পালামো
খুব গুরুত্বপূর্ন
প্রশ্নের মান-২
(ক) লেখক হাজারীবাগে কখন পৌঁছেছিলেন?
উত্তর : পরের দিন প্রায় দ্বিপ্রহরের সময় লেখক হাজারীবাগে পৌঁছেছিলেন।
(খ) পর্বত সম্পর্কে দূরতা স্থির করা বাঙালির পক্ষে কঠিন কেন?
উত্তর : সমতল ভূমিতে বাস করে বলে পর্বত সম্পর্কে দূরতা স্থির করা বাঙালির পক্ষে কঠিন।
'পালামৌ' ভ্রমণ কাহিনীর লেখক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পালামৌ যাওয়ার পথে অপরাহ্নে পর্বতের এত পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে পর্বতস্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরের ছায়া পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই গাড়ি থেকে নেমে সেখানে যেতে চাইলে গাড়োয়ান জানায় যে পাহাড় অনেক দূরে। কিন্তু লেখকের কাছে পাঁচ মিনিটের পথ মনে হওয়ায় তিনি দ্রুত পনেরো মিনিটকাল হেঁটেও পর্বতের কাছে পৌঁছতে পারলেন না বলে উপর্যুক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
গ) পালামৌ গল্পের দুটি সাধারণ উদ্দেশ্য লেখ।
> সাহিত্যরূপ হিসেবে ভ্রমণকাহিনির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবেন।
> পাহাড় ও অরণ্যে ঘেরা পালামৌ অঞ্চলের জীবন ও প্রকৃতির বর্ণনা দিতে পারবেন।
ঘ) পালামৌ' লেখকের কোন ধরনের রচনা?
উ: পালামৌ' একটি ভ্রমণবিষয়ক স্মৃতিচারণমূলক রচনা।
ঙ) মৃত্তিকার দুএকটি স্থূপ দেখলেই তাহাদের আনন্দ হয়।' -ব্যাখ্যা করুন।
উ:- , উক্তিটির মধ্য দিয়ে লেখক তার পাহাড় দেখার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
সমতল অঞ্চলের মানুষ সমতল মাঠ দেখে অভ্যস্ত। আমাদের পাহাড়-পর্বত দেখার সুযােগ তেমন একটা ঘটে না। কেবল উঁচু ঢিবি দেখেই আমরা আনন্দ অনুভব করি। আর পাহাড় দেখার সুযােগ পেলে তাে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। আলােচ্য রচনাটির লেখকও সমতল অঞ্চলের মানুষ। তাই পালামৌ' অঞ্চলে ক্ষুদ্র পাহাড় দেখে তিনি আনন্দে
অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন।
প্রশ্নের মান-৫
ক) উদ্দীপকটি পালামৌ' রচনার কোন বিষয়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? -আলােচনা করুন।
উ:- উদ্দীপকটির বিষয়বস্তু 'পালামৌ' রচনায় বর্ণিত পাহাড়ি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রকৃতি মানুষের মনে অপার আনন্দের সঞ্চার করে। এই আনন্দ পাওয়ার জন্য মানুষ ছুটে যায় প্রকৃতির রাজ্যে। পাহাড়ও প্রকৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। পাহাড়ের অনুপম সৌন্দর্য মানুষের নয়ন ও মন দুটোই কেড়ে নেয়। ছােট-বড় নানা রকম পাহাড়ের বর্ণনা উদ্দীপক ও ‘পালামৌ' রচনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। অপরূপ প্রকৃতি উদ্দীপকের রাঙামাটি এবং পালামৌ উভয় অঞ্চলকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে।
লেখক পালামৌতে গিয়ে সেখানকার পাহাড়-পর্বত দেখে অভিভূত হয়েছেন। সেখানে এত বড় পাহাড় রয়েছে যে নদী, আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি কিছুই দূর হতে গােচরে আসে না। তার কাছে সেখানকার পাহাড়গুলােকে বিচলিত নদীর সংখ্যাতীত তরঙ্গ বলে মনে হয়েছে। উদ্দীপকে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার পাহাড়ের কথা বলা হয়েছে। সেখানে প্রথমে নিচু পাহাড়, তার পরে উচু পাহাড় চোখে পড়ে। এলাকাটি যেন পাহাড়ে পাহাড়ে একাকার হয়ে আছে। পাহাড়ের সারি আকাশ আর মেঘকে দৃষ্টিসীমার বাইরে নিয়ে যায়। পাহাড়ের এই অপূর্ব সমন্বিত অবস্থান ‘পালামৌ” এবং উদ্দীপকের রাঙামাটি অঞ্চলের মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
