शनिवार, 31 दिसंबर 2022

বেকারত্ব কি? এর কারণ , দারিদ্র্যের সংজ্ঞা দাও, কারণ , ব্যক্তিগত ও গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব , সংস্কৃতি কি

 WWW.STUDYCARE0365.BLOGSPOT.COM 



বেকারত্ব কি? এর কারণ, প্রভাব এবং সমাধান গুলি আলোচনা করো

 

বেকারত্বকে সাধারণত এমন পরিস্থিতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যখন একজন ব্যক্তি অধ্যয়ন করেন না এবং কাজ করেন না। দেশের উপর নির্ভর করে, এই ব্যক্তির বয়স 15 থেকে 64 এর মধ্যে। এই ব্যক্তি খণ্ডকালীন কাজ করছেন না এবং তারা একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করছেন না। এই একই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন. বেকারত্ব হল একটি দেশের সমস্ত মানুষ সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন কিন্তু একটি খুঁজে পাচ্ছেন না।

 

বেকারত্বের কারণ  

কর্মসংস্থানের কারণগুলি নিম্নরূপ বেকারত্বের বিভিন্ন প্রকারের সাথে মোটামুটি মেলে।

 

1)স্ট্রাকচারাল বেকারত্ব

অর্থনীতি বা শ্রমবাজারের সমস্যাগুলি কাঠামোগত বেকারত্বের কারণ হতে পারে।

নার্সদের জন্য সামান্য চাহিদা, উদাহরণস্বরূপ, নার্সদের মধ্যে বেকারত্বের কারণ হতে পারে। এটি ডাক্তার বা অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যেও বেকারত্বের কারণ হতে পারে। অথবা নার্সদের প্রিয় কফি শপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি শ্রমবাজারে একটি সমস্যা। প্রযুক্তিগত পরিবর্তন কাঠামোগত বেকারত্বের কারণ। এটি অর্থনীতিতে একটি সমস্যা।

 

2)প্রযুক্তি এবং অটোমেশন

একটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তন শিল্প প্রক্রিয়ায় মানুষের ভূমিকা হ্রাস করতে পারে। এই শিল্প প্রক্রিয়া, তাই, স্বয়ংক্রিয় হয়. প্রযুক্তি এবং অটোমেশন বেকারত্ব তৈরি করতে পারে।

 

3)প্রাতিষ্ঠানিক বেকারত্ব

সরকার বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নীতি প্রাতিষ্ঠানিক বেকারত্বের কারণ হতে পারে।

 

4)ঘর্ষণজনিত বেকারত্ব

মানুষ এক চাকরি থেকে অন্য চাকরিতে চলে যাওয়াই ঘর্ষণজনিত বেকারত্বের কারণ।

 

5)চক্রীয় বেকারত্ব

পণ্য পরিষেবার কম চাহিদা চক্রাকারে বেকারত্বের কারণ হয়। একটি উদাহরণ হতে পারে অর্থনৈতিক মন্দা।

 

6)অর্থনৈতিক মন্দা

মন্দা উচ্চ বেকারত্ব, হ্রাস মজুরি এবং সুযোগ হারানোর দিকে পরিচালিত করে। শিক্ষা, ব্যক্তিগত পুঁজি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করতে পারে। অনেকের কাছে অল্প টাকা আছে বা দীর্ঘদিন ধরে ঋণগ্রস্ত।

 

বেকারত্বের প্রভাব  

উচ্চ বেকারত্ব অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ায় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষতি করে। বেকারত্ব অনেক কারণে উৎপাদনশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কর্মজীবী ​​মানুষ উৎপাদনশীল। যখন তারা কাজ করে না, তখন সমস্ত অর্থনীতি কম কার্যকর হয়। বেকাররা তাদের জমানো টাকায় জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। তাই তারা আরও দরিদ্র হয়। এটি তারল্য সীমিত করে। অনেকের কাজ নেই, তাই কম নগদ চারপাশে। এটি শ্রমের গতিশীলতাকে সীমাবদ্ধ করে। এতে আত্মসম্মান নষ্ট হয়। যা সামাজিক স্থানচ্যুতি, অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতকে উৎসাহিত করে।

 

বেকারত্বের সমাধান

সমিতিগুলি যতটা সম্ভব বেশি লোককে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনেক ব্যবস্থার চেষ্টা করছে। এবং বর্ধিত সময়ের জন্য, বিভিন্ন দেশ প্রায় পূর্ণ কর্মসংস্থানের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। বেকারত্ব কমানোর জন্য সরকার সফলভাবে প্রয়োগ করেছে এমন কিছু সমাধানের তালিকা নীচে দেওয়া হল। এই তালিকায় পদ্ধতিগত অর্থনৈতিক নীতিগুলি অন্তর্ভুক্ত নয় যা সরাসরি কর্মসংস্থান কাটার সাথে সম্পর্কিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সফল নীতি তার অর্থনীতিকে উন্নত করবে। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে নীতি পরোক্ষভাবে বেকারত্ব কমাতে পারে।

