ে নেমে আসে বাম অলিন্দে। তা থেকে ভালভের মাধ্যমে বাম নিলয় দিয়ে নেমে আসে। আবার তা ওটা দিয়ে সারা শরীরে পরিবাহিত হয় । এই ভাবে রক্ত চক্রাকারে হৃৎপিণ্ড থেকে বেরিয়ে সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে আবার ফিরে আসে।
এই চক্র হলো -- বাম নিলয় - > ধমনী -> শিরা -> ডান অলিন্দ -> ডান নিলয় -> ফুসফুস ধমনী -> ফুসফুস -> ফুসফুস শিরা -> বাম অলিন্দ -> বাম নিলয়।
দুটি অলিন্দ যখন সংকুচিত হয় তখন রক্ত নিলয়ে নেমে আসে। সেই সময় এক ধরনের শব্দ হয়, আবার যখন রক্ত নিলয় থেকে দেহে সঞ্চারিত হয় তখন অন্য ধরনের শব্দ হয় । এই দুটি শব্দ আমরা হৃৎপিন্ডে স্টেথোস্কোপ বসিয়ে শুনতে পাই। তা হলো লাব - ডাব - লা - ডাব।
রক্তের কাজ ছবির সাহায্যে দেখানো হলো
FACEBOOK
YOUTUBE
Comments
Post a Comment
If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com