Skip to main content

সংস্কৃত কে বাংলার জননী বলা হয়।সংস্কৃত ভাষা বাংলা ভাষার জনক

১) সংস্কৃত ভাষার জন্ম আজ থেকে প্রায় কত বছর আগে এবং কোন ভাষা থেকে সংস্কৃত ভাষার জন্ম? বাংলা ভাষার জন্ম কি সংস্কৃত ভাষা থেকে?

উত্তর: -
'সংস্কৃত' ভাষা 'ইন্দো-ইউরোপীয়' ভাষার অন্তর্গত 'ইন্দো-ইরানীয়' শাখার অন্তর্গত। যদিও এই ভাষা এখন মৃত, মানে মানুষের দৈনন্দিন কাজে আর ব্যবহার হয় না।

ভাষাবিদদের মতে আনুমানিক 3 থেকে 4 হাজার বছর আগে এই ভাষার সূচনা হয়। ধারণা করা হয়, 'প্রাচীন ভারতীয় আর্য' ভাষা থেকে ক্রমান্বয়ে 'বৈদিক' ভাষা এবং পরবর্তীকালে 'সংস্কৃত' ভাষার জন্ম।প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীন মার্জিত সাহিত্যিক রূপ হল- বৈদিক সাহিত্য এবং অর্বাচীন মার্জিত সাহিত্যিক রূপ হল- ধ্রুপদী সংস্কৃত। কথ্য বৈদিক ভাষার আর একটি শাখা 'প্রাকৃত'—যেখান থেকে আদি বাংলা ভাষার উৎপত্তি।অর্থাৎ, এর থেকে বোঝা যায় সংস্কৃত হলো বৈদিক ভাষার লেখ্য রূপ(প্রধানত সাহিত্য কাজে ব্যবহৃত এবং গঠনগত ও ব্যাকরণ গত ভাবে অত্যন্ত জটিল), যার বিবর্তনের সম্ভাবনাও কম।

তাই বলা যায় যে, সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয় নি। সূক্ষ্ম ভাষাতাত্ত্বিক বিচারে বলা যায় যে সংস্কৃত বাংলা ভাষার জননী স্বরূপা নয়।ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর মতে,ভারতীয় আর্য ভাষার অন্তর্ভুক্ত বৈদিক ভাষা 3 টি ধারায় বিবর্তিত হয়— সংস্কৃত,প্রাকৃত ও পালি।

এই প্রাকৃত থেকেই দীর্ঘ বিবর্তনের ফলে বাংলা ভাষার সৃষ্টি।


তবে ভারতের আর্য আগমনের পূর্বে বিভিন্ন অনার্য জাতি বসবাস করত।তাদের মধ্যে দ্রাবিড়, অস্ট্রিক, মঙ্গলয়েড প্রভৃতি জাতির মানুষ ছিলেন।তাই বাংলা ভাষার উদ্ভবের সময় এইসব ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ভাষার উপাদান বহুল পরিমাণে মিশে গেছে আর্য ভাষার বিবর্তনের সঙ্গে।প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি এই ভাবে দেখানো যায় 👇

মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষা



মাগধী অপভ্রংশ



অবহট্ঠ



আদি বাংলা ভাষা।

বাংলা ভাষার উৎস


বোঝা যাচ্ছে যে,'সংস্কৃত' ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার যোগ দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের মত। আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়—"সংস্কৃত বাংলা ভাষার অতি-অতি-অতি-অতি বৃদ্ধ পিতামহী।"



২) সংস্কৃত ভাষা কোন ভাষা থেকে এসেছ?
উত্তর: -
১৫০০ খ্রিঃ পূঃ নাগাদ যে আর্যরা ভারতে আসেন, তাঁরা যে ভাষায় কথা বলতেন, সেই ভাষাকে বলা হয় প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা। এই ভাষাটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত একটি ভাষা। প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে ও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রূপে বিকশিত হয়। এই নব-বিকশিত রূপগুলিকে বলা হয় মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষা। ইতিমধ্যে পাণিনি নামক এক পণ্ডিত প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার নিয়ম-কানুনগুলিকে সূত্রের আকারে লিপিবদ্ধ করেন ও এই ভাষার একটি আদর্শ রূপ গড়ে তোলেন। পাণিনির হাতে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা এক নতুন মার্জিত রূপ লাভ করে, তৎকালীন ভারতীয়দের মুখের ভাষার থেকে এই মার্জিত ভাষা অনেকাংশে আলাদা। এই মার্জিত ভাষাই সংস্কৃত নামে পরিচিত হয়। সংস্কারের ফলে জন্ম হয়েছে বলেই এর নাম সংস্কৃত। মনে রাখতে হবে: সংস্কৃত শব্দটি মূলে একটি বিশেষণ পদ। বর্তমানে এটি একটি ভাষার নাম হিসেবে গণ্য হয়, তাই বিশেষ্য।


৩) সংস্কৃতকে বিশ্বের একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত ভাষা বলা হয় কেন?