 

1)উদ্ভাবন পরিচালনা

সরকারি নীতি কীভাবে প্রযুক্তির পরিবর্তন বেকারত্ব বাড়াতে পারে তা পরিচালনা করতে পারে।

 

2)প্রশিক্ষণ

সাশ্রয়ী মূল্যের মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রাপ্যতা বেকারত্বের সমাধান। লোকেরা আরও প্রশিক্ষণ চাইবে, তাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আরও বেশি করে তুলবে।

 

3)ছোট কাজের সময়

কাজের সময় কম হলে উপলব্ধ কাজ বৃদ্ধি পায়।

 

4)গণপূর্ত

সরকার আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপায় হিসাবে সরকারী প্রকল্পগুলি ব্যবহার করে।

 

5)আর্থিক নীতিমালা

সরকার আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপায় হিসেবে রাজস্ব নীতি ব্যবহার করে। উদাহরণ স্বরূপ, সরকার নিয়োগকর্তাদের জন্য কর হ্রাস করে যারা চাকরি তৈরি করে।

 

বেকারত্ব কিভাবে পরিমাপ করা যায়?

বেকারত্বের হার সাধারণত বেকারত্ব পরিমাপ করে। বেকারত্বের হার হল বেকার জনসংখ্যার মোট সংখ্যাকে একটি দেশের কর্মশক্তির সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা।

 

 

দারিদ্র্যের সংজ্ঞা দাও, এর কারণ উপায় গুলি লেখ।

 

দারিদ্র্যের বিভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে যে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটি স্থাপন করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে এবং সাধারণত এমন একটি রাষ্ট্র বা অবস্থার উল্লেখ করে যেখানে একজন ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার একটি নির্দিষ্ট মানের জন্য আর্থিক সংস্থান এবং প্রয়োজনীয়তার অভাব রয়েছে।যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী ভোগ করে কোনো একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি দৈনিক 2250 ক্যালোরি পেতে পারে, বাজার থেকে ওই সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী কিনতে যে খরচ লাগে তাকেই বলা হয় দারিদ্র্য রেখা বা দারিদ্রসীমা।

 

 ভারতে দারিদ্র্য অব্যাহত থাকার কারণ

অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে ভারতের দারিদ্র দূরীভূত হয়নি। তার কিছু কারণ নিচে দেওয়া ছকে আলোচনা করা হলো। দারিদ্রতার অন্যতম প্রধান কারণ হল বেকারত্ব। সরকারও পরিকল্পনার প্রথম দিকে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য কোন কর্মসূচি গ্রহণ করেননি, মনে করা হত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে দারিদ্রের সমস্যা দূর হবে। কিন্তু দেখা গেছে জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে দারিদ্র দূর হচ্ছে না, বরং দারিদ্র রেখার নিচে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটছে।

 

1)Inflation (মুদ্রাস্ফীতি)    

এই দারিদ্রতার আর এক অন্যতম কারণ হলো মুদ্রাস্ফীতি। দামস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা কমে এসেছে। নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়েছে এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

2)Population Growth (জনসংখ্যা বৃদ্ধি)     

জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেও দারিদ্রতার অন্যতম কারণ মনে করা হয়। ভারতের জাতীয় আয় পরিকল্পনাকালে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে ব্যাপক হরে জনসংখ্যার বৃদ্ধিও ঘটেছে। ফলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে খুব সামান্যই। আর দারিদ্রতার হার দিন দিন চরম পর্যায়ে

3)Aggravation in Industry (শিল্পক্ষেত্রে রুগ্নতা)   

এই শিল্পক্ষেত্রে রুগ্নতাও দারিদ্রের সমস্যার জন্য দায়ী। যার জন্য শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং বেকারত্ব তীব্র আকার নিয়েছে যা দারিদ্রতা চরম হারে বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।

 

Poverty Alleviation Programmes | দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি

ভারতের দারিদ্র দূরীকরণের জন্য প্রথম চারটি পরিকল্পনায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, মনে করা হত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে দারিদ্রের সমস্যা দূর হবে। কিন্তু দেখা গেছে জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে দারিদ্র দূর হচ্ছে না, বরং দারিদ্র রেখার নিচে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটছে।সেইজন্য পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় 1971 সালের সাংসদীয় নির্বাচনের আগেগরিবি হঠাওশ্লোগানের মধ্যে দিয়ে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। সেই সময় দেশের দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য নূন্যতম প্রয়োজন পূরণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল প্রাথমিক শিক্ষা,গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসার উন্নয়ন, বস্তি উন্নয়ন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন,গ্রামীণ প্রকল্প উন্নয়ন, কর্মসংস্থান প্রকল্প ইত্যাদি