উ:-পাহাড়ের সারি পালামৌ' ও উদ্দীপকের রাঙামাটি অঞ্চলকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে বলে উভয়ের বর্ণনা এক ও অভিন্ন। পাহাড় দেখা আনন্দের শিহরণ জাগায়। উঁচু পাহাড় আর নিচু পাহাড়ের সৌন্দর্য মানুষ প্রাণভরে উপভােগ করে। মেঘের কোলে পাহাড় আর পাহাড়ের কোলে মেঘ এক অনির্বচনীয় সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। মানুষ যুগ যুগ ধরে প্রকৃতির এই মােহময়তায় মুগ্ধ হয়েছে। উদ্দীপক ও ‘পালামৌ' রচনায় এমনই এক পাহাড়শ্রেণির উল্লেখ রয়েছে।
উদ্দীপকে রাঙামাটি অঞ্চলের পাহাড় সারির বর্ণনা উপস্থাপন করা হয়েছে। পালামৌতেও দেখা যায় পাহাড়গুলাে বিচলিত নদীর মতাে তরঙ্গায়িত, শুধু তূপাকৃতির নয়। কোথাও কোথাও পাহাড়গুলাে একশিলা, তবু কত বৃক্ষকে ধারণ করে আছে। নিয়মিত বৃষ্টিস্নাত হয় না বলেই সেখানকার পাহাড়গুলাে পেয়েছে এক বিশেষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পালামৌতে লেখকের চোখে পড়েছিল শাল, কদম্ব প্রভৃতি বৃক্ষ। পালমৌর জঙ্গল অতি দুর্গম, কোথাও তার ছেদ নেই। লেখক সেখানে দেখেছিলেন পর্বত ছায়ায় রম্য অর্ধশুষ্ক একটি ক্ষুদ্র প্রান্ত যেখানে মধু বা মৌয়াবৃক্ষ ব্যতীত আর কিছু নেই, সব জায়গা অতি পরিষ্কার।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার মনােলােভা বর্ণনা এবং ‘পালামৌ'-এর নান্দনিক উপস্থাপনা আমাদের কাছে মনে হয় একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পাহাড়শােভিত উভয় অঞ্চলের চিত্রই আমাদের সমভাবে আকৃষ্ট করে। উদ্দীপকে বাংলাদেশের রাঙামাটি অঞ্চলের পাহাড় ও ‘পালামৌ'-এর পাহাড়ের বর্ণনা যেন একসূত্রে গাঁথা।
DOWNLOAD FULL BOOK OF পালামৌ
গ) 'বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।' উক্তিটি বুঝিয়ে বলুন।
উ:- মূলভাব: প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে যেহেতু প্রতিটি জিনিসই স্ব-স্ব স্থানে সুন্দর ও মানানসই,তাই তাদের নিজ স্থান থেকে সরিয়ে তার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে ব্যাহত করা উচিত নয়। কেননা তাকে সরিয়ে যতই আনন্দ-সুখ-শান্তি দেওয়া হােক না কেন তাতে তার আসল প্রাণচাঞ্চল্য, সৌন্দর্য ও স্বাভাবিকতা ফুটে ওঠে না।
সম্প্রসারিত ভাব : পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীই আপন পরিবেশের সৃষ্টি। আর তাই আপন পরিবেশ থেকে বিচ্যুত হলে তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। কেননা সব কিছুরই সৌন্দর্য ও বিকাশ প্রকাশ পায় সেগুলাের নিজ নিজ পরিবেশে। আমরা জানি, স্ব-স্ব পরিবেশে সব জিনিসই সুন্দর দেখায়।
এ কারণে কোনাে জিনিসের সৌন্দর্য অবলােকন করতে হলে তাকে অবশ্যই তার নিজস্ব পরিবেশে রেখে দেখতে হবে । সমগ্র পৃথিবীতে বিভিন্ন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে অসংখ্য জাতি-গােষ্ঠীর মানুষ বসবাস করছে। এসব মানুষ নিজস্ব পরিবেশে আনন্দ ও প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে বসবাস করছে। কখনােই নিজ পরিবেশ ছেড়ে অন্যত্র বসবাসে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করে না। তেমনি বন্যপ্রাণীদের জন্য বন হচ্ছে সবচাইতে উৎকৃষ্ট স্থান। বনজঙ্গলের মধ্যেই তারা স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। সেই বন্যপ্রাণীকে যদি বন থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হয় তাহলে তার আসল সৌন্দর্য ও বিকাশ নষ্ট হয়ে যায়। পাখির জন্মগত স্বভাব মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়ানাে। অসীম নীল আকাশে যখন পাখি পাখা মেলে উড়ে বেড়ায় তখন তার আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। আর সেই পাখিকে যখন শখ করে খাচায় বন্দি করা হয় তখন তার মধ্যে কোনাে প্রাণচাঞ্চল্য থাকে না। সে খাঁচার প্রাচীরে পাখা ঝাপটায় ওড়ার জন্য, ছটফট করে মুক্তির জন্য। ঠিক তেমনি হিংস্র প্রাণী বাঘ চিড়িয়াখানায় বন্দি অবস্থায় যতই গর্জন করুক না কেন তাতে বনের মুক্ত বাঘের স্বভাবের প্রকাশ ঘটে না।