এটির আসল উত্তর ছিল: সংস্কৃত কে বিশ্বের একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত ভাষা বলা হয় কেনো?

ওটা লোকে কিছুটা ভালোবেসে, কিছুটা অজ্ঞতাবশতঃ, আর অনেকটা জাতীয় গরিমার উৎসাহে বলে।

NASA-র নামটা এর সঙ্গে জড়িয়েছে ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত Rick Briggs নামে NASA-র এক বৈজ্ঞানিকের “Knowledge Representation in Sanskrit and Artificial Intelligence” নামে একটি ব্যক্তিগত গবেষণাপত্রের কারণে। এই গবেষণাপত্রে ঠিক কী বলা হয়েছিল, সে সম্বন্ধে আমি বিশদে বলতে পারব না – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে আমার ধারণা সীমিত। তবে সে যাই হোক না কেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যেকোনও গবেষণাধারার অনেক শাখা-প্রশাখার মতোই এই শাখাটাও একটা কানাগলি-মাত্র ছিল। আমি যতদূর জানি, গত ৩০ বছরের উপর সময়ে কেউই আর এ-ধারায় কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে নি। AI-এর ব্যবহার এখন আমাদের জীবনের অসংখ্য বিষয়ে (অনেক সময় আমরা সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল নই যদিও), কিন্তু তার কোনওটাই সংস্কৃতকে ব্যবহার করে বলে জানি না। তবে সে যাই হোক, কিছু লোকজন পূর্বোল্লিখিত বিবিধ কারণে এই ঘটনাটিকে NASA-র দ্বারা সংস্কৃতকে “বিজ্ঞানসম্মত” তকমা দেওয়া, ইত্যাদি অভিধায় ভূষিত করে, এবং ইণ্টারনেটের কল্যাণে সেটাই এখন নানান রকম রূপে দর্শন দেয়।

Rick Briggs কতোখানি সংস্কৃত বা ভাষাতত্ত্ব জানতেন তা আমি জানি না। NASA-র বিজ্ঞানীদের সে-যুগে এর কোনওটা জানতে হতো বলে মনে হয় না (যতদূর জানি, এখনও হয় না), তবে যাঁরা মনুষ্যভাষা-টাষা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁরা আপনাকে সহজেই বলতে পারবেন যে, সংস্কৃত ভাষার গঠনপ্রকৃতি, চাল-চলন অন্যান্য মনুষ্যভাষা থেকে গুণগতভাবে খুব কিছু আলাদা নয়। আলাদা যেটা (প্রায়?) আর সমস্ত ভাষার থেকে, সেটা হচ্ছে সংস্কৃতের ভাষিক সংস্কৃতি। সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ-বিশ্লেষণে এবং সেই ব্যাকরণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রচনায় ও তার পঠন-পাঠনে যে পরিমাণ মেধা-বুদ্ধি-অধ্যবসায় খরচ করা হয়েছিল, তা নজিরবিহীন। অবশ্যই এই সূত্রে পাণিনি-পতঞ্জলির মতো দিকপালদের নাম সবার আগে উঠে আসে। এঁরা আজ থেকে দুই-আড়াই হাজার বছর আগে ব্যাকরণ বিশ্লেষণ ও বিবরণের যে সমস্ত প্রণালী আবিষ্কার করেছিলেন, সেসবের সঙ্গে পাল্লা দিতে পশ্চিমা ভাষাতাত্ত্বিকদের ২০শ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে এই বৌদ্ধিক তথা বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের কৃতিত্বের দাবিদার কিন্তু পাণিনি-পতঞ্জলির মতো সংস্কৃতভাষীরা, সংস্কৃতভাষা স্বয়ং না। যেমন ২০শ শতকের বিখ্যাত ইংরাজিভাষী ভাষাতাত্ত্বিক নোয়াম চোমস্কি বা ফরাসিভাষী দ্য সোস্যুরের কাজের উৎকর্ষের দাবিদার ইংরাজি বা ফরাসি ভাষা না, যদিও সেটাই তাঁদের কাজের বিবরণের ভাষা, এবং গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু। একইভাবে সংস্কৃত ভাষায় যে এক সময় গণিত-জ্যোতির্বিদ্যা-রসায়ন-চিকিৎসাবিদ্যার বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছিল, তাতেও সংস্কৃত অন্যান্য ভাষার থেকে বেশি বিজ্ঞানসম্মত হয়ে যায় না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের মাধ্যম হিসাবে ইতিহাসে অনেক ভাষাই ব্যবহার হয়েছে, এখনও হচ্ছে।

অনেকে ভাষার সঙ্গে সেই ভাষাভাষীদের কীর্তির এই পার্থক্যটাও লক্ষ্য করতে ব্যর্থ হয়।



৪)বাংলা ভাষায় সংস্কৃতের পর কোন ভাষার প্রভাব বেশি এবং কিরকম?