 

ব্যক্তিগত গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব সংক্ষেপে তুলে ধর।

অথবা, ব্যক্তিগত গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব সংক্ষেপে লিখ।

 

ভূমিকাঃ সমাজজীবন কিছু মৌল উপাদান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এই মৌল উপাদান দ্বারাই মূলত সমাজজীবন পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে সমাজজীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংস্কৃতি বা কৃৎকৌশল। তাহলে দেখা যাচ্ছে কিছু মৌলিক উপাদান সমাজজীবনকে সঠিক পথনির্দেশনা যেমন দান করে তেমনি সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

ব্যক্তিগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাবঃ নিম্নে এগুলাে নিয়ে আলােচনা করা হলাে-

 

() আচরণের নির্দিষ্টতাঃ

সংস্কৃতি সমাজস্থ মানুষের আচরণের নির্দিষ্টতা নিশ্চিত করে দেয়। ব্যক্তির স্বকীয় ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ সে ইচ্ছা করলেই করতে পারে না। সংস্কৃতি তার আচরণের মধ্যে কোন কাজটি করতে পারবে কোনটি পারবে না তা নির্দিষ্ট করে দেয়।

() ব্যক্তিকে সমাজের সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠাঃ

সংস্কৃতি একজন ব্যক্তির সামনে তুলে ধরে একটি পরিপূর্ণ জীবন আদর্শ। ব্যক্তি পােশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে সমাজজীবনের বিভিন্ন দিক সংস্কৃতির মাধ্যমেই গ্রহণ করে। ব্যক্তির আচার-আচরণ, সংস্কৃতিই নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্যক্তিকে পূর্ণ সামাজিক সদস্যরূপে প্রকাশ করে।

 

() গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাবঃ

ব্যক্তির আচরণ আচরণ যখন সীমারেখার মধ্যে থাকে না তখন ব্যক্তির আচরণ নিয়ে রচিত হয় গােষ্ঠীগত জীবন। গােষ্ঠীগত জীবনের বিভিন্ন দিক সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়।

 

() মনমানসিকতার সৃষ্টিঃ

 যেকোনাে একটি সমাজের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি এক ধরনের সম্প্রদায়গত বােধের সৃষ্টি করে থাকে। এখানে উদাহরণ হিসেবে আমরা উপজাতীয় সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করতে পারি।

 

 

() সামাজিক সংহতি রক্ষাঃ

সমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা সংহতি রক্ষায় সংস্কৃতি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। পৃথিবীর যেকোনাে দেশের সমাজব্যবস্থায় সংস্কৃতির ভূমিকার গুরুত্ব তাৎপর্য বিতর্কের ঊর্ধ্বে। এভাবে সংস্কৃতির প্রভাব গােষ্ঠীগত জীবনের অস্তিত্ব রক্ষা করে।

 

() রাজনৈতিক দক্ষতা এবং গণতান্ত্রিক নিষ্ঠাচারের জন্মঃ

 একটি জাতি কতটুকু রাজনৈতিকভাবে দক্ষ গণতান্ত্রিক নিষ্ঠাচার তা নির্ভর করে থাকে জাতির ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক সচেতনতার ওপরে। সমাজজীবনে প্রভাবকারী যে উপাদানগুলাে রয়েছে তার মধ্যে সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

 

পরিশেষঃ

সামগ্রিক আলােচনার শেষে যে বিষয়টি পরিস্ফুট হয়ে ওঠে তা হলাে সমাজজীবনে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানগুলাের মধ্যে কৃৎকৌশল/সংস্কৃতি বা বংশগতির প্রভাব বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অন্যভাবে বলতে গেলে সমাজের মানুষ পরিবেশকে আঁকড়ে ধরে বসবাস করার জন্য এবং সংস্কৃতি, উৎপাদন কৌশল এবং বংশগতি সে সমাজে জীবনের পূর্ণতা দান করে থাকে।

 

সংস্কৃতি কি | সংস্কৃতি বলতে কি বুঝ? সংস্কৃতির গুরুত্ব জেনে নিন?

