এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির কিছু নিয়ম কানুন
বর্তমান সময়ে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার বাজার খুব রমরমিয়ে উঠেছে। তবে কেউ সঠিক জ্ঞান লাভ করার পর এই পেশার সাথে যুক্ত হয়েছেন, আবার কেউ অপ্ল স্বল্প জেনেই কাজে যুক্ত হয়েছেন । তাদের ক্ষেত্রে এই লেখা খুব কাজে আসবে। কিংবা যারা নিজেই প্রাথমিক চিকিৎসাটা বাড়িতেই সেরে নিতে চান তাদের কাছে খুব উপযোগী হবে এটি ।
এ্যালোপ্যাথিক ঔষুধ যেমন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে ঠিক তেমনি টাকা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে শরীরে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকার স্থানিক প্রয়োগের ঔষুধ এবং নানান ধরনের খাবার ঔষুধ, এমনকি ইনজেকশন প্রভৃতি আছে। তাই প্রতিটি ঔষুধ ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন।
এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করতে গেলে প্রথমেই কতগুলি প্রয়োজনীয় নিয়ম কানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে --- টা না হলে সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয়ে না, এর ফলে ফল হতে পরে হিতে বিপরীত।
এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির কিছু নিয়ম কানুন
১) এই ঔষুধ কেবলমাত্র লক্ষণের উপর নির্ভর করে দেওয়া উচিত না । তাতে ফল অন্য রকম হতে পারে । তাই সবার আগে সঠিক রোগ ও তার কারণ নির্ণয় করতে হবে। তবে রোগ নির্ণয় করার আগে সাধারণ কষ্ট উপশম কারি চিকিৎসা করতে হবে, যাকে বলে প্যালিয়েটিক চিকিৎসা। যদিও এটাই প্রকৃতি চিকিৎসা নয়।
২) যদি রোগ ঠিক ভাবে ধরা না যায়, তবে অবশ্যই প্যাথলজির সাহায্য নিতে হবে । এতে রোগীর রক্ত, মল, মূত্র , কফ, প্রয়োজন অনুযায়ী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষার প্রয়োজন । কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীর বুকের বা পেটের ছবি করতে হয় ।
৩) কোনো ঔষুধ বা ইনজেকশন কখনো সঠিক মাত্রা না জেনে প্রয়োগ করা উচিত না।
৪) যদি কোনো ঔষুধে allergy বা reaction dekha যায়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ঔষুধ বন্ধ করতে হবে ।
৫) Lanoxin, Strychine, Morphine, Caffeine, Adrenaline প্রভৃতি ঔষুধের সঠিক গুণাগুণ না জেনে বা মাত্রা বা প্রয়োগবিধী না জেনে প্রয়োগ করা উচিত না।
৬) ঘুমের ঔষুধ -- Valium, Gardinal, Chonazepum, Librus, Ativon, Calmpose, Nitrosin 5 প্রভৃতির সঠিক মাত্রা না জেনে ব্যাবহার করা মোটেই যাবে না। মনে রাখতে হবে প্রয়োজন ছাড়া ঘুমের ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না।
৭) করা ঔষুধ তখনই প্রয়োগ করা যাবে যদি তার প্রয়োজন হয় । নয়তো দেওয়া যাবে না
৮) দীর্ঘদিন ধরে একই ঔষুধ খাবার ফলে জীবাণু গুলি Resistant হতে পারে। তাই ঔষুধ Change করে নেওয়ায় ভালো হবে।
৯) অনেকই চিকিৎসার প্রথমেই Terramycin বা Tetracycline জাতীয় ঔষুধ প্রয়োগ করেন দ্রুত সুস্থ করার জন্য কিন্তু এটা ঠিক না ।
১০) রোগীকে ঔষুধ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত আনুষঙ্গিক বাবস্থাদিও যেমন খাবার বা পথ্য কি কি নেওয়া উচিত তার নির্দেশ করে দেওয়া ।
১১) রোগীর কিভাবে শুশ্রুষা হবে সেটাও ভালো ভাবে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে । সেই হিসাবে রোগী সাবধান থাকবে।
১২) রোগীর প্রেসক্রিপশন সব সময় পরিষ্কার ভাবে লিখতে হবে, তা না হলে ঔষুধ বিক্রেতার বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।
১৩) যদি কোনো রোগ কঠিন বা নিজের ক্ষমতার বাইরে , এরূপ বুঝতে পারলে অবশ্যই Specialist কে দেখাতে হবে।
১৪) পাউডার, ট্যাবলেট, পিল, মিক্সচার, ইমানসন প্রভৃতি নানাভবে দেওয়া হয় । তবে কোন রোগের কি অবস্থায় কোন ধরনের ঔষুধ প্রয়োগ করা যাবে সেটা অবশ্যই আগে জানতে হবে।
১৫) সাব কিউটেনিয়াস ইনজেকশন যতটা কাজ করে তার চেয়ে intra muslar এ দ্রুত কাজ হয়, তার চেয়ে আরো দ্রুত কাজ করে intravenous। তবে সব সময় সেটা প্রয়োগ করা যায় না।
১৬) অনেক সময় মিক্সচার বা পাউডার ইত্যাদি prescription করার সময় এক জাতীয় ঔষুধের সাথে বিপরীত জাতীয় prescription হয়। এটিকে ইঙ্কম্প্যাটিবিলিটি বলে। তাই এই রকম ঔষুধ লিখতে গেলে কোনটার সঙ্গে কোনটা চলবে তা জানা কর্তব্য।
ডাঃ পান্ডের "ফার্মাকোলজি" বা "ফার্মাকোপিয়া"
উপরের নিয়ম কানুন গুলি মেনে চললে যে কোন সাধারণ রোগের চিকিৎসা অনায়াসেই করা যেতে পারে। তবে সব বিষয় আগে জেনে নিয়ে প্রয়োগ করা উচিত ।
WWW.EVERYTHING0635.BLOGSPOT.COM
कोई टिप्पणी नहीं:
एक टिप्पणी भेजें
If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com