সংস্কৃতের পর বাংলা ভাষায় ফার্সি ভাষার সর্বাধিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। অনেক ফার্সি শব্দ বাংলাতে সংস্কৃতের সঙ্গে সমন্বিত হয়ে বাংলায় ব্যবহৃত হয় -

উদাহরণ : সর্ব প্রথম আমরা " আইন " কথাটি বাংলায় কি ভাবে ব্যবহৃত হয় সেটা দেখব আমরা আইনজীবী কথাটি ব্যবহার করি । এখানে আইন কথাটি ফার্সি আর জীবী কথাটি সংস্কৃত । কিন্ত বাংলায় দুইটিকে সমন্বিত করে আমরা আইনজীবী কথাটি ব্যবহার করি । তারপর "আইনত " কথাটি সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে তৈরি করা হয়েছে । আইনানুগ (আইন +অনুগ -conforming to existing laws ) একটি ফার্সি একটি সংস্কৃত কথার সন্ধি করা হয়েছে ।

আর একটি উদাহরণে একটি ফার্সি ও একটি সংস্কৃত শব্দের সন্ধি যেটা বাংলায় ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে সেটা হল মেয়াদোত্তর ( মেয়াদ + উত্তর) (efficacy expired)/ মেয়াদোত্তীর্ণ (মেয়াদ + উত্তীর্ণ Validity expired)

আর দুইটি ফার্সি শব্দ দপ্তর ও দলিল (ফার্সি তে খুব সম্ভবত আরবি থেকে এসেছে) । এগুলির বিশেষণ সংস্কৃত ব্যকরণের অনুকরণ করকরে তৈরি করা হয়েছে :-

দপ্তর- দাপ্তরিক (বিশেষণ)

দলিল - দালিলিক (বিশেষণ)

এছাড়া অনেক সংস্কৃত শব্দ ও ফার্সি শব্দের সমাস বাংলায় প্রচলিত : উদাহরণ নিয়ম-কানুন , তদন্ত-তদারক ইত্যাদি ।

এছাড়া সংস্কৃত উপসর্গের সাথে ফার্সি শব্দের সাথে যুক্ত করা হয়েছে - উদাহরণ পরি-দপ্তর, উপ-জেলা ইত্যাদি ।

ফার্সির পর অনেক ইংরেজি শব্দ সংস্কৃতের সাথে সমন্বিত হয়ে বাংলায় ব্যবহৃত হয় :

ভোট +অধিকার = ভোটাধিকার

চার্জ (electrical charge) থেকে চার্জিত (electrically charged ) বিজ্ঞানের বইতে ব্যবহৃত হচ্ছে । এখানে চার্জযুক্তের পরিবর্তে চার্জিত শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে যেটা সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছে ।

এই ভাবে আলোচনা করলে আরও উদাহরণ পাওয়া যেতে পারে ।



৫)বাংলা ভাষাভাষিদের পক্ষে সংস্কৃত ভাষা শেখাটা কতটা কঠিন?

শিক্ষিত বাঙালিদের সংস্কৃত শেখার সময়ে শুরুতেই একটা খুব বড়ো সুবিধে আছে – তাঁরা প্রচুর সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত। এমনকি সংস্কৃত ব্যাকরণের অনেক নিয়মাবলীর সঙ্গেও তাঁদের পরিচয় আছে – যেমন সন্ধি, সমাস, কারক-বিভক্তি, প্রকৃতি-প্রত্য‌য়, ইত্যাদি। তবে কিছু কিছু সমস্যা থেকেই যায়, যেমন:

১) উচ্চারণ: বাংলায় বর্ণমালার অনেক অক্ষরের‌ই উচ্চারণ‌ এক‌, যেমন ন-ণ, স-শ-ষ, ই-ঈ, উ-ঊ, ঋ-রি, খুর-ক্ষুর, ইত্যাদি। সংস্কৃতে কিন্তু এগুলোর সমস্তগুলোর‌ই উচ্চারণ আলাদা-আলাদা। এই জিনিসগুলো শিখতে হবে।

