बुधवार, 21 दिसंबर 2022

শব্দার্থ পরিবর্তনের কারণ আলোচনা কর ,বাংলা শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা কয়টি ও কি কি


STUDY CARE
www.studycare0365.blogspot.com

ভাষার☀️☀️☀️☀️☀️☀️☀️
শব্দার্থতত্ত্ব 

১) শব্দার্থ পরিবর্তনের কারণ আলোচনা কর ।


[  ] শব্দার্থতত্ত্ব

শব্দার্থতত্ত্ব: ভাষা বিজ্ঞানের যে শাখায় শব্দের অন্তর্গত পরিবর্তনের কারণ ও সূত্র সম্পর্কিত রহস্যকে উন্মোচন করার চেষ্টা করা হয়, তাকে বলা হয় শব্দতত্ত্ব বা শব্দার্থ বিজ্ঞান।


[  ] শব্দার্থ পরিবর্তনের কারণ:
পৃথিবীর কোনো ভাষাতেই শব্দের অর্থ চিরকাল অপরিবর্তিত থাকে না। সামাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শব্দার্থের পরিবর্তন ঘটে। জীবন্ত ভাষার ধর্মই হলো ধ্বনিগত ও অর্থগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মুখের দিকে অগ্রসর হয়ে চলা। নানা কারণে শব্দার্থের পরিবর্তন ঘটে। ভাষাবিজ্ঞানীরা শব্দের অর্থের কারণ গুলিকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করেছেন। তারমধ্যে প্রধান কয়েকটি কারণ হলো—ভৌগোলিক বা জলবায়ুগত কারণ, ঐতিহাসিক কারণ, উপাদানগত বা উপকরণগত কারণ, ধ্বনিগত বা অর্থগত সাদৃশ্য জনিত কারণ, সামাজিক সংস্কার ও মানসিক বিশ্বাস জনিত কারণ, শিথিলতা বা আরামপ্রিয়তা জনিত কারণ, আলংকারিক প্রয়োগ জনিত কারণ ।

(ক) জলবায়ুগত কারণ: ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব এবং জলবায়ুগত পার্থক্যের ফলে শব্দার্থের পরিবর্তন ঘটে।
যেমন-বাংলাদেশের স্নিগ্ধ পরিমণ্ডলে 'অভিমান' শব্দটির অর্থ 'স্নেহ মিশ্রিত অনুযোগ'। কিন্তু পশ্চিম ভারতে শুষ্ক ও কঠিন পরিমণ্ডলে 'অভিমান' শব্দটির অর্থ 'অহংকার'।

(খ) ঐতিহাসিক কারণ: প্রাচীন আর্যরা ছিল যাযাবর জাতি। তখন আর্য শব্দের অর্থ ছিল 'গমনশীল'।কিন্তু ভারতবর্ষে প্রবেশ করার পর আজ ওদের জীবন হয়ে উঠল কৃষি নির্ভর। তখন তারা আর যাযাবর রইল না। তথাপি তাদের আর্য নামটি রয়ে যায়। এখন আর্য বলতে বোঝায় ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের নরগোষ্ঠীকে। শব্দের এই পরিবর্তন মূলত ঐতিহাসিক কারণে ঘটেছে।

(গ) উপাদানগত কারণ: প্রাচীনকালে পেপিরাস গাছের মজ্জা দিয়ে তৈরি হতো কাগজ। পেপিরাস থেকে নাম রাখা হয় পেপার। এখন অন্যান্য উপাদান থেকে তৈরি কাগজকেও পেপার বলা হয়। উপাদানের পরিবর্তন ঘটলেও পুরাতন নামটি অপরিবর্তন থেকে যায়। এখন পেপার বলতে লেখার উপাদানকে বোঝায়।


(ঘ) সাদৃশ্য জনিত কারণ: বৈদিক শব্দ 'রোদসী' শব্দের অর্থ ছিল স্বর্গ এবং পৃথিবী দুই জগৎ। ক্রন্দসী শব্দের অর্থ ছিল গর্জনকারী প্রতিদ্বন্দ্বী সৈন্যদয়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঊর্বশী কবিতায় রোদসীর সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে ক্রন্দসী শব্দটিকে 'অন্তরীক্ষ' অর্থে ব্যবহার করেছেন। এখানে সাদৃশ্য জনিত কারণে শব্দার্থের পরিবর্তন ঘটেছে।