সংস্কৃতি হলো মানুষের জীবনযাপন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ভাষা পদ্ধতি, যোগাযোগ এবং আচর-আচরণ, সবগুলোর সমষ্ঠিকে সংস্কৃতি বলা হয়।যদিও সংস্কৃতি একটি জটিল ধারণা, তবে এটি সচেতনভাবে এবং অবচেতনভাবে উভয়ভাবেই আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককেই প্রভাবিত করে।

                      আরো সহজভাবে সংস্কৃতির সংজ্ঞা হলো কোনও জাতি বা গোষ্ঠির চিন্তাভাবনা, আচরণগত দিকনিদর্শ, পোশাক, ভাষা, খাদ্য, ধর্ম,সংগীত, অঞ্চল বা ভূগোল ইত্যাদির সমষ্ঠি।

                     সংস্কৃতিকে মানুষের জীবনযাত্রার রূপ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। যেমন: কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের লোকেরা কীভাবে চিন্তা করে, কীভাবে তারা কাজ করে, তাদের আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, পোশাক, তাদের কথা বা ভাষা, তাদের ধর্মীয় ক্রিয়াকালাপ, সংগীত, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়গুলো মিলিত হয়ে একটি সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়।

 

                      আমরা সংস্কৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করি না, আমরা মূলত নির্দিষ্ট একটি সংস্কৃতিতে জন্মেছি এবং সামাজিকভাবে বাসবাস করার মাধ্যমে আমরা সংস্কৃতি শিখি বা ধারণ করি। আর সংস্কৃতি এমন এক জিনিস যা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সংক্রমণিত হয়। আমরা সংস্কৃতি যাকে বলি তার বেশিরভাগই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে সংস্কৃতির উন্নতি হয় বিভিন্নভাবে। যেমন; নতুন নতুন জিনিস তৈরির মাধ্যমে, নতুন চিন্তাভাবনার মাধ্যমে অথবা নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে।

 

বিভিন্ন গবেষক লেখকগণ সংস্কৃতির ধারণাটি ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্নভাবে, আসুন কয়েকটি সংজ্ঞা দেখে নেই

 

. শালম স্কয়ার্টজ, বলেছেন;

সংস্কৃতি মানে একটি সমাজের মানুষের মধ্যে প্রচলিত অর্থ, বিশ্বাস, অনুশীলন, প্রতীক, মান এবং মূল্যবোধের একটি সমৃদ্ধ জটিল

 

. G.H. HOFSTEDE, বলেছেন;

মনের একটি সম্মিলিত প্রোগ্রামিং যা একটি মানব দলের সদস্যকে অন্যের থেকে আলাদা করে        

                  আপনি যদি বৈশ্বিকভাবে ব্যবসা বা স্কলারশীপ পেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে যান তাহলে আপনি অন্য কোনো সংস্কৃতির সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য সংস্কৃতির নিয়মাবলী এবং জীবনধারা বোঝা অপরিহার্য।  সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সামাজিক ব্যবস্থা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক শৃঙ্খলা নিয়মকানুনের সম্মিলিত চুক্তির ভিত্তিতে সমাজের স্থায়িত্বকে নির্দেশ করে যা আমাদেরকে সমাজ হিসাবে কাজ করতে, সমাজ হিসাবে বসবাস করতে এবং শান্তি এবং সম্প্রীতিতে একত্রে থাকতে দেয়।

 

                             `আমরা বিভিন্নভাবে অন্যান্য সংস্কৃতিতে প্রভাবিত হতে পারি; যেমন: সংগীত, ফিল্ম, টেলিভিশন এবং শিল্পের মাধ্যমে আমরা অন্যান্য সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হতে পারি। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে খুব সহজেই যোাগাযোগ করতে পারি, অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। এভাবে এক সংস্কৃতি থেকে আরেক সংস্কৃতির প্রসার লাভ করে যাকে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি বলে।




উপভাষা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?? তাদের সীমানা নির্ধারণ কর।

ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 1st semester 1 ও 2 paper suggetion 

পারিভাষিক শব্দ কি বা কাকে বলে | পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা ও পরিভাষা তালিকা

 NCF-2005 FOR PRIMARY TET

ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি | dhoni poribortoner riti mcq|primary TET

ভারতীয় ভাষা পরিষদ l Bhartiya -arya Bhasha

জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । rabindra nath tagor jibon sriti 

বরেন্দ্রী উপভাষার অঞ্চল বা এলাকা উল্লেখ করে এই উপভাষার রূপতাত্ত্বিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

B.A. (Hons.) Bengali, Bachelor of Arts Honours in Bengali, Syllabu…

WB TET Preparation Tips 2023, Study Material

Philosophy Short Essay Questions | My Best Writer




 

SSC GD Constable Model Question Paper 2023 Pdf Download in Hindi

विलोम वर्तनी पर्यायवाची मुहावरा PRACTICE SET 

विलोम शब्द | Vilom Shabd in Hindi – Opposite Words in हिंदी

SSC GD HINDI CLASS 2022 | RIKT STHAN KI PURTI SSC

Hindi bakko truti practice set l वाक्यों  त्रुटियाँ प्रक्टिस सेट 

मुहावरे (Muhavre) (Idioms) – Muhavre in Hindi Grammar

Paryayvachi Shabd practice set-2 (पर्यायवाची शब्द) Synonyms in Hindi, समानार्थी शब्द

Porjaybachi PRACTICE SET MARKS-20

SSC GD Practice Set - SSC STUDY - Practice Set for SSC












कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें

If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...