২) তবে সবচেয়ে কঠিন জিনিস যেটা, সেটা হল ব্যাকরণ। বাংলা আর সংস্কৃতের ব্যাকরণে আকাশ-পাতাল তফাৎ। যদিও আমরা শিক্ষিত বাঙালিরা কারক-বিভক্তি কাকে বলে জানি (অন্ততঃ ভুলে গিয়ে থাকলেও স্কুলে পড়েছিলাম), সংস্কৃতে আর বাংলায় কারক বিভক্তির ধরণ-ধারণ একদম‌ই আলাদা। যেমন ধরুন, আমরা সবাই মানুষ, নদী, চর্ম, মন, লতা, মহিমা, সাধু, পিতা – এইসব সংস্কৃত কথাগুলো জানি। এখন এগুলোকে যদি আমরা কর্ম বা সম্প্রদান কারকে রূপান্তর করতে চাই, তাহলে বাংলায় স্রেফ -কে যোগ করে দিলেই হলো – মানুষকে, নদীকে, চর্মকে, ইত্যাদি। সংস্কৃতে কিন্তু ব্যাপারটা অতো স‌হজ নয়। প্রথমতঃ কর্ম আর সম্প্রদান কারকের রূপ ভিন্ন ভিন্ন। দ্বিতীয়তঃ কর্ম কারকেও একদিকে মানুষম্‌, নদীম্‌, লতাম্‌, সাধুম্‌ বলছি কেবল ম্‌ যোগ করে, কিন্তু বাকিগুলোর জন্যে বলতে হবে চর্ম, মনঃ, মহিমানম্‌, পিতরম্‌। সম্প্রদানে তো আর‌ও বড়ো ক্যাঁচাল - মানুষায়, নদ্যৈ, চর্মণে, মনসে, লতায়ৈ, মহিম্নে, সাধবে, পিত্রে। আদৌ কোন‌ও সাদৃশ্য ধরতে পারছেন কি? না পারলেও আছে, সেগুলো শিখতে হবে। এরকম প্রতিটা বিশেষ্য শব্দের বিভক্তি-বচন-ভেদে চব্বিশটি রূপ (অবশ্য সব কটি রূপ একে অপরের থেকে আলাদা না, যেমন চর্ম এবং মনঃ কর্তৃ ও কর্ম দুই কারকের‌ই রূপ)। ক্রিয়াপদের ক্ষেত্রে কেস আর‌ও ঘোরালো – কাল-ভাব-পুরুষ-বচন-বাচ্য-ভেদে প্রতিটা ধাতু থেকে প্রায় দু’শ-তিনশটি আলাদা আলাদা রূপ হতে পারে, এবং ক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রায় সব পদ‌ই পরস্পর থেকে আকারে পৃথক।

যাই হোক, এসব বলে ভয় দেখানো আমার উদ্দেশ্য না। তবে সংস্কৃত ঠিকমতো শিখতে গেলে একটু সময় এবং পরিশ্রম দিতে হবে। সব ভাষার ক্ষেত্রেই তাই। জার্মান, ফরাসি বা স্প্যানিশ শিখতে গেলে যে সময়টা নতুন শব্দ শিখতে ব্য‌য় হতো, সেটা সংস্কৃত শিখতে গেলে ব্যাকরণশিক্ষায় ব্য‌য় হবে। এই যা। অবশ্য ফরাসি এবং স্প্যানিশের ক্রিয়ারূপ‌ও, সংস্কৃতের মতো না হলেও, যথেষ্ট‌ই কঠিন। আর জার্মান ভাষার বিশেষণের শব্দরূপ‌ও নেহাত নিরামিষ নয়। কাজেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সংস্কৃত‌ও আর পাঁচটা ভাষার মতোই মানুষের ভাষা। কাজেই মানুষের তাকে শিখতে না পারার কোন‌ও কারণ নেই। আর বাঙালিরা তো অর্ধেক শিখেই বসে আছে।




MORE LINKS: -

  

উপভাষা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?? তাদের সীমানা নির্ধারণ কর।

ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 1st semester 1 ও 2 paper suggetion 

পারিভাষিক শব্দ কি বা কাকে বলে | পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা ও পরিভাষা তালিকা

 NCF-2005 FOR PRIMARY TET

ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি | dhoni poribortoner riti mcq|primary TET

ভারতীয় ভাষা পরিষদ l Bhartiya -arya Bhasha

জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । rabindra nath tagor jibon sriti 