(ঙ) মানসিক সংস্কার: অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কার বসত গ্রামাঞ্চলে রাত্রিকালে সাপকে বলা হয় লতা বা পোকা। চালের অভাবকে বলা হয় চালবাড়ন্ত। কারও মৃত্যু হলে বলা হয় তিনি স্বর্গলোক করেছে। অথিতি বিদায় নেবার সময় বলা হয়- এস বা আসুন। এসবের কারণ হলো সাধারণ মানুষের ধারণা অশুভ বিষয় বা বিপদজনক বস্তুর নাম উচ্চারণ করলে বিপদ আসতে পারে।

(চ) শৈথিল্য ও আরামপ্রিয়তা: আলস্য বশত আরামপ্রিয় তার কারণে অনেক সময় সম্পূর্ণ বাক্য উচ্চারণ না করে সংক্ষেপে কাজ চালানো হয়, এতে শব্দটির নতুন অর্থ সৃষ্টি হয়। চা ও জলখাবার না বলে সংক্ষেপে বলা হয় চা-টা। সন্ধেবেলায় প্রদীপ জ্বালানোকে বলা হয় 'সন্ধ্যে দেওয়া'।

(ছ) আলংকারিক প্রয়োগ: অলংকার প্রয়োগ করে বহু বস্তুর নামকরণ করা হয়।ক্রমশ অলংকারটি গৌণ হয়ে যায় এবং নামটি সাধারণ বিশেষ্য পথ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন-চোখের তারার মত দেখতে একটি ফুলের নাম 'নয়ন তারা'। লাউয়ের ডগার মত দেখতে একটি সাপের নাম 'লাউডগা'। মাছ শিকার করে এমন একটি রঙিন পাখির নাম 'মাছরাঙা'। এগুলি হল আলংকারিক প্রয়োগ। এগুলি দীর্ঘকাল ব্যবহার করার ফলে অলংকার গুলি গৌণ হয়ে গেছে এবং শব্দগুলি সাধারণ অর্থে প্রচলিত হয়ে পড়েছে।



2) বাংলা শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা কয়টি ও কি কি, আলোচনা কর। 


[  ] শব্দার্থতত্ত্ব: ভাষা বিজ্ঞানের যে শাখায় শব্দের অর্থ পরিবর্তনের কারণ সূত্র সম্পর্কিত রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা করা হয়, তাকে বলা হয় শব্দতত্ত্ব বা শব্দার্থ বিজ্ঞান। 


                    কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার মতো জীবন্ত ভাষায় শব্দার্থের এরূপ পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক। ফলে এই ভাষার বেশকিছু শব্দ তাহাদের মূল অর্থটিকে প্রসারিত করে, কখনও সংকুচিত করে, কখনও মূল অর্থটির উন্নতি ঘটে, আবার অবনতি ঘটে, এমনকি সম্পূর্ণ নূতন অর্থে প্রযুক্ত হয়।



[  ] শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা গুলিকে ভাষাবিজ্ঞানীরা পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করেছেন— (১) অর্থের বিস্তার

                             (২) অর্থসংকোচ

                             (৩) অর্থসংক্রম 

                             (৪) অর্থের উন্নতি 

                             (৫) অর্থের অবনতি। 


1)অর্থ বিস্তার বা সম্প্রসারণ: কোন শব্দ যখন কোন ব্যক্তি বা বস্তুর বিশেষ ধর্ম বা গুণকে অতিক্রম করে, বহু বস্তুর সাধারণ ধর্ম ও গুণের পরিচায়ক হয়ে ওঠে, তখন শব্দের অর্থের বিস্তার ঘটে। 


যেমন— 'ধন্য' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'ধনশালী ব্যক্তি'। কিন্তু এখন অর্থ বিস্তারের ফলে 'ধন্য' বলতে 'সার্বিক সৌভাগ্যবান ব্যক্তিকে' বোঝায়। 'বর্ষ' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'বর্ষাকাল', এখন সম্প্রসারিত অর্থ হয়েছে 'বৎসর বা সারা বছর'। 'তৈল' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'তেলের নির্যাস', এখন সম্প্রসারিত হয়েছে বিভিন্ন দানাশস্য থেকে উৎপন্ন তরল নারিকেল থেকে উৎপন্ন তরল এবং খনিজ কিছু কিছু তরলকে বলা হয়। 



2) অর্থসংকোচ: শব্দের অর্থ যখন ব্যাপকতা হারিয়ে বিশেষ সংকীর্ণ অর্থে প্রযুক্ত হয় তখন সেখানে শব্দার্থের সংকোচ  হয়।

যেমন—'মৃগ' শব্দের আদি অর্থ ছিল যে কোন পশু। এখন সংকুচিত অর্থ হয়েছে 'হরিণ'। 'পঙ্কজ' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'পঙ্কে জাত বস্তু'। এখন সংকুচিত হয়েছে 'পদ্মফুল'। 'অন্ন' শব্দের অর্থ ছিল 'খাদ্য'। এখন সংকোচিত অর্থ হলো 'ভাত'। 



3) অর্থ সংশ্লেষ: অনেক সময় শব্দার্থের বারংবার প্রসারণ এবং সংকোচনের ফলে আদি বা মধ্যবর্তী অর্থ বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখন নতুন অর্থের আগমন ঘটে। একে বলা হয় অর্থসংক্রম বা অর্থসংশ্লেষ। 


যেমন— 'পাষণ্ড' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'ধর্ম সম্প্রদায়', পরবর্তী অর্থ হয়েছে 'বিরুদ্ধ সম্প্রদায়' এখনো অর্থ হয়েছে 'নিষ্ঠুর অত্যাচারি'। 'রাজপুত' শব্দের অর্থ ছিল রাজার 'পুত্র' পরবর্তী অর্থ হয়েছে 'জাতি বিশেষ'।



4) অর্থের উন্নতি: কোন শব্দ যখন তার মূল অর্থ পরিত্যাগ করে উন্নত অর্থ গ্রহণ করে তখন শব্দার্থের উৎকর্ষ বা উন্নতি ঘটে। 


যেমন—'মন্দির' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'গৃহ বা ঘর' এখন উন্নত হয়েছে 'দেবালয়'। 'বাসর' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'বাসগৃহ'। এখন উন্নত অর্থ হয়েছে বর-বধূ প্রথম যে ঘরে রাত্রি বাস করে। 'বিধি' শব্দের অর্থ ছিল- নিয়ম বা বিধি নিষেধ। এখন উন্নত হয়েছে- ঈশ্বর বা বিধিলিপি।



5)অর্থের অবনতি: কোন শব্দ যখন তার মূল অর্থ পরিত্যাগ করে অপেক্ষাকৃত হীন অর্থ গ্রহণ করে তখন অর্থের অপকর্ষ বা অবনতি ঘটে।

যেমন—'মহাজন' শব্দের আদি অর্থ ছিল 'মহৎব্যক্তি'। এখন এর অর্থ হয়েছে 'সুদের কারবারি বা ঋন ব্যবসায়ী'। 'ঝি' আদি অর্থ ছিল 'কন্যা'। এখন অপকর্ষ বাচক অর্থ হয়েছে 'পরিচালিতা বা দাসী'।

  

উপভাষা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?? তাদের সীমানা নির্ধারণ কর।

ভাষা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য ও অংশ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য 1st semester 1 ও 2 paper suggetion 

পারিভাষিক শব্দ কি বা কাকে বলে | পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনীয়তা ও পরিভাষা তালিকা

 NCF-2005 FOR PRIMARY TET

ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি | dhoni poribortoner riti mcq|primary TET

ভারতীয় ভাষা পরিষদ l Bhartiya -arya Bhasha

জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । rabindra nath tagor jibon sriti 

বরেন্দ্রী উপভাষার অঞ্চল বা এলাকা উল্লেখ করে এই উপভাষার রূপতাত্ত্বিক ও ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখ।

বেকারত্ব কি? এর কারণ , দারিদ্র্যের সংজ্ঞা দাও,  কারণ , ব্যক্তিগত ও গােষ্ঠীগত জীবনে সংস্কৃতির প্রভাব , সংস্কৃতি কি

B.A. (Hons.) Bengali, Bachelor of Arts Honours in Bengali, Syllabu…

WB TET Preparation Tips 2023, Study Material

Philosophy Short Essay Questions | My Best Writer

বাংলা
ব্যাকরণ
নবীনতর
পূর্বতন

লেবেল
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
ব্যাকরণ
Most popular Ppst
বাংলা শব্দভাণ্ডার || বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার
ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ
ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি
ধ্বনি | স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি


www.studycare0365.blogspot.com



कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें

If you have any doubts, let me know or write us Kajemshaikh0365@gmail.com

Featured Post

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्याकरण

सामान्य हिंदी की तैयारी Samanya Gyan लुसेंट सामान्य हिंदी PDF सामान्य हिंदी के 51 महत्वपूर्ण प्रश्न Samanya Gyan ke prashn सामान्य हिंदी व्य...