DOWNLOAD FULL BOOK OF পালামৌ
ঘ) উদ্দীপকটি 'পালামৌ' রচনার খণ্ডাংশ মাত্র, পূর্ণরূপ নয়, যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : উদ্দীপকটি 'পালামৌ' রচনার খণ্ডাংশ মাত্র, পূর্ণরূপ নয়, মন্তব্যটি যথার্থ।
কারণ উদ্দীপকে কেবল জহির সাহেবের সবার সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে মেশার কথা বলা হয়েছে, যা 'পালামৌ' রচনায় কোল সম্প্রদায়কে ইঙ্গিত করে।
এ ছাড়া 'পালামৌ' রচনায় লেখক তাঁর যুবক বয়সের স্মৃতিচারণা করেছেন। যার মধ্যে উঠে এসেছে তাঁর রানীগঞ্জ থেকে 'পালামৌ' পৌঁছার অভিজ্ঞতা।
পাহাড়-নদী-গাছপালা, সর্বোপরি সেখানকার মানুষ লেখককে যে অপার আনন্দ দিয়েছে, তার কথা, বাঙালি পরিবারে আতিথ্য গ্রহণ, যুবক বয়সে বৃদ্ধকে সুন্দর মানুষ হিসেবে দেখার কারণ বর্ণনা, কোল সম্প্রদায়ের মানুষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগের এক উপভোগ্যকর বর্ণনাও রয়েছে, যা উদ্দীপকে নেই।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকটি 'পালামৌ' রচনার খণ্ডাংশ মাত্র-পূর্ণরূপ নয়।
(গ) উদ্দীপকের জহির সাহেবের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের কার্যক্রমগুলো 'পালামৌ' রচনায় কাদের ইঙ্গিত করে, তা তুলে ধরো।
উত্তর : উদ্দীপকে জহির সাহেবের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের কার্যক্রমগুলো কোল সম্প্রদায়ের মানুষকে ইঙ্গিত করে।
'পালামৌ' অঞ্চলে প্রধানত কোলের বাস। পর্বত ছায়ায় কালো কোল বালকেরা মহিষ চড়ায়, মহিষের পিঠে শুয়ে-বসে থাকে, নাচ করে, আকলুসের মতো কালো মেয়েরা কানে, মাথায় বনফুল পরে কাঁধ ধরাধরি করে থাকে, পুরুষের তুলনায় পরিশ্রমী বলে অধিক বয়সেও এদের যুবতী মনে হয়, কোল কন্যাদের নৃত্যানুষ্ঠানে গিয়ে লেখক আরো অনুধাবন করেছেন, এদের কার্যক্রমগুলো সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময়।
উদ্দীপকের জহির সাহেবও সবার সঙ্গে আন্তরিকতায় মেশেন ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করেন। তাঁর এই আচরণ 'পালামৌ' রচনার কোল সম্প্রদায়ের প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে ওঠা ও চলাচলের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
চ) “মারমা ও কোল উপজাতির সাংস্কৃতিক জীবনধারা একইসূত্রে গাঁথা।” -উদ্দীপক ও 'পালামৌ' রচনার আলােকে মন্তব্যটি বিচার করুন।
উ:-
উপভাষা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?? তাদের সীমানা নির্ধারণ কর।
ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 1st semester 1 ও 2 paper suggetion
পারিভাষিক শব্দ কি বা কাকে বলে | পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা ও পরিভাষা তালিকা
ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি | dhoni poribortoner riti mcq|primary TET
ভারতীয় ভাষা পরিষদ l Bhartiya -arya Bhasha
জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । rabindra nath tagor jibon sriti
বরেন্দ্রী উপভাষার অঞ্চল বা এলাকা উল্লেখ করে এই উপভাষার রূপতাত্ত্বিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।
B.A. (Hons.) Bengali, Bachelor of Arts Honours in Bengali, Syllabu…
WB TET Preparation Tips 2023, Study Material
कोई टिप्पणी नहीं:
एक टिप्पणी भेजें
If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com