বরেন্দ্রী উপভাষার অঞ্চল বা এলাকা উল্লেখ করে এই উপভাষার রূপতাত্ত্বিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

বেকারত্ব কি? এর কারণ , দারিদ্র্যের সংজ্ঞা দাও,  কারণ , ব্যক্তিগত ও গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব , সংস্কৃতি কি

B.A. (Hons.) Bengali, Bachelor of Arts Honours in Bengali, Syllabu…

WB TET Preparation Tips 2023, Study Material

Philosophy Short Essay Questions | My Best Writer






www.STUDYCARE0365.blogspot.com

Comment: -
Name-
Email- comment -







Comments

Popular posts from this blog

SSC GD Model Question Paper for Hindi grammar

Subscribe Our youtube channel- Click Here SSC GD Previous Papers, Model Papers, Sample Papers PDF Download link is available here. You will find the direct link to access all the SSC GD Previous Papers and Model Papers and also the link to download the SSC GD Sample Papers. By this, aspirants will be able to make preparations for their upcoming SSC GD Examinations 2023. Keep Scrolling through this article for more details. • SSC GD Previous Papers • SSC General Duty Model Papers • Instructions to use the GD Constable Model Papers • SSC GD Sample Papers PDF Download The Staff Selection Commission (SSC) has published the SSC GD Previous Papers on the official web portal ssc.nic.in. The Authority uploads the previous year’s papers annually to help out the aspirants prepare for the examinations. This helps the aspirants to get an idea for the examination question paper and to complete the practice of the syllabus accordingly. Recently, the Staff Selection Co...

Hindi Alphabet Varnamala and Latters

  Hindi Alphabet Varnamala and Latters edited by study care(kajem shaikh) Table of Contents l  Hindi Alphabet Varnamala and Latters l  Hindi Alphabet Vowel ( हिंदी   वर्णमाला   स्वर ) l  Hindi Alphabet Consonant ( हिंदी   वर्णमाला   व्यंजन ) l  Hindi Varnamala Chart ( हिंदी   वर्णमाला   चार्ट ) l  Hindi Sanjukt Alphabate ( हिंदी   संजुक्त   वर्णमाला ) l  Hindi Varnamala Chart pdf Download l  Hindi Varnamala in English l  Hindi Alphabet Varnamala FAQs   Hindi Alphabet Varnamala and Latters   हिंदी   भाषा   विश्व   की   समस्त   भाषाओं   में   सर्वाधिक   वैज्ञानिक   भाषा   है , जिसे   भारत   की   राष्ट्रभाषा   और   राजभाषा   का   दर्जा   हासिल   है।   विश्व   की   प्रत्येक   भाषा   की   तरह   ही   हिंदी   भाषा   ...

Paryayvachi Shabd practice set-2 (पर्यायवाची शब्द) Synonyms in Hindi, समानार्थी शब्द

Paryayvachi Shabd (पर्यायवाची शब्द) किसे कहते हैं? पर्याय शब्द का अर्थ समान होता है. पर्यायवाची शब्द का अर्थ हुआ समान अर्थ वाला. अर्थ की समानता व्यक्त करने वाले शब्दों के समूह को पर्यायवाची शब्द कहते हैं. किसी भी भाषा में पर्यायवाची शब्द का बहुत महत्व होता है किन्तु किसी शब्द के प्रत्येक पर्यायवाची शब्द का प्रयोग समान अर्थ में नहीं होता है. Paryayvachi Shabd Hindi Paryayvachi Shabd Hindi 01. अंक - गोद, क्रोड़, पार्श्व, संख्या, गिनती, आँकड़ा 02. अंग - भाग, अंश, हिस्सा, गात्र, पक्ष, अवयव, अज़ो 03. अंगिका - कंचुकी, अँगिया, चोली, ब्रा, बॉडिस 04. अँगूठि - मुद्रिका, मुँदरी, छल्ला, रिंग 05. अंचल - क्षेत्र, इलाका, प्रदेश, प्रान्त, भाग, आँचल, पल्लू, किनारा 06. अंजाम - नतीजा, परिणाम, फल, अंत, ख़ात्मा, परिणाम 07. अंत - अवसान, इति, आख़िर, उन्मूलन, नाश, संहार 08. अंतर - फ़र्क़, भिन्नता, भेद, असमानता, फ़ासला, दुरी 09. अंतराल - मध्यांतर अवकाश अंतर समयांतर 10. अंतर्धान - ओझल, ग़ायब, तिरोभूत, तिरोहित, लुप्त 11. अक्सर - अधिकतर, अमूमन, बहुधा, बार-बार 12. अनादर - निरादर, तिरस्कार, अपमान, अवज्ञा, अव...