![]() |
studycare0365.blogspot.com |
ধ্বনি পরিবর্তন কী ? ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ গুলো লেখ।
বাংলা ব্যাকরণের আলোচনায় ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা নানা সময় নানা শব্দ ব্যবহার করি। বিভিন্ন কারণে সেইসব শব্দের উচ্চারণগত নানা রূপ পরিবর্তন ঘটে। কী সেই কারণ ? এই অংশে ধ্বনির পরিবর্তনের নানা কারণগুলি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
BUY BOOK- Bangla Sahityer Sampurna Itibrtta
ধ্বনি পরিবর্তন :-
চলমান জীবন প্রবাহে পরিবর্তনশীলতা একটি বাধ্যতামূলক বৈশিষ্ট্য, আর সেই পরিবর্তনশীলতাকে মানুষ প্রকাশ করে তার মৌখিক ভাষার মাধ্যমে, তাই তার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী l যে কোনো প্রচলিত মৌখিক ভাষাই পরিবর্তনশীল l নদী যেমন সময়ের সাথে সাথে এলো মেলো ভাবে তার চলার পথ বদলায়, তেমনি যুগ থেকে যুগান্তরে তার প্রকৃতি বদলায় ।
ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ:-
একটি ভাষার ধ্বনি বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন হতে পারে, দেখি কীভাবে তা পরিবর্তিত হচ্ছে –
১. ভৌগোলিক অবস্থানগত পরিবর্তন:
একটি জাতির সভ্যতা সংস্কৃতির প্রকৃতি সেই জাতির ভৌগোলিক পরিবেশ ও তার স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেখানকার ভূপ্রকৃতি রুক্ষ কঠোর সকারণকার ভাষাও কঠোর ও কর্কশ।। কারণ একটি ভাষা একটি জাতির সভ্যতা , সংস্কৃতি , জলবায়ু , ভৌগোলিক অবস্থান পরিবেশ প্রভৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । আমাদের সুজলা - সুফলা কোমল প্রকৃতির বঙ্গ জননীর মুখের ভাষা বাংলা স্বভাবতঃই কোমল ও সুমধুর । রুক্ষ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভাষায় তুলনামূলক ভাবে মিষ্টতা কম , রুক্ষতা তথা কর্কশতা বেশী ।
BUY BOOK- Bangla Sahityer Sampurna Itibrtta
২. ভিন্ন জাতির ভাষার প্রভাব:
শাসনাধীনে থাকলে শাসক - জাতির ভাষার প্রভাব শাসিত - জাতির ভাষায় পড়তে থাকে । এর ফলে এক ভাষার শব্দ ও বাগধারাই শুধু অন্য ভাষায় গৃহীত হয় তা নয় , এক - ভাষার উচ্চারণরীতি এবং ধ্বনিও অন্য ভাষায় গৃহীত হয় l পশ্চিম বাংলার আদর্শ চলিত বাংলায় তিনপ্রকার শিস ধ্বনির (শ্,ষ্,স্) মধ্যে স্বনিম বা মূল ধ্বনি হিসাবে তালব্য শ ' ই স্বীকৃত । কিন্তু পূর্ববাংলায় ( বাংলা দেশ ) ফারসি ভাষার প্রভাবে দন্ত্য স ’ - এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায় ।
৩. বাগযন্ত্র ত্রুটি বা আরামপ্রিয়তা:
ভাষা ব্যবহারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল- বক্তা ও শ্রোতা। বক্তার উচ্চারণের ত্রুটি ঘটলে ধ্বনি বিকৃতি ঘটে। বক্তার ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাগযন্ত্রের ত্রুটি থাকলে অনেক ধনী উচ্চারণ করতে পারে না ফলে মূল ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন-কাক>কাগ।
আবার কখনো কখনো যুক্ত ব্যঞ্জন এর পূর্বে বা মধ্যে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে। যেমন-লক্ষ্মী>লোকটি, ষ্টেশন>ইষ্টেশন,ধর্ম>ধরম।
৪. শ্রবণের ও বোধের ত্রুটি:
স্রোতার দিক থেকে শোনার ও বোঝার ত্রুটির ফলে ধ্বনি বিকৃতি ঘটতে পারে। বিদেশী ভাষা থেকে আগত শব্দের ধ্বনিবিকৃতি ও ধ্বনি পরিবর্তন এই কারণে। জার্মান ভাষায় 'Zar' শব্দের উচ্চারণ যদি জার্মান বক্তার উচ্চারণ থেকে ঠিক ঠিক বুঝে নেওয়া যায় না, তবে অনেকে তা উচ্চারণ করে 'জার’ বলে। কিন্তু আসলে 'Zar' এর সঠিক জার্মান উচ্চারণ হলো ‘ৎসার'।
BUY BOOK- Bangla Sahityer Sampurna Itibrtta
৫. সন্নিহিত ধ্বনির প্রভাবজনিত কারন:
উপরের উল্লিখিত ধ্বনি পরিবর্তনের কারণগুলি হল বাহ্যিক কারণ। এছাড়াও ভাষার অভ্যন্তরীণ কারণেও ধ্বনি পরিবর্তন হয়। যেমন- একই ভাষার নিজস্ব একটি ধ্বনির প্রভাবে অন্য ধ্বনির পরিবর্তন হয়, যেমন-পদ্ম>পদ্দ। এখানে ‘দ' ধ্বনির প্রভাবে ‘ম’ ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে 'দ' ধ্বনি হয়েছে। একটি শব্দের সাদৃশ্যে অন্য শব্দের ধ্বনি পরিবর্তন হয়। যেমন- 'হাঁস' ও 'পাতাল' এই দুটি বাংলা শব্দের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় ইংরেজি শব্দ 'hospital' বাংলায় হয়েছে ‘হাসপাতাল'।
ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি গুলো আলোচনা কর।
ব্যাকরণে ধ্বনি পরিবর্তন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন কারণে ধ্বনি পরিবর্তন হতে পারে বলেই ধ্বনি পরিবর্তনের রীতিগুলির বৈচিত্র্যও লক্ষ্য করা যায়।ধ্বনি কীভাবে বদলে যায় তার বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ রেখে ধ্বনি পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে কতগুলি নিয়মের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়। শব্দের মধ্যে ধ্বনি পরিবর্তন সাধারণত চার রকম ভাবে ঘটে। সেগুলি হল—
(A) ধ্বনির আগম
(B) ধ্বনির লোপ
(C) ধ্বনির রূপান্তর
(D) ধ্বনির স্থানান্তর।
BUY BOOK- Bangla Sahityer Sampurna Itibrtta
(A) ধ্বনির আগম:
ধ্বনির আগম বলতে শব্দে যে বাড়তি ধ্বনির আগমন ঘটে তাকেই বোঝায়। ধ্বনির আগম দু'রকমের হয়—স্বরধ্বনির আগম ও ব্যঞ্জনধ্বনি রাগম।
[ ] 1)স্বরধ্বনির আগম তিন প্রকার—
(ক) আদি স্বরাগম
(খ) মধ্যস্বরাগম
(গ) অন্ত্যস্বরাগম।
(ক) আদি স্বরাগম:
সাধারণত শব্দের আদিতেে সংযুক্ত ব্যঞ্জন থাকলে সেই সংযুক্ত ব্যঞ্জনের উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের আদিতে বা প্রথমে স্বরধ্বনির উচ্চারণের প্রবণতা দেখা যায়, শব্দের আদিতে এইরকম স্বরধ্বনির আবির্ভাবকে আদি স্বরাগম বলে। যেমন–স্কুল> ইস্কুল, স্পৃহা> আস্পৃহা, স্টেশন>ইস্টেশন।
(খ) মধ্যস্বরাগম/বিপ্রকর্ষ/স্বরভক্তি:
যুক্তব্যঞ্জন ধ্বনির মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে মধ্যস্বরাগম বলে। যেমন–ভক্তি>ভকতি, গ্লাস>গেলাস, রত্ন>রতন।
(গ) অন্ত্যস্বরাগম:
উচ্চারণের সুবিধার জন্য অনেক সময় শব্দের অন্তে স্বরধ্বনির আগমন ঘটে, তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে। যেমন–কায়>কায়া, দিশ>দিশা, বেঞ্চ>বেঞ্চি।
[ ] 2) ব্যঞ্জনধ্বনি আগম তিন প্রকার–
(ক) আদিব্যঞ্জনাগম
(খ) মধ্যব্যঞ্জনাগম
(গ) অন্ত্যব্যঞ্জনাগম।
(ক) আদি ব্যঞ্জনাগম:
শব্দের আদিতে ব্যঞ্জনধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি ব্যঞ্জনাগম বলে বলে। যেমন–ওষ্ঠ>ঠোঁট, ওঝা>রোজা, উপকথা>রূপকথা ইত্যাদি।
(খ) মধ্য ব্যঞ্জনাগম:
শব্দের মাঝখানে ব্যঞ্জনধ্বনির আগমনকে মধ্য ব্যঞ্জনাগম বলে। যেমন–বানর>বান্দর, ইঁদুর>ইন্দুর, অম্ল>অম্বল ইত্যাদি।
(গ) অন্ত ব্যঞ্জনাগম:
অনেক সময় দেখা যায় উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের অন্তে অতিরিক্ত একটি ব্যঞ্জন এর আগম ঘটে, একে বলা হয় অনন্ত ব্যঞ্জনাগম। যেমন–পাকা>পাক্কা, খোকা>খোকন, জমি>জমিন ইত্যাদি।
(B) ধ্বনির লোপ:
উচ্চারণের সুবিধার জন্য অনেক সময় শব্দের মধ্যে এক বা একাধিক ধ্বনি যুক্ত হয়ে যায় একেই বলা হয় ধ্বনির লোপ। ধ্বনির লোপ হয় স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির লোপের উপর নির্ভর করে।
[ ] 1) স্বরধ্বনির লোপকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়–(ক) আদি স্বরলোপ
(খ) মধ্যস্বরলোপ
(গ) অন্ত্য স্বরলোপ।
(ক) আদি স্বরলোপ:
শব্দের আদিতে শ্বাসাঘাত না থেকে যদি শব্দের মধ্যবর্তী কোন স্থানে শ্বাসাঘাত থাকলে তবে আদি স্বরলোপ পায়, একেই বলা হয় আদি স্বরলোপ। যেমন–অলাবু>লাউ, অরিষ্ঠ>রিঠা ইত্যাদি।
(খ) মধ্যস্বরলোপ:
শব্দের আদিতে শ্বাসাঘাত থাকলে শব্দের মধ্যে কোন স্বরধ্বনি লোপ পেয়ে যায়, তাকে বলা হয় মধ্যস্বরাগম। যেমন–গামোছা>গামছা, সুবর্ণ>স্বর্ণ, জানালা>জানলা ইত্যাদি।
(গ) অন্ত্য স্বরলোপ:
যদি অন্তে অবস্থিত স্বরধ্বনির লোপ পায় তবে তাকে অন্ত্যস্বরলোপ বলে। যেমন–সন্ধ্যা>সঞঝা>সাঁঝ, হস্ত>হাত, অগ্নি>আগ ইত্যাদি।
[ ] 2) ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ চার প্রকার- অবস্থানভেদে তিন প্রকার এবং সমাক্ষরলোপ।
(ক) আদি ব্যঞ্জনলোপ:
শব্দের আদিতে অবস্থিত ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি ব্যঞ্জনলোপ বলে। যেমন-স্থান>থান, শ্মশান>মশান, ট্রেন>টেন ইত্যাদি।
(খ) মধ্য ব্যঞ্জনলোপ:
শব্দের মাঝখানে অবস্থিত ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্য ব্যঞ্জনলোপ বলা হয়।যেমন-শৃগাল>শিআল>শিয়াল, রাধিকা>রাহিআ>রাহি>যাই।
(গ) অন্ত্য ব্যঞ্জনলোপ:
শব্দের অন্তে অবস্থিত ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্যব্যঞ্জনলোপ বলে। যেমন-বধূ>বহু>বউ,সখী>সই,আম্র>আম ইত্যাদি।
(ঘ) সমাক্ষরলোপ:
কোন শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অথবা কাছাকাছি দুই বা ততোধিক সমধ্বনি থাকলে কখনো কখনো এদের এক বা একাধিক ধ্বনি লোপ পেতে দেখা যায় একে বলা হয় সমাক্ষরলোপ।যেমন-বড়দাদা>বড়দা,মেজদিদি>মেজদি ইত্যাদি।
BUY BOOK- Bangla Sahityer Sampurna Itibrtta
(C) ধ্বনির রূপান্তর:
একটি ধ্বনি ভিন্ন ধ্বনির সংস্পর্শে এলে, একটির প্রভাবে অন্যটি বদলে যেতে পারে। বিভিন্ন কারণে ধ্বনির এ বদল হয়। ধ্বনি রূপান্তর দুই–ভাবে স্বরধ্বনি রূপান্তর ও ব্যঞ্জনধ্বনি রূপান্তর।
[ ] 1) স্বরধ্বনির রূপান্তর:
(ক) স্বরসঙ্গতি:
শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অথবা কাছাকাছি অবস্থিত দুটি পৃথক স্বরধ্বনির মধ্যে যদি একটি অন্যটির প্রভাবে পরিবর্তিত হয় একই রকম স্বরধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়, তবে সেই প্রক্রিয়াকে স্বরসঙ্গতি বলে। স্বরসঙ্গতি তিন প্রকার-
i) প্রগত স্বরসঙ্গতি—
পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হলে, তাকে প্রগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-বিকাল>বিকেল, ইচ্ছা>ইচ্ছে, বিলাত>বিলেত ইত্যাদি।
ii) পরাগত স্বরসঙ্গতি:
পরবর্তী স্বরধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হলে তাকে পরাগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন—দেশি>দিশি, বিড়াল>বেড়াল, শিয়াল>শেয়ার ইত্যাদি।
iii) অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি:
শব্দের মধ্যে অবস্থিত স্বরধ্বনিগুলি যখন পরস্পরের প্রভাবে উভয়ে পাল্টে যায় তখন তাকে অন্যান্য স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন—শেফালি>শিউলি,নাটকিয়া>নাটুকে ইত্যাদি।
(খ) অভিশ্রুতি:
অপিনিহিতির প্রক্রিয়ায় শব্দের অন্তর্গত যে 'ই' বা 'উ' তার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনা আগে সরে আসে সেই 'ই' বা 'উ' যখন পাশাপাশি স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে এবং নিজেও তার সঙ্গে মিশে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন-করিয়া>কইরা>করে,সাধু>সাউধ>সাধারণত, কালি>কাইল >কাল ইত্যাদি।
(গ) ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবন:
শব্দের কোন ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে অনেক সময় সেই লোপের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য তার পূর্ববর্তী হ্রসস্বর দীর্ঘস্বরে রূপান্তরিত হয়, এই প্রক্রিয়াকে ক্ষতিপূরণ বা ক্ষতিপূরক দীর্ঘীভবন বলে। যেমন–ধর্ম>ধর্ম্ম>ধাম, ভক্ত>ভত্ত>ভাত ইত্যাদি।
[ ] 2) ব্যঞ্জনধ্বনি রূপান্তর:
(ক) সমীভবন:
শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত বা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত দুটি বিষম ব্যঞ্জন যখন একে অপরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়, তখন তাকে সমীভবন বলে। সমীভবন তিন প্রকার—
i) প্রগত সমীভবন:
পূর্ববর্তী ধ্বনির প্রভাবে যদি কখনো পরবর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়, তখন প্রগত সমীভবন হয়। যেমন—পদ্ম>পদ্দ, লগ্ন>লগ্গ ইত্যাদি।
ii) পরাগত সমীভবন:
পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে যখন পূর্ববর্তী ধ্বনি যদি কখনো পরিবর্তন হয়ে এরকম ধ্বনিতে রূপান্তর হয়, তখন পরাগত সমীভবন হয়।দুর্গা>দুগ্গা,ধর্ম>ধাম ইত্যাদি।
iii) অন্যোন্য সমীভবন:
পরস্পরের প্রভাবে উভয় ধ্বনিই অল্পবিস্তর প্রভাবিত ও পরিবর্তীত হলে তাকে অন্যান্য স্বরসঙ্গতি বলে।যেমন—বৎসর>বছর,মহৎসব,মহচ্ছব ইত্যাদি।
(খ) বিষমীভবন:
বিষমীবনের বিপরীত প্রক্রিয়া হল বিষমীভবন। এই প্রক্রিয়ায় দুটি সংযুক্ত বা কাছাকাছি অবস্থিত সমধ্বনির মধ্যে একটি পরিবর্তিত হয়ে আলাদা ধ্বনিতে পরিবর্তন হয়ে যায়।যেমন—লাল>নাল, শরীর>শরীল ইত্যাদি।
(গ) ঘোষীভবন:
অঘোষধ্বনি ঘোষধ্বনিতে পরিণত হলে তাকে ঘোষীভবন বলে। যেমন—কাক>কাগ,লোক>লোগ ইত্যাদি।
(ঘ) অঘোষীভবন:
ঘোষধ্বনি অঘোষধ্বনিতে পরিণত হলে তাকে অঘোষীভবন বলে। যেমন—ছাদ>ছাত,পাপরি>পাবরি ইত্যাদি।
(ঙ)মহাপ্রাণীভবন:
অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি মহাপ্রাণ ধ্বনিতে পরিণত হলে, তাকে মহাপ্রাণীভবন বলে। যেমন-স্তম্ভ>দাম, দূর>ধূর ইত্যাদি।
(চ) অল্পপ্রাণীভবন:
কোন মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি যদি অল্পপ্রাণ ধ্বনিতে পরিণত হয় , তবে তাকে অল্পপ্রাণীভবন বলে। যেমন—মাছ>মাচ,বাঘ>বাগ, ভাত>বাত ইত্যাদি।
(ছ) নাসিক্যীভবন:
কোন নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি ক্ষীণ হতে হতে ক্রমশঃ লোপ পায় এবং তার রেশ স্বরূপ পূর্ববর্তী স্বরধ্বনিতে একটা অনুনাসিক অনুরণন যোগ হয় তবে সেই প্রক্রিয়াকে নাসিক্যীভবন বলে। যেমন –বন্ধ>বাঁধ,হংস>হাঁস,দ্ন্ত>দাঁত ইত্যাদি।
(জ) মূর্ধন্যীভবন:
মূর্ধন্য ধ্বনির প্রভাবে কাছাকাছি অবস্থিত কোন দন্ত্যধ্বনি যদি মূর্ধন্য ধ্বনিতে পরিণত হয়ে যায় তবে সেই প্রক্রিয়াকে মূর্ধন্যীভবন বলে। যেমন–বৃদ্ধ>বুড়া,বিকৃত>বিকট ইত্যাদি।
(ঝ) উষ্মীভবন:
স্পর্শধ্বনি উচ্চারণ করতে গিয়ে এমন হয় যে, শ্বাসবায়ু আংশিক বাধা পাচ্ছে, তবে সেই স্পর্শধ্বনি উষ্মধ্বনি তে পরিণত হয়ে যায়, এই প্রক্রিয়ার নাম উষ্মীভবন। যেমন–কালীপূজা>খালীপূজা, মহাসুখ>মহাসুহ ইত্যাদি।
(ঞ) তালব্যীভবন:
তালব্যধ্বনির প্রভাবে কোন দন্ত্যধ্বনি বা অন্য ধ্বনি যদি তালব্য ধ্বনিতে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তবে সেই প্রক্রিয়াকে তালব্যীভবন বলে। যেমন–সন্ধ্যা>সঞঝা>সাঁঝ ইত্যাদি।
BUY BOOK- Bangla Sahityer Sampurna Itibrtta
(D) ধ্বনির স্থানান্তর:
ধ্বনির স্থানান্তর স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি ঘটে।
(ক) অপিনিহিতি:
শব্দের মধ্যে অবস্থিত ''ই'বা'উ' যেখানে উচ্চারিত হওয়ার কথা তার আগে উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। যেমন–বাক্য>বাইক্ক, যজ্ঞ>যইগ্গ, কন্যা>কইন্না ইত্যাদি।
(খ) বিপর্যাস:
MORE RELATED POSTS
উপভাষা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?? তাদের সীমানা নির্ধারণ কর।
ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 1st semester 1 ও 2 paper suggetion
পারিভাষিক শব্দ কি বা কাকে বলে | পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা ও পরিভাষা তালিকা
ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি | dhoni poribortoner riti mcq|primary TET
ভারতীয় ভাষা পরিষদ l Bhartiya -arya Bhasha
জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । rabindra nath tagor jibon sriti
বরেন্দ্রী উপভাষার অঞ্চল বা এলাকা উল্লেখ করে এই উপভাষার রূপতাত্ত্বিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।
সামাজিক গোষ্ঠীর সংজ্ঞা , বৈশিষ্ট ও গুরুত্ব
প্রাথমিক গোষ্ঠী ও গৌণ গোষ্ঠীর পার্থক্য গুলো আলোচনা কর।
সামাজিকীকরণ কি l samajikikoron ki সামাজিকীকরণ কি l samajikikoron ki l সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকা
prathomik ghostir songa o boisisto in bengali l প্রাথমিক গোষ্ঠীর ধারণা , বৈশিষ্ট ও গুরুত্ব।
সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে? সামাজিক পরিবর্তনের উপাদানসমূহ আলোচনা করো।
সামাজিক স্তরবিন্যাস কী? সামাজিক স্তরবিন্যাসের ধরন কী কী?
সামাজিক পরিবর্তনের কারণসমূহ আলােচনা কর।
বর্ণপ্রথার বৈশিষ্ট্য কী? 'বর্ণ' ও ‘জাতি'-র ধারণার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর।
B.A. (Hons.) Bengali, Bachelor of Arts Honours in Bengali, Syllabu…
WB TET Preparation Tips 2023, Study Material
Philosophy Short Essay Questions | My Best Writer
Videosহাট্টিমাটিম টিম - Hattimatim Tim and more | Bengali Rhymes Collection -1
করোনা l coronavirus l সময়ে বিদ্যালয়ের অবস্থা । পার্ট-1
করোনা l coronavirus l সময়ে বিদ্যালয়ের অবস্থা । পার্ট -2
Classes
Mock Tests
Crack Exams
Website Links click here
Terms & Conditions Privacy Policy
STUDY CARE
Whatsapp Ask a Doubt
Studycare0365.blogspot.com
Jangipur,Murshidabad
West Bengal, 742213
Call +91 7908497874
Kajemshaikh0365@gmail.com
Site Links
• About Us
Top Exams
• UPSC Exams
• Teaching Jobs
• Railway Exams
• Banking Exams
Comments
Post a Comment